জিসিএসই

জেনারেল সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (General Certificate of Secondary Education) বা জিসিএসই (GCSE) একটি শিক্ষায়তনিক যোগ্যতা। ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ১৪-১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা একটি বা একাধিক পঠিত বিষয়ের উপর জিসিএসই পরীক্ষা দিয়ে এই যোগ্যতা সনদ লাভ করে থাকে। পূর্বের ব্যবস্থা থেকে বর্তমান জিসিএসই-তে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবরতনগুলোর মধ্যে প্রধান হল, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদেরকে দুই বছর সময়ে জিসিএসই-এর পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কোর্সওয়ার্ক শেষ করতে হয় এবং এর উপর ভিত্তি করে শিক্ষক নম্বর দিয়ে থাকেন। এই নম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষার সাথে যুক্ত হয়। চূড়ান্ত পরীক্ষার আগের দুই বছরে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাগুলোর মান বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে প্রচেষ্টা চলছে। মূল জিসিএসই পরীক্ষা দেবার আগে বা পরে শিক্ষার্থীরা এক বা একাধিক বিষয়ের উপরে পরীক্ষা দিতে পারে। কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বা নিজে আবেদন করেও জিসিএসই পরীক্ষা দেয়া যায়।

সাবেক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অঞ্চল যেমন- জিব্রাল্টার[1], নাইজেরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জিসিএসই ব্যবস্থা চালু আছে। তবে ঐসব অঞ্চলের জিসিএসইও যুক্তরাজ্যের জিসিএসই বোর্ডের প্রশ্নানুসারে অনুষ্ঠিত হয়। জিসিএসই-এর আন্তর্জাতিক সংস্করণ হল আইজিসিএসই। এটি বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে দেয়া যায়। এতে কিছু অতিরিক্ত কোর্সওয়ার্ক এবং ভাষা যোগ্যতা পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে। কিছু দেশে এখনও (যেমন জিম্বাবুয়ে) আগের ও লেভেল পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। ১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক জিসিএসই পরীক্ষা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.