জোশ (২০১০-এর চলচ্চিত্র)

জোশ হল ২০১০ এর একটি প্রকাশিতব্য বাংলা অ্যাকশন চলচ্চিত্র যার পরিচালক রবি কিনাগী[2][3] ও এসকে মুভিস প্রযোজনা সংস্থা। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি ২০০৫ সালে তেজার ব্লকবাস্টার তেলুগু চলচ্চিত্র ভদ্র এর রিমেক।[4][5]

জোশ
জোশ চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরবি কিনাগী
প্রযোজকশ্রীকান্ত মোহতা
রচয়িতাঅন্নো মামুন
চিত্রনাট্যকারএন.কে সলিল
শ্রেষ্ঠাংশেজিৎ
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
পুনিত ইশার
তাপস পল
লাবণী সরকার
সুরকারজিৎ গাঙ্গুলী, সমিদ- ঋষি [1]
চিত্রগ্রাহককুমুদ ভার্মা
সম্পাদকরবিরঞ্জন মৈত্র
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এবং সুরিন্দর ফিল্মস
মুক্তি
  • ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)
দৈর্ঘ্য১৫০ মিনিট
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা

পটভূমি

ইন্দ্র (জিৎ) এবং রাজীব (অংশুমান) একই কলেজে পড়াশোনা করে এবং ভালো বন্ধু। ইন্দ্র যখন রাজীবের সাথে দেখা করতে শহরে আসে, তখন ইন্দ্র রাজীববের বোন অনুরাধার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সাথে আলাপ হয় এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। রাজীব যখন তার গ্রামে যায়, তখন ইন্দ্রও তাঁর সাথে যায়। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসেছে অনু এবং আস্তে আস্তে ইন্দ্রাকে পছন্দ করা শুরু করেছে, সে ইন্দ্রর সাথে তার অনেক মিল খুজে পায়। ইন্দ্রও রাজীব এবং অনুর পরিবারের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠায় এবং নিজেকে প্রমাণ করে সেই অনুর সম্ভাব্য বর। অনুর পরিবার, মূলত তার ভাই এবং খুড়তুত ভাই, তাদের গ্রামের আঞ্চলিক গ্যাংগুলির সাথে জড়িত। একদিন অনু যখন তার ভাই তাপস পালকে না বলে ইন্দ্রের সাথে মন্দিরে যায়, তখন রুদ্রের ভাই নিখিল (ভরত কল) অনুুকে আক্রমণ করে এবং তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, ইন্দ্র থাকায় সে বেলায় বেঁচে যায় অনু।

এই ঘটনার পরে, অনুর ভাই, ইন্দ্রকে গ্রামে কেন এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি হয়েছে সেই নিয়ে আলোচনা করে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তিনি একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় (পুনে) থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন এবং তাঁর স্ত্রী কীভাবে গণিতে স্নাতক। দুর্ভাগ্যক্রমে, গ্রামের এই অবস্থার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে যদিও তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তার উচ্চ আদর্শে ধরে রাখবেন। কিছু দিন পরে, অত্যন্ত কাপুরুষোচিত এবং বর্বরতার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং লিডার রুদ্র (পুণিত ইসর) অনু ছাড়া রাজীবের পুর পরিবারকে হত্যা করে। ইন্দ্র অনুর ভাইয়ের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে অনুুর দায়িত্ব নেবে এবং তাকে বিয়ে করবে। কাকতালীয় ভাবে, ইন্দ্রও রুদ্রের চির শত্রু হয়ে ওঠে, অনুকে রক্ষা করতে গিয়ে সে রুদ্রর ছোট ভাই নিখিলকে হত্যা করে। পরবর্তীকালে, ইন্দ্র ও অনু, ইন্দ্রের বোনের বিয়েতে যোগ দিতে কলকাতায় ফিরে যায়। বিয়ের শেষে ইন্দ্রের এক কাকা অনুকে অপমান করে এবং ইন্দ্রকে ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং তাকে অর্থের প্রলভন দেয়। ইন্দ্র তার কাকার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে যাই হোক না কেন সে অনুকেই বিয়ে করবে। একদিন অনু ও ইন্দ্র খেতে গেলে, রুদ্র তার দলবল নিয়ে আবার ফিরে আসে এবং ইন্দ্র সব কটাকে বেধড়ক মারধর করে, কয়েক মাইল দূর অবধি তাড়া করে। অনুকে পেছনে ফেলে এসেছে বুঝতে পেরে সে ফিরে গেল সে তাকে আর দেখতে পায় না, সে হতাশে ভেঙ্গে পড়ে। তখন তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করে কী ঘটেছে? সে তার বাবাকে পুর ঘটনাটা খুলে বলে। ছবিটিতে বাকি অংশগুলি দেখে যাবে, কীভাবে ইন্দ্র তার প্রতিশোধ নেয় এবং কি ভাবে গুন্ডাদের হাত থেকে অনুকে বাঁচায়।

অভিনয়

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯
  2. "Rabi Kinagi"। www.citwf.com। ১০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  3. "The great role reversal of Tollywood"newindianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৫
  4. "Josh"The Times of India। ২ আগস্ট ২০১০।
  5. "Bengali film industry got back its shine in 2010"Indian Express। ২৬ ডিসেম্বর ২০১০।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.