চিতবন রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ
চিতবন রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ (ইংরেজি: Chitwan National Park নেপালি: चितवन राष्ट्रिय निकुञ्ज) হচ্ছে নেপালের প্রথম জাতীয় উদ্যান। এটির আগের নাম " রাজকীয় চিতবন রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ" এবং এটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও এটিকে ১৯৮৪ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটি ৯৩২ কিমি২ (৩৬০ মা২) এলাকা নিয়ে গঠিত এবং উপ-উষ্ণমণ্ডলীয় তরাই উপত্যকা এবং দক্ষিণের চিতবন জেলায় অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নদী উপত্যকার ১০০ মি (৩৩০ ফু) থেকে সিবালিক পাহাড়ের ৮১৫ মি (২,৬৭৪ ফু) উচ্চতার মধ্যে অবস্থিত।[1]
চিতবন রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ चितवन राष्ट्रिय निकुञ्ज | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
![]() চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানের বিশ হাজার হাজির লেক | |
অবস্থান | নেপাল |
নিকটবর্তী শহর | ভরতপুর |
স্থানাঙ্ক | ২৭°৩০′০″ উত্তর ৮৪°২০′০″ পূর্ব |
আয়তন | ৯৩২ km² |
স্থাপিত | ১৯৭৩ |
ধরন | প্রাকৃতিক |
মানক | vii, ix, x |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ১৯৮৪ (৮তম সেশন) |
রেফারেন্স নং | 284 |
State Party | ![]() |
Region | এশিয়া |
প্রাণ বৈচিত্র্য
চিতবন রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জে প্রায় ৭০০ প্রজাতির অধিক বন্যপ্রাণ ও গাছপালা দিয়ে বিস্তৃত। এছাড়াও প্রজাপতি, মথ এবং পোকা প্রজাতির এখনো পুরোপুরি সংখ্যা নির্ণীত হয়নি। এছাড়া শঙ্খচূড় এবং শিলা পাইথন সহ সাপের অন্যান্য ১৭ প্রজাতি, তারকা কচ্ছপ এবং গুই সাপ আছে। ১৯৫০-এর দশকের প্রথম দিকে, নারায়ণী নদীতে ২৩৫টি ঘড়িয়াল ছিল। সংখ্যা নাটকীয়ভাবে প্রতি বছর কমতে কমতে ২০০৩ সালে মাত্র ৩৮ টি বন্য ঘড়িয়াল টিকে ছিলো। প্রতি বছর ঘড়িয়ালের ডিম সংগ্রহ করা হয় নদী থেকে, ঘড়িয়াল সংরক্ষণ প্রকল্পে ছানাগুলোকে ৬-৯ বছরের বড় করা হয়। প্রতিবছর তরুণ ঘড়িয়ালগুলোকে নারায়ণী-রাপ্তি নদী প্রক্রিয়ার মধ্যে পুনর্বাসন করা হয়, যেগুলোর দুঃখিতভাবে শুধুমাত্র খুব কম সংখ্যক বাঁচতে পারে।[2]
তথ্যসূত্র
- Bhuju, U. R., Shakya, P. R., Basnet, T. B., Shrestha, S. (2007). Nepal Biodiversity Resource Book. Protected Areas, Ramsar Sites, and World Heritage Sites. International Centre for Integrated Mountain Development, Ministry of Environment, Science and Technology, in cooperation with United Nations Environment Programme, Regional Office for Asia and the Pacific. Kathmandu, আইএসবিএন ৯৭৮-৯২-৯১১৫-০৩৩-৫
- Priol, P. (2003). Gharial field study report. A report submitted to Department of National Parks and Wildlife Conservation, Kathmandu, Nepal.