জীবশাখাপ্রজনন

'জীবশাখাপ্রজনন হচ্ছে একটি বিবর্তনীয় পৃথকীকরণ ঘটনা; যেখানে পূর্বসুরী প্রজাতি থেকে একাধিক স্বতন্ত্র্য প্রজাতির উদ্ভব হয় এবং একটি জীবশাখা গঠন করে।[1]

ক্ল্যাডোজেনেসিসের একটি উদাহরণ হলো হাইওয়ান দ্বীপপুঞ্জ; যেখানকার জীবকুল সমুদ্রের প্রবাহ ও সমুদ্রের বাতাসের জন্য নানাদিকে ছড়িয়ে পরেছে। দ্বীপের বেশিরভাগ প্রজাতি বিবর্তনীয় অপসারণের কারণে পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না।

এই ঘটনাটি সচরাচর ঘটে কোনো জীবের দুরবর্তী এলাকায় সমাপ্তির মাধ্যমে। পরিবেশগত পরিবর্তন কিছু বিলুপ্তি ঘটিয়ে যারা টিকে থাকবে; তাদের জন্য বাস্তুসংস্থানগত স্থান তৈরী করে। এই ঘটনার ফলে কিছু প্রজাতি একে অপর থেকে পৃথক হয়ে যায়; এবং উভয়ই নিজেদের মত করে প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে; প্রকৃতিতে টিকে থাকার, প্রজনন করার অথবা বিবর্তিত হবার সমান সুযোগ পায়। এতে করে, উভয় প্রজাতির পুর্বপুরুষ একই থাকে কিন্তু উভয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।[2]

ক্ল্যাডোজেনেসিস; স্বপ্রজননের বিপরীত। স্বপ্রজননের ক্ষেত্রে পুর্ব প্রজাতি ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হতে থাকে। এবং যখন এই পরিবর্তন অনেক বেশি হয়; তখন তার সাথে; তার পুর্বোক্ত প্রজাতির পার্থক্য এত বেশি স্পষ্ট হয় যে; তখন তাকে নতুন প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে; এনাজেনেসিসের ক্ষেত্রে বংশ হচ্ছে একটি জাতিজনি বৃক্ষের ন্যায় সংযুক্ত থাকে। আর ক্ল্যাডোজেনেসিসের ক্ষেত্রে ঘটে বিভক্তিকরণ।

একটি প্রজাতির উদ্ভব (প্রজাত্যায়ন) সংক্রান্ত যে ঘটনা; তা জীবশাখাপ্রজনন নাকি স্বপ্রজনন তা নির্ণয়ের জন্য গবেষকরা সিমুলেশন ব্যবহার করতে পারেন, ফসিল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন, বিভিন্ন জীবন্ত প্রজাতির ডিএনএ আনবিক প্রমাণ সংগ্রহ বা মডেলিং ব্যবহার করতে পারেন। বিবর্তনীয় তত্বে জীবশাখাপ্রজনন ও স্বপ্রজননের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ জরুরী কিনা; তা এখনো বিতর্কের বিষয়।[3][4][5]

আরো দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. Gould, Stephen Jay; Eldredge, Niles (১৯৭৭)। "Punctuated equilibria: the tempo and mode of evolution reconsidered" (PDF)Paleobiology3 (2): 115–151 [145]। doi:10.1017/s0094837300005224
  2. Strotz, LC; Allen, AP (২০১৩)। "Assessing the role of cladogenesis in macroevolution by integrating fossil and molecular evidence"PNAS110 (8): 2904–9। doi:10.1073/pnas.1208302110। PMID 23378632পিএমসি 3581934
  3. Vaux, F; Trewick, SA; Morgan-Richards, M (২০১৬)। "Lineages, splits and divergence challenge whether the terms anagenesis and cladogenesis are necessary"। Biol J Linnean Soc117 (2): 165–176। doi:10.1111/bij.12665
  4. Allmon, Warren (২০১৭)। "Species, lineages, splitting, and divergence: why we still need 'anagenesis' and 'cladogenesis'"। Biological Journal of the Linnean Society120 (2): 474–479। doi:10.1111/bij.12885
  5. Vaux, Felix; Trewick, Steven A.; Morgan-Richards, Mary (২০১৭)। "Speciation through the looking-glass"। Biological Journal of the Linnean Society120 (2): 480–488। doi:10.1111/bij.12872
  • Korotayev, Andrey (২০০৪)। World Religions and Social Evolution of the Old World Oikumene Civilizations: A Cross-cultural Perspective (First সংস্করণ)। Lewiston, New York: Edwin Mellen Press। আইএসবিএন 0-7734-6310-0। (on the applicability of this notion to the study of social evolution).
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.