তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়
তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে ভারতীয় সংসদের একটি আইন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আসামের পূর্ব-উত্তর রাজ্য তেজপুরে অবস্থিত ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগ রয়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫০০ জন। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শ্রী মিহির কান্তি চৌধুরী ও বিশেষ উপাচার্য অমরজ্যোতি চৌধুরী।[2] গবেষণা বিভাগের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ও সুর অসমের প্রসিদ্ধ কণ্ঠশিল্পী ডঃ ভুপেন হাজরিকা রচনা করেছেন।
![]() তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোগো | |
নীতিবাক্য | विज्ञानं यज्ञं तनुते (সংস্কৃত) |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | Specialized Knowledge Promotes Creativity [1] |
ধরন | সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৯৪ |
অধিভুক্তি | ভারত সরকার |
আচার্য | জানকি বল্লভ পাটনায়ক |
উপাচার্য | মিহির কান্তি চৌধুরী |
অবস্থান | , , ২৬°৪২′৩″ উত্তর ৯২°৪৯′৪৯″ পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | নপাম ২৪২ একর (০.৯৮ বর্গ কি.মি.) |
ওয়েবসাইট | tezu |

ইতিহাস
তেজপুর শহরের নপাম নামক স্থানে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। অসম চুক্তির ফলে এই স্থাপন হয়েছিল বলে জানা যায়।[3]
উদ্দেশ্য
শিক্ষাঙ্গন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাঙ্গন, নাপাম থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বে তেজপুরে আসামের সনিতপুর জেলা সদর দপ্তরের পাশে অবস্থিত। নাপাম একটি গ্রামীণ এলাকা, যেখানে বিভিন্ন বর্ণ, ধর্ম এবং ভাষার মানুষ রয়েছে। নাপামের এই শিক্ষাঙ্গণ প্রায় ২৬২ একর (১.০৬ কিমি) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। চারপাশ পাকা দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত। এটি নামাপ জাতীয় মহাসড়ক নং ৩৭এ-এর পিডব্লউডি সড়ক সংযুক্ত কালিয়া-ভোমরা সেতু এবং মিশন চারিঅলীর মধ্যবর্তী স্থান। তেজপুরের সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য সড়ক ও রেলপথে সংযুক্তি রয়েছে।
কলকাতা এবং তেজপুরে আকাশপথে যাতায়াতের জন্যে একটি ত্রি-সাপ্তাহিক ফ্লাইট চালু রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ গাছপালা দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং এর কাছেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক এ পর্যটন স্থান-স্থাপনা রয়েছে যেমন, অগ্নিগড়, গণেশ ঘাট ইত্যাদি।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
১৯৯৪ সনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে বর্তমান ৫০০৮২টি পুস্তক সংগৃহীত করা হয়েছে।
বাসস্থান
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানেও ছাত্র-ছাত্রীর উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে যেমন: ছাত্র-ছাত্রী আবাস গৃহ, য়াই-ফাই ও লেন সমৃদ্ধ কম্পিউটার কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শহরের সহিত যাতায়ত সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিয়মীত বাস সেবা, আভ্যন্তরিন ক্রীড়াগৃহ, অত্যাধুনিক ব্যায়ামগার, দিবা-নৈশ খেলার জন্য ‘’ফ্লাড লাইট’’ সুবিধা বিশিষ্ট খেলার মাঠ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রাবাস রয়েছে (নির্মাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত):

- চরাইদেউ ছাত্রাবাস (আসামের শিবাসাগরে অহোম রাজাদের কবর ভূমির নামানুসারে)
- নীলাচল ছাত্রাবাস (গুয়াহাটির নীলাচল পার্বত্যের নামানুসারে)
- কাঞ্চনজংঘা ছাত্রাবাস (বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজংঘার নামানুসারে)
- পাটকাই ছাত্রাবাস (পাটকাই-বামের নামানুসারে)
- সরাইঘাট সি ভি রমন ছাত্রাবাস (গুয়াহাটি সরাইঘাট সেতু এবং বিখ্যাত ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী স্যার সিভি রমনের নামানুসারে)
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে (নির্মাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত):
- বরদৈচিলা ছাত্রীনিবাস
- ধনশিরি ছাত্রীনিবাস
- প্রাগজোতিকা ছাত্রীনিবাস
- শোবনশিরি ছাত্রীনিবাস
- কপিলি ছাত্রীনিবাস
- নতুন ছাত্রীনিবাস
- ম্যাডাম কুরী ছাত্রীনিবাস
শিক্ষা
- বিজ্ঞান বিদ্যালয়
- মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান বিদ্যালয়
- ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান বিদ্যালয়
- প্রকৌশল বিদ্যালয়
প্রধান বার্ষিক ঘটনাবলি
তথ্যসূত্র
- Verse from the Taittiriya Upanishad. Is sometimes loosely translated as Vigyana (Science) performs the Yagna (the means to invoke gods and seek their blessings and favors)
- "তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়"। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৬, ২০১৪।
- "Tripartite talks to review the implementation of the Assam Accord held in New Delhi on 31.05.2000"। satp.org। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৬, ২০১৪।