জাতীয় আইনসভা (জাপান)

জাতীয় আইনসভা (国会 Kokkai) জাপানের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট একটি আইন-সভা । এটা নির্মিত হয়েছে নিম্নকক্ষের দ্বারা যাকে প্রতিনিধিসভা বলা হয়, এবং একটি উচ্চকক্ষ দ্বারা যাকে কাউন্সিলদের হাউস বলা হয়। উভয় কক্ষ সরাসরি সমান্তরাল ভোটিং ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করা হয়। আইন পাস ছাড়াও, আইন-সভা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বপূর্ণ বা দায়বদ্ধ হয়ে থাকে। জাতীয় আইনসভা মিইজি সংবিধান (জাপান সাম্রাজ্য সংবিধান ইংরেজি: Constitution of the Empire of Japan (Kyūjitai: 大日本帝國憲法 Shinjitai: 大日本帝国憲法, Dai-Nippon Teikoku Kenpō) গ্রহণের ফলে ১৮৮৯ সালে সাম্রাজ্য আইনসভা হিসাবে সর্বপ্রথম মিলিত হয়েছিল। আইন-সভার বর্তমান রূপটি যুদ্ধোত্তর সংবিধান অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে গঠিত হয় এবং এটা সংবিধানের দ্বারা বিবেচিত রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ অঙ্গ। জাতীয় আইনসভার ভবন টোকিওর নাগাতাচো জেলার চিয়োদা নামক শহরে অবস্থিত।

জাতীয় আইনসভা
国会
Kokkai
১৮৯তম সাধারণ অধিবেশন
ধরন
ধরন
দ্বিকক্ষবাদ
হাউসHouse of Councillors
House of Representatives
নেতৃত্ব
Speaker of the RepresentativesTadamori Oshima, LDP
April 21, 2015 থেকে
Speaker of the CouncillorsMasaaki Yamazaki, LDP
August 2, 2013 থেকে
গঠন
আসন722
242 (House of Councillors)
475 (House of Representatives)
পারিষদ্ সভা রাজনৈতিক দলGovernment (146):
  LDP (121)
  Kōmeitō (25)

Oppositions (94):

  DP (49)
  JCP (14)
  Initiatives (12)
  PJK (3)
  SDP (2)
  PLP (2)
  Energize (2)
  Independents (12)
প্রতিনিধি সভা রাজনৈতিক দলGovernment (329):
  LDP (294)
  Kōmeitō (35)

Oppositions (146):

  DP (96)
  JCP (21)
  Initiatives (15)
  SDP/Shimin Rengō (2)
  PLP(2)
  Independents (10)
নির্বাচন
পারিষদ্ সভা সর্বশেষ নির্বাচন10 July 2016 (24rd)
প্রতিনিধি সভা সর্বশেষ নির্বাচন14 December 2014 (47th)
সভাস্থল
National Diet Building, Nagatachō, Chiyoda-ku, Tokyo
ওয়েবসাইট
House of Councillors – official website
House of Representatives – official website

গঠন

আইনসভার উভয় কক্ষ সমান্তরাল ভোটিং ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করা হয়। এর মানে হল যে, আসন সমূহ পূরণ করা হয় যে কোনো প্রদত্ত নির্বাচনী দ্বারা যা দুটি দলে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি একটি ভিন্ন পদ্ধতি দ্বারা নির্বাচিত করা হয়। দুই কক্ষের মধ্যে মূল পার্থক্য, দুটি দলের আকার এবং তারা কিভাবে নির্বাচিত হয়। জাপানে অন্তত ২০ বছর বয়সী কোন জাতীয় নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারে,[1] যা ১৮ তে পরিবর্তন করা হবে ২০১৬ সাল থেকে।[2]

  • প্রতিনিধি সভা : ৪৭৫ জন সদস্যদের মধ্যে ২৯৫ জন সদস্যকে একক সদস্য বহুতার অধীনে একক আসন বিধানসভা থেকে নির্বাচন করা হয়। ১৮০ জন সদস্য এগারোটি পৃথক নির্বাচনী জোট থেকে নির্বাচিত করা হয়।
  • পারিষদ্ সভা: ২৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৪৬ জন সদস্যকে একক অ-হস্তান্তরযোগ্য ভোটের অধীনে ৪৭ প্রিফেকচুরাল আসন বা বিধানসভা থেকে নির্বাচিত করা হয়। অবশিষ্ট ৯৬ জন কে পিআর তালিকা থেকে নির্বাচন করা হয়।

ক্ষমতা

সংবিধানের ৪১ তম অনুচ্ছেদে জাতীয় আইনসভাকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ অঙ্গ এবং রাষ্ট্রের একমাত্র আইন তৈরির অঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করা রয়েছে। এই বিবৃতি, মিইজি সংবিধানের বিপরীতে জবরদস্ত ভাবে হয়, যা বর্ণিত করে একজন জাপানের সম্রাট কে, যে আইনসভার সম্মতি অনুসারে কর্তৃত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাখেন। জাতীয় আইনসভার দায়িত্ব শুধুমাত্র আইন তৈরী করা না, বার্ষিক জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করার কাজও করে যা সরকার জমা দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন চুক্তিসমূহের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানও করে থাকে। আইনসভা "সরকার সম্পর্কে তদন্ত" পরিচালনা করতে পারে (অনুচ্ছেদ ৬২ অনুযায়ী)। প্রধানমন্ত্রীকে আইনসভা দ্বারা মনোনীত করা আবশ্যক, নির্বাহী সরকারী সংস্থার উপর বিধানিক আধিপত্য নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ( অনুচ্ছেদ ৬৭ অনুযায়ী)। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্য সহ সরকারী কর্মকর্তা, আইনসভার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের উত্তর দিতে হয়।এ ছাড়াও আইনসভার, বিচারকদের ফৌজদারি দোষী সাব্যস্তে অভিযুক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।[3]

কার্যকলাপ

সংবিধান অনুযায়ী, আইনসভা অন্তত এক অধিবেশনে প্রতি বছর মিলিত হত্তয়া আবশ্যক। প্রায়োগিকভাবে, শুধুমাত্র প্রতিনিধিসভা ভেঙে দেওয়া হয় ঠিক একটি নির্বাচনের পূর্বে, কিন্তু যখন নিম্নকক্ষ সাধারণ নির্বাচনের আগে ভেঙে দেওয়ার ঘটনার মধ্যে থাকে তখন কাউন্সিলদের হাউস সাধারণত "বন্ধ" করে দেয়া হয়। একটি জরুরী ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা একটি অসাধারণ বৈঠক বা অধিবেশনের জন্য আইনসভা সমাহূত করতে পারে, এবং একটি অসাধারণ অধিবেশন সদস্যদের এক-চতুর্থাংশ অনুরোধ ক্রমেও করা যেতে পারে। প্রতিটি সংসদীয় অধিবেশনের শুরুতে সম্রাট তার কাউন্সিলদের হাউস কক্ষের সিংহাসন থেকে একটি বিশেষ বক্তৃতা পড়ে থাকেন।

ইতিহাস

তথ্যসূত্র

  1. Japan Guide Coming of Age (seijin no hi) Retrieved June 8, 2007.
  2. "Diet enacts law lowering voting age to 18 from 20"The Japan Times
  3. Nationa­l Diet Library. Constitution of Japan. Published 1947. Retrieved July 15, 2007.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.