ঘসেটি বেগম
মেহের উন নিসা বেগম, যিনি ঘসেটি বেগম নামেই অধিক পরিচিত, ১৭৪০ - ১৭৫৮ সাল পর্যন্ত বাংলা, বিহার এবং ওড়িশার নবাব আলীবর্দী খানের বড় মেয়ে।
ঘসেটি বেগম | |||||
---|---|---|---|---|---|
দাম্পত্য সঙ্গী | নোয়াজেশ মোহাম্মদ খান (শাহমাত জং) | ||||
| |||||
পিতা | আলীবর্দী খান | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
প্রথম জীবন
ঘসেটি বেগমের বিবাহ হয়েছিল নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জং-এর সাথে এবং যিনি (শাহমাত জংকে) ঢাকার নায়েব নাজিম নিযুক্ত হয়েছিলেন।[1] নিঃসন্তান হওয়ায় নওয়াজিস-ঘসেটি দম্পতি সিরাজউদ্দৌলার কনিষ্ঠ ভাইকে (ইকরামউদ্দৌলা) পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ইকরামউদ্দৌলা তরুণ বয়সে গুটিবসন্তে মারা যায়। এর পরে নওয়াজশ মুহম্মদ দুঃখে মারা যান। ঘসেটি বেগম উত্তরাধিকার সূত্রে তার স্বামীর কাছ থেকে প্রচুর সম্পদ পান।
সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পরে, ঘসেটি বেগম চেষ্টা করছিলেন দ্বিতীয় বোনের পুত্র শওকত জংকে সিংহাসনে বসানোর। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলা বাংলার ক্ষমতা আরোহণ করতে সমর্থ হন। অবশেষে, তিনি আলীবর্দী খানের সেনাপতি মীর জাফর, ব্যবসায়ী জগৎ শেঠ এবং উমিচাঁদের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করেন। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ইংরেজরা মীর জাফরকে নবাব বানান।
মৃত্যু
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর মীর জাফর, ঘসেটি বেগমেকে ঢাকার জিনজিরা প্রাসেদে অন্তরীণ করেন। কিন্তু ঘসেটিকে বিপদজনক শত্রু মনে করে, মীর জাফর পুত্র মীরন তাকে ১৭৬০ সালে মুর্শিদাবাদ ফেরত নিয়ে আসার আদেশ দেন। ।[2] কথিত আছে, মুর্শিদাবাদ ফেরার পথে বুড়িগঙ্গা নদীতে তার সলিল সমাধি ঘটে।[1][3]
তথ্যসুত্র
- Iqbal, Shahriyar ZR (২০১২)। "ঘসেটি বেগম"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- Murshidabad History
- Rabbani, Golam (১৯৯৭)। Dhaka, from Mughal outpost to metropolis। University Press Ltd.। পৃষ্ঠা 94। আইএসবিএন 978-984-05-1374-1। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১২।