চন্দনা

চন্দনা (বৈজ্ঞানিক নাম: Psittacula eupatria) বা বড় টিয়া Psittaculidae (সিটাকুলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Psittacula (সিটাকুলা) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির বড় আকারের পাখি ।[2][3] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সম্রাট আলেকজান্ডার পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে এই পাখিগুলি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমদানি করেন, যেখানে এগুলি সম্ভ্রান্ত মানুষদের মধ্যে উচ্চমূল্যের শৌখিন বস্তু ছিল, তাই তার নাম অনুসারে এই প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। চন্দনার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ সম্ভ্রান্ত বংশীয়, অথবা অভিজাত দেশোদ্ভুত (লাতিন: psittacula = তোতা; গ্রিক: eu = সম্ভ্রান্ত বা ভালো, patria = বংশ অথবা পিতৃভূমি)।[3] সারা পৃথিবীতে এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩২ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[4] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমার ফলে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে প্রায়-বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[3]

চন্দনা
Psittacula eupatria
পুরুষ (বামে) ও স্ত্রী (ডানে)

প্রায়-বিপদগ্রস্ত  (আইইউসিএন ৩.১)[1]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Psittaciformes
মহাপরিবার: Psittacoidea
পরিবার: Psittaculidae
উপপরিবার: Psittaculinae
গোত্র: Psittaculini
গণ: Psittacula
প্রজাতি: P. eupatria
দ্বিপদী নাম
Psittacula eupatria
(Linnaeus, 1766)

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. "Psittacula eupatria"The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ 01 October 2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১৪২। আইএসবিএন 9840746901।
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১০৩–৪।
  4. "Psittacula eupatria"BirdLife International। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৮

বহিঃসংযোগ

তথ্যসম্বৃদ্ধ ওয়েবসাইট:

সংরক্ষণ-সম্বন্ধীয় লিংক:

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.