জিয়াউদ্দিন বারানি

জিয়াউদ্দিন বারানি (১২৮৫-১৩৫৭) ছিলেন সুলতান মোহাম্মদ বিন তুঘলক ও ফিরোজ শাহ তুঘলকের সময় দিল্লি সালতানাতের একজন মুসলিম ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তার রচিত তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইর জন্য তিনি অধিক পরিচিত। এটি মধ্যযুগের ভারতের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক কর্ম। এতে গিয়াসউদ্দিন বলবনের সময় থেকে ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনের প্রথম ছয় বছরের উল্লেখ রয়েছে। তার লেখা আরেকটি বই হল ফতোয়াই-জাহানদারি যাতে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের সামাজিক শ্রেণীর ল্লেখ রয়েছে।

জিয়াউদ্দিন বারানি
জন্ম১২৮৫ খ্রিষ্টাব্দ
মৃত্যু১৩৫৭ খ্রিষ্টাব্দ
জাতীয়তাভারতীয়
যুগমধ্য যুগ
অঞ্চলদিল্লি
পেশাইতিহাসবিদ

জীবন

জিয়াউদ্দিন বারানি ১২৮৫ সালে একটি অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, চাচা ও দাদা সবাই দিল্লির সুলতানের সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে আসীন ছিলেন। তার পরিবার মেরুট ও বুলন্দশহরের স্থানীয় ছিল। তার নানা হুসামউদ্দিন ছিলেন গিয়াসউদ্দিন বলবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং তারা বাবা মুয়াউয়িদ উল মুলক ছিলেন জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজির ছেলে আরকালি খানের নায়েব। তার চাচা কাজি আলা উল মুলক ছিলেন আলাউদ্দিন খিলজির শাসনামলে দিল্লির কোতোয়াল বা পুলিশ প্রধান।[1] বারানি কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না। তবে তিনি সতের বছর যাবত মোহাম্মদ বিন তুঘলকের নাদিম (সঙ্গী) ছিলেন। এসময় তিনি আমির খসরুর বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তুঘলক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনিও অনাদৃত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি সরকার, ধর্ম ও ইতিহাসের উপর দুইটি রচনাকর্ম সম্পাদন করেন। ১৩৫৭ সালে জিয়াউদ্দিন বারানি মারা যান।[2]

কর্ম

ফতোয়া-ই-জাহানদারি

ফতোয়া-ই-জাহানদারি বইয়ে ধর্মীয় মর্যাদা ও প্রজাদের সম্মান অর্জনের জন্য মুসলিম শাসকের বিভিন্ন দায়িত্ব সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।[1]

তারিখ-ই-ফিরোজশাহী

তারিখ-ই-ফিরোজশাহী দিল্লি সালতানাতের ইতিহাসের উপর লিখিত। তার বিবরণ আধুনিক গবেষকদের কাছে প্রামাণ্য বলে বিবেচিত। মধ্যযুগের পরবর্তী ইতিহাসবিদগণ যেমন নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাদাউনি, ফিরিশতা, হাজি উদ দাবির প্রমুখ তারিখ-ই-ফিরোজশাহীর উপর নির্ভর করেছেন।

অন্যান্য কর্ম

  • সালভাত-ই-কবির
  • সানা-ই-মুহাম্মদি
  • হজরতনামা
  • ইনায়েতনামা
  • মাআসির-ই-সাদাত

অনলাইন

আরও দেখুন

  • দক্ষিণ এশীয়ার মুসলিমদের শ্রেণী বিভাগ
  • মুসলিম ইতিহাসবিদদের তালিকা

তথ্যসূত্র

  1. Mahajan, V.D. (1991, reprint 2007). History of Medieval India, Part I, New Delhi: S. Chand, আইএসবিএন ৮১-২১৯-০৩৬৪-৫, pp.174-6
  2. Basham p.458
  • Basham, A.L. Sources of Indian Tradition Volume 1. Columbia University Press 1958. আইএসবিএন ০-২৩১-০৮৬০০-৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.