ধারওয়াদ পেড়া
ধারওয়াদ পেড়া (কন্নড়: ಧಾರವಾಡ ಪೇಡ) হচ্ছে ভারতএর কর্ণাটক রাজ্যের এক অনন্য স্বাদের ‘“মিষ্টি/মিঠাই’’’। এই মিষ্টির ইতিহাস প্রায় ১৭৫ বছর পুরনো।[1] ধারওয়াদ পেড়া কে ভৌগোলিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।[2] এর জিআই(GI) নাম্বার হচ্ছে: ৮৫। [3]
![]() ধারওয়াদ পেড়া | |
প্রকার | জলপান |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | ভারত |
অঞ্চল বা রাজ্য | ধারওয়াদ, কর্ণাটক |
প্রধান উপকরণ | দুধ, ঘনীভূত দুধ, চিনি |
ভিন্নতা | জামকান্দি পেড়া |
অন্যান্য তথ্য | জিআই(GI) নাম্বার: ৮৫ |
![]() ![]() |
ইতিহাস
‘“ধারওয়াদ পেড়ার’’’ প্রচলন মূলত ঠাকুর পরিবারের দ্বারা শুরু হয়েছিল ,যারা উত্তর প্রদেশ এর উন্নাও থেকে দেশান্তরিত হয়ে ‘“ধারওয়াদ’’’ এসেছিল ১৯ শতকের প্রথম দিকে যখন উন্নাও এ প্লেগ রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। “রাম রতন সিং ঠাকুর”, প্রথম প্রজন্মের ময়রা (মিঠাইওয়ালা) যিনি স্থানীয়ভাবে পেড়া প্রস্তুত ও বিক্রি করা শুরু করেন। ঠাকুরের নাতি “বাবু সিং ঠাকুর” পারিবারিক ব্যবসার উন্নতি সাধনে তাদের লাইন বাজার দোকানে সহায়তা করতেন এজন্য একে স্থানীয়ভাবে "লাইন বাজার পেড়া" নামে ডাকা হত। ব্যবসায়িক গোপনীয়তা হিসেবে পরিবারটি পেড়ার মুল উপকরণ একান্ত গোপন রেখেছিল যা তাদের বংশ পরম্পরা ধরে চলে আসে।‘“বাবুসিং ঠাকুরের”’ একমালিকানা দোকানে কয়েক দশক ধরে পেড়ার বিপণন চলে আসছিল এবং পরবর্তীতে ধারওয়াদ, হাব্লি, বেঙ্গালুরু, হাবেরী এবং পুনেতে এর প্রসার ঘঠে। পুনে এবং অন্যান্য জায়গার মিষ্টি বিপণীতে ‘“ধারওয়াদ পেড়ার’’’ বিক্রি হয় যার সাথে ঠাকুর পরিবারের কোন সংযোগ নেই।[1]
প্রস্তুতকরণ
দুধ গরম করে এবং ক্রমাগত নেড়েছেরে বিভিন্ন ফ্লেভার এবং চিনির সংমিশ্রণে এটি প্রস্তুত করা হয়।
আরো দেখুন
- কর্ণাটকের রন্ধনপ্রণালী
তথ্যসূত্র
- "About Us :: Thakur Peda"। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬।
- http://www.business-standard.com/india/news/k%60taka-gets-highest-numbergi-tags/319698/
- List of Geographical Indications in India