ঘড়িয়াল

ঘড়িয়াল (বৈজ্ঞানিক নাম: Gavialis gangeticus) (ইংরেজি: Gharial বা Gavial) হলো বিরল প্রজাতির মিঠাজলের কুমির বর্গের (Crocodilia ক্রোকোডাইলিয়া) সরীসৃপ। এরা লম্বা তুণ্ড(snout)-যুক্ত জলচর। একসময় ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার আর ভুটানে দেখা যেতো এদের। কিন্তু ঘড়িয়াল বর্তমানে এক বিপন্ন প্রাণী, ইতোমধ্যেই স্থান করে নিয়েছে IUCN-এর বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর সংকলন Red Data Book-এ।[1] প্রাকৃতিক পরিবেশে সমগ্র পৃথিবীতে বর্তমানে (ফেব্রুয়ারি ২০১১) ২০০টির মতো বুনো ঘড়িয়াল রয়েছে।

ঘড়িয়াল
Gharial

মহাবিপন্ন  (আইইউসিএন ৩.১)[1]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: সরীসৃপ
বর্গ: Crocodilia
পরিবার: Gavialidae
গণ: Gavialis
প্রজাতি: G. gangeticus
দ্বিপদী নাম
Gavialis gangeticus
(Gmelin, 1789)

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[2]

পরিচিতি

পুরুষ ঘড়িয়ালের ঘড়া

ঘড়িয়ালকে ইংরেজিতে বলা গাভিয়াল (ঘড়িয়ালের অপভ্রংশ)। ঘড়িয়াল অর্থ নাক বা তুণ্ড-এর ডগায় ঘড়ার মত আকৃতি, যা পুরুষ ঘড়িয়ালের বেশ বড় হয়। জলের উপর এটুকু বেরিয়ে থাকে। ঘাড়েল, বাইশাল, মেছো কুমির প্রভৃতি নামেও ঘড়িয়াল পরিচিত।

দৈহিক বিবরণ

ঘড়িয়াল পুরুষ ও স্ত্রী পৃথক, পুরুষ ঘড়িয়ালের দৈর্ঘ্য ৬.৫ মি. এবং স্ত্রী ঘড়িয়ালের দৈর্ঘ্য ৪.৫ মি.।

প্রজনন

নভেম্বর-জানুয়ারি এদের প্রজনন মাস। স্ত্রী ঘড়িয়াল বালুতে তৈরি গর্তে ৩০-৫০টি ডিম পাড়ে। ডিম অনেক বড়। ৩ মাস তা দেওয়ার পর ডিম থেকে বাচ্চা হয়।

খাদ্যতালিকা

প্রাপ্ত বয়স্ক ঘড়িয়াল খাদ্য হিসেবে প্রধানত মাছ গ্রহণ করে তবে এরা খাদ্য হিসেবে ব্যাঙ ও কীটপতঙ্গ গ্রহণ করতে পারে।[3]

তথ্যসূত্র

  1. Choudhury, B. C., Singh, L. A. K., Rao, R. J., Basu, D., Sharma, R. K., Hussain, S. A., Andrews, H. V., Whitaker, N., Whitaker, R., Lenin, J., Maskey, T., Cadi, A., Rashid, S. M. A., Choudhury, A. A., Dahal, B., Win Ko Ko, U., Thorbjarnarson, J., Ross, J. P. (২০০৭)। "Gavialis gangeticus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০ ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা- ১১৮৪৪৮
  3. উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ; খণ্ড ২৫; বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি; পৃষ্ঠা ১৯৯

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:সরীসৃপ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.