চামচঠুঁটো বাটান
চামচঠুঁটো বাটান (বৈজ্ঞানিক নাম:Eurynorhynchus pygmeus),[2] এক জাতের ছোটো পাখি। সৈকতের কাদা-পানি হতে পোকা ধরার জন্য চড়ই আকারের এ পাখিটির চঞ্চু চামচের মত। গ্রীষ্মে উত্তরপূর্ব রাশিয়া বিশেষত সাইবেরিয়াতে এরা বাসা বাঁধে। পরে উপকূল ধরে উড়ে এসে শীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষত মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বাসা বাঁধে। থাকে উপকূলীয় এলাকার কাদাচরে বা সৈকতের কাছাকাছি নরম মাটিতে। তাই এটি সৈকতপাখি হিসেবেও পরিচিত। এই পাখিটি মহাবিপন্ন বলে বিবেচিত।[3]
চামচঠুঁটো বাটান | |
---|---|
![]() | |
অনুৎপাদনশীল | |
![]() | |
উৎপাদনশীল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Charadriiformes |
পরিবার: | Scolopacidae |
গণ: | Eurynorhynchus Nilsson, 1821 |
প্রজাতি: | E. pygmeus |
দ্বিপদী নাম | |
Eurynorhynchus pygmeus (Linnaeus, 1758) | |
আকার

এ পাখির দৈর্ঘ্য ১৭ সেন্টিমিটার, ডানা ১০ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ২.২ সেন্টিমিটার, ঠোঁটের চামচের মতো অংশ ১.১ সেন্টিমিটার, পা ২.১ সেন্টিমিটার ও লেজ ৩.৮ সেন্টিমিটার। এর উপরের অংশের রঙ অনেকটা ফিকে ধূসর ও নিচের অংশটা সাদা।[3]
খাদ্য
ভেজা বালি-কাদার ওপরের স্তর থেকে এরা খাদ্য সংগ্রহ করে। এদের খাদ্যের তালিকায় আছে_ নানা জাতের অমেরুদণ্ডী প্রাণী।[3]
স্বভাব
শেওলা বা খাটো উইলো গাছে ঢাকা প্রান্তরের মাটিতে ঘাস, পাতা, শেওলার বাসা বানিয়ে এগুলো ডিম পাড়ে। একসঙ্গে চারটি পর্যন্ত ডিম দেয়। ২০ দিনের মাথায় ডিম থেকে ছানা বের হয় এবং চার সপ্তাহের মাথায় ছানা বাসা ছেড়ে উড়তে শেখে।[3]
তথ্যসূত্র
- BirdLife International (২০১২)। "Eurynorhynchus pygmeus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- From Ancient Greek εὐρύνειν "to widen" + ῥύγχος "muzzle".
- চামচঠুঁটো বাটান পাখি, গাজী মুনছুর আজিজ, দৈনিক ডেসটিনি। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৪ জুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে Spoon-billed Sandpiper সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |