টাকি মাছ
টাকি বা লাটি বা ওকন বা চাইতান (বৈজ্ঞানিক নাম:Channa punctata) (ইংরেজি: Spotted Snakehead) হচ্ছে সর্পমাথা পরিবারের চান্না গণের একটি স্বাদুপানির মাছ। এই প্রজাতিটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাছ। এটি স্বাদু পানির মাছ, দেখতে শোল মাছের ক্ষুদ্র সংস্করণ। এর মাথা অনেকটা সাপ এর মতো। দেহ লম্বাটে এবং আঁশযুক্ত। দেহের উপর কিছু ছিট ছিট ফোটা আছে। এদের মুখ কিছুটা বড় এবং ধারালো দাঁত রয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়।
টাকি মাছ Spotted snakehead | |
---|---|
![]() | |
টাকি মাছ | |
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Perciformes |
পরিবার: | Channidae |
গণ: | Channa |
প্রজাতি: | C. punctata |
দ্বিপদী নাম | |
Channa punctata (Bloch, 1793) | |
ইতিহাস
গবেষকরা কল্পনা করেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণ হিমালয় অঞ্চলে (বর্তমান ভারতের উত্তরাঞ্চল ও পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল) অন্তত ৫ কোটি বৎসর পূর্বে টাকি মাছের উৎপত্তি হয়।
গঠন
দেহ লম্বা এবং গোলাকার। সাধারন দৈর্ঘ্য ১৩ সেমি এবং সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৩২.৫ সেমি। মাথা তুলনামূলাকভাবে বড়।
স্বভাব ও আবাসস্থল
এটি মিঠা পানির মাছ। সাধারণত নদী, খাল, বিল, পুকুর, এমনকি ডোবা নালাতেও পাওয়া যায়। তবে পুকুরেও সহজেই চাষ করা যায়।
চাষ পদ্ধতি
তেমন একটা চাষ হয় না। তবে চাষ করলে একক চাষ করতে হয়। কারণ মাছটি রাক্ষুসে। অনেক পোনা একসাথে মায়ের সাথে চলাচল করে। ছোট পোনামাছ খেতে খুবই সুস্বাদু।
রন্ধনপ্রণালী
খাদ্য হিসেবে টাকি মাছ বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ এ মাছ খেয়ে থাকেন। দোপেয়াজা, ভর্তা, ও ভূনা করে বাংলাদেশে মাছটি খাওয়া হয়।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে হুমকির সম্মুখীন নয়।[1]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- এ কে আতাউর রহমান, ফারহানা রুমা (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৯–৪০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।