তানিকা গুপ্তা

তানিকা গুপ্তা, এমবিই (জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) লন্ডনের চিসউইক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বাঙালী বংশোদ্ভূত ইংরেজ নাট্যকার। থিয়েটারের সাথে জড়িত রয়েছেন। পাশাপাশি টেলিভিশন ও বেতারের নাটকের জন্য সংলাপ লিখে থাকেন তিনি।

তানিকা গুপ্তা

জন্ম (1963-12-01) ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩
চিসউইক, হুনস্লো, লন্ডন, ‌ইংল্যান্ড
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষাআধুনিক ইতিহাস
যেখানের শিক্ষার্থীঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
পেশানাট্যকার, চিত্রনাট্যকার
কার্যকাল১৯৯৮-বর্তমান
পরিচিতির কারণথিয়েটার, টেলিভিশন
ধরননাটক, বেতার নাটক, চিত্রনাট্য
দাম্পত্য সঙ্গীডেভিড আর্চার (বি. ১৯৮৮)
সন্তান
পিতা-মাতাতপন গুপ্ত (বাবা)
গৈরিকা গুপ্তা (মা)
আত্মীয়প্রীতিশ গুপ্ত
(পৈতৃকসম্পর্কীয় দাদা)
দীনেশ চন্দ্র গুপ্ত
(মাতৃসম্পর্কীয় কাকা)
ওয়েবসাইটwww.tanikagupta.com

প্রারম্ভিক জীবন

শৈশবে তার পিতা-মাতার সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মা গৈরিকা গুপ্তা ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যে প্রশিক্ষিত নর্তকী ছিলেন। বাবা তপন গুপ্ত প্রসিদ্ধ গায়ক ছিলেন। এছাড়াও, তানিকার দাদার ভাই ছিলেন ভারতীয় বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত[1]

লন্ডনের মিল হিল স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[2] এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারী হন। অক্সফোর্ডের পর তার রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ম্যানচেস্টারে এশীয় শরণার্থী মহিলাদের বিষয়ক লিখনীতে ফুঁটে উঠে।

কর্মজীবন

২০০০ সালে ওয়েটিং রুম একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত বয়ে নিয়ে আনে। ন্যাশনাল থিয়েটারে এশীয় দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়। সহজাত লেখক হিসেবে গুপ্তার নাটকগুলো ২০ বারের অধিক ন্যাশনাল থিয়েটার, রয়্যাল কোর্ট, আরএসসি, ইয়ং ভিক, থিয়েটার রয়্যাল স্ট্রাটফোর্ডে মঞ্চস্থ হয়। তার প্রথম নাট্যসংগ্রহ তানিকা গুপ্তা: পলিটিক্যাল প্লেজ ওবারন থেকে প্রকাশিত হয় ও দ্বিতীয় সংগ্রহশালাও খুব শীঘ্রই বাজারে চলে আসে। ২০১৩ সালে আব্দুল করিমকে ঘিরে দি এম্প্রেস লিখেন ও স্ট্রাটফোর্ডের আরএসসিতে রাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক গ্রন্থের উন্মোচন ঘটে। এছাড়াও তিনি বিবিসি রেডিও ফোর, বিবিসি রেডিও থ্রি ও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের জন্য ৩০-এর অধিক পাণ্ডুলিপি লিখেন। তানিকার চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন রূপায়ণের জন্য কাজগুলো ধ্রুপদী ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্টরাইটিং থেকে শুরু করে মূল চিত্রনাট্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। উদাহরণস্বরূপ বিবিসি’র গ্রাঞ্জ হিল ধারাবাহিকের জন্য ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে গুপ্তা সাতটি পর্ব লিখেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল হলোওয়ে কলেজ এবং স্পিচ ও ড্রামা সেন্ট্রাল স্কুলে লেখার বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। পাশাপাশি, আর্ভন ফাউন্ডেশন কর্তৃক সপ্তাহব্যাপী লেখক উজ্জ্বীবন ও গ্লাসগো এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশ নেন। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কিউবা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

সম্মাননা

২০০৮ সালে নববর্ষের সম্মাননায় নাট্যকলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ব্রিটিশ এম্পায়ার অর্ডারের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়।[1][3] জুন, ২০১৬ সালে রয়্যাল সোসাইটি লিটারেচারের ফেলো প্রদান করা হয়।

  • এমা (সেরা টেলিভিশন প্রোডাকশনে বিটি এথনিক ও মাল্টিকালচারাল মিডিয়া পুরস্কার) (চিত্রনাট্য) ফ্লাইট (১৯৯৮)
  • জন হুইটিং পুরস্কার দি ওয়েটিং রুম (২০০০)
  • এশীয় নারী অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (কলা ও সংস্কৃতি বিভাগ) (২০০৩)
  • অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (বেতার নাটক) "চিত্রা" (২০০৫)
  • রয়েল সাহিত্য সোসাইটির ফেলো (২০১৬)

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৮৮ সালে তিনি দারিদ্র্যবিরোধী কর্মী ও অ্যাকশনএইডের বর্তমান কর্মসূচি উন্নয়ন প্রধান ডেভিড আর্চারের সাথে বৈবাহিকবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে তারা একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। তারপর তারা লন্ডনে স্থানান্তরিত হন। সেখানকার ইসলিংটন এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখিতে সম্পৃক্ত হন ও ১৯৯৬ সালে পূর্ণাঙ্গকালীন লেখক হবার পূর্ব-পর্যন্ত এ ধারা চলমান ছিল।[1]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিতা গুপ্তা নন্দিনী (জন্ম: ১৯৯১), নীহারিকা (জন্ম: ১৯৯৩) ও মলিনী (জন্ম: ২০০০) - এ তিন কন্যার জননী।

তথ্যসূত্র

  1. Roy, Amit (১৫ জুলাই ২০০৮)। "Hanged Bengali icon's great-niece bags MBE"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২
  2. Roberts, Alison (৭ আগস্ট ২০০৭)। "London's teenage crisis"। London: London Evening Standard। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
  3. "নং. 58729"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়): 17। ১৪ জুন ২০০৮।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.