দ্য মালয় আর্কিপেলাগো

দ্য মালয় আর্কিপেলাগো (The Malay Archipelago) প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস রচিত মালয় দ্বীপপুঞ্জের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও সে অঞ্চলে তার বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রার একটি অনন্য গ্রন্থ। ১৮৫৪ থেকে ১৮৬২, এই দীর্ঘ আট বছরে মালয় দ্বীপপুঞ্জে (নিউ গিনি এবং তৎকালীন ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ: বর্তমান মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরইন্দোনেশিয়ার দ্বীপসমূহ) তার বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রায় ওয়ালেস যেসব নতুন নতুন প্রজাতি দেখেছেন এবং যেসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তার প্রাঞ্জল বর্ণনা দিয়েছেন বইটিতে। ১৮৬৯ সালে দুই খণ্ডে বইটি প্রকাশিত হয়। অসুস্থতার জন্য ওয়ালেস বইটি প্রকাশে দেরি করেন। তাছাড়া নতুন যেসব নমুনা ওয়ালেস সঙ্গে করে এনেছিলেন সেগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা করারও প্রয়োজন ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতেই তুমুল জনপ্রিয় এ বইটির দশটি সংস্করণ বের হয়। তারপর থেকে অসংখ্যবার বইটির পুণর্মূদ্রণ বের করা হয়েছে এবং কমপক্ষে আটটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

দ্য মালয় আর্কিপেলাগো
প্রচ্ছদ, প্রথম প্রকাশন
লেখকআলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস
মূল শিরোনামThe Malay Archipelago: The land of the orang-utan, and the bird of paradise. A narrative of travel, with sketches of man and nature
ভাষাইংরেজি
ধরনপ্রাকৃতিক ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনী
প্রকাশকম্যাকমিলান
প্রকাশনার তারিখ
১৮৬৯
মিডিয়া ধরনদুই খণ্ড

গ্রন্থটিতে ওয়ালেস দীর্ঘ আট বছর যেসব দ্বীপে ভ্রমণ করেছিলেন তার ভৌগোলিক গঠন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। যেসব প্রাণী ও উদ্ভিদের নমুনা তিনি সংগ্রহ করেছিলেন সেগুলোও বিশেষভাবে বর্ণনা করেছেন। একই সাথে ভ্রমণকালে তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন সমস্যা আর সেসব সমস্যার সমাধানের পথে তার সাথে যেসব নতুন মানুষের পরিচয় ঘটেছিল তাও উঠে এসেছে। গ্রন্থটির সূচনায় তিনি লিখেছেন, প্রায় ১৪,০০০মাইল (২২,৫৩০ কিমি) তিনি পরিভ্রমণ করেছিলেন আর ১,২৫,৬৬০টি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। এসব নমুনার বেশিরভাগই ছিল পতঙ্গ (৮৩,২০০টি), বাকি সব ছিল পাখি, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী ইত্যাদির।[1]

দ্য মালয় আর্কিপেলাগো সে সময়ের বহু সমালোচক এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক, ধর্মীয়, সাধারণ ও ভূগোল-বিষয়ক সাময়িকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। প্রাথমিকভাবে সমালোচকগণ তার প্রণীত বিভিন্ন মতবাদ ও ধারণার সাথে ভিন্নমত পোষণ করেন।[2][3][4] তবে একটি বিষয়ে সবাই একমত হয় যে সে অঞ্চলের ভূগোল, প্রাকৃতিক ইতিহাস আর মানববৈচিত্র্য সম্পর্কে এমন কৌতূহলোদ্দীপক ও সামগ্রিক বিবরণ পূর্বের আর কোন গ্রন্থে দেখা যায় নি।[2][3][5] আর ওয়ালেস যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাও অবিশ্বাস্য। বাণিজ্যিক ও সাহিত্যমূল্য, উভয়ের বিচারে আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস রচিত সর্বাপেক্ষা সফল গ্রন্থটি হল দ্য মালয় আর্কিপেলাগো[6]

তথ্যসূত্র

  1. "The Malay Archipelago book - map and dedication"। Natural History Museum। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-১০
  2. Anon (১৮৬৯)। "Book Reviews: The Malay Archipelago"Anthropological Review7: 310–323।
  3. Anon (March, 1869)। "The Malay Archipelago (Review)"। Journal of the Ethnological Society of London1: 81–83। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. Anon (January, 1870)। "The Malay Archipelago (Review)"American Quarterly Church Review21 (4): 610–611। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. Murchison, Sir Roderick (July, 1869)। "Wallace's Malay Archipelago"। Proceedings of the Royal Geographical Society13: 286–289। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  6. Smith, Charles। "Wallace's Most Cited Works"। Western Kentucky University। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.