গৌড়ীয় মিশন
গৌড়ীয় মিশন একটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মীয় ও মিশনারি সংগঠন। ১৯৪০ সালের মার্চে ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে নিবন্ধিত হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা আচার্য ব্রহ্মচারী বাসুদেব প্রভু (২৫ আগস্ট, ১৮৯৫ - ৮ মার্চ, ১৯৫৮ [note 1] ) ১৯৩২ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর ভক্তি প্রসাদ পুরী মহারাজ । [2]

নীতিবাক্য | 'শ্রী শ্রী গুরু ও গৌরাঙ্গের সকল গৌরব' |
---|---|
গঠিত | মার্চ ১৯৪০ ২১-১২-২০১৯ সময় ০২:৫৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | অনন্ত বাসুদেব প্রভু |
ধরণ | ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান |
উদ্দেশ্য | শিক্ষাগত,সমাজসেবামুলক, ধর্মীয় গবেষণা, আধ্যাত্মিকতা |
সদরদপ্তর | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
অবস্থান |
|
এলাকাগত সেবা | ৪ দেশ ভারত,যুক্তরাজ্য , যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশ |
প্রেসিডেন্ট-আচার্য | শ্রী ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ |
প্রধান অঙ্গ | পরিচালকগোষ্ঠী ও কাউন্সিল বডি |
অনুমোদন | গৌড়ীয় বৈষ্ণব |
ওয়েবসাইট | gaudiyamission |
ইতিহাস
গৌড়ীয় মিশন গৌড়ীয় মঠের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে একটি।যা ১৯২0 থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান একটি বিখ্যাত সংগঠন। গৌড়ীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতীর মৃত্যুর পর, পরিচালকগোষ্ঠী ও সন্ন্যাসীরা পরবর্তীতে অনন্ত বাসুদেব প্রভুকে পরবর্তী আচার্য হিসাবে নির্বাচিত করেন। কুঞ্জবিহারী বিদ্যাভূষণ (কুঞ্জ বাবু),গৌড়ীয় মঠের আজীবন সম্পাদক ও সভাপতি,এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হন নি ও নিজের পৃথক শাখা ( মায়াপুরের "শ্রীচৈতন্য মঠ" শাখা) তৈরি করেছিলেন। এভাবে অনন্ত বাসুদেব প্রভুকে পরে উত্তরাধিকারী পদ ছেড়ে দেওয়া ও একটি নতুন প্রতিষ্ঠান (প্রকৃতপক্ষে গৌড়ীয় মঠের নতুন করে নামকরণ) প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করা হয় যা গৌড়ীয় মিশন হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯৪৮ সালে গৌড়ীয় মঠ কেন্দ্রগুলি দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত করা হয় ও গৌড়ীয় মিশন কলকাতা বাগবাজারের জাদুঘরসহ মন্দির "গৌড়ীয় মঠ" নিজেদের কাছে রাখে। যা আজ গৌড়ীয় মিশনের সদর দপ্তর । [3] [4]
পরবর্তীতে অনন্ত বাসুদেব প্রভু ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতীর কিছু শিক্ষার সমালোচনা শুরু করেন ।তিনি বিয়ে করেন,বৃন্দাবনে বসতি স্থাপন করেন, "বাবাজি"দের সাথে যোগ দেন ও বাংলাতে বৃন্দাবনের ছয় গোস্বামীর লেখা অনুবাদ করেন।যা ধ্রুপদী গৌড়ীয় বৈষ্ণব কাজ । তার পরে মিশনের উত্তরাধিকারী হন ভক্তি কেবল ঔডুলোমি (১৯৫৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত) । পরবর্তী আচার্যগণ ভক্তি শ্রীরুপ ভাগবত (১৯৮২-১৯৯৩) এবং ভক্তি সুহৃদ পরিব্রাজক (১৯৯৩-২০১৮ । বর্তমান আচার্য ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ।
বর্তমান অবস্থা
মিশনের প্রধান পদ ও অংশ হল সভাপতি -আচার্য, সভাপতি, গভর্নিং বডি ও কাউন্সিলের সদস্য। এটির ভারতে ২৬ টি মন্দির, যুক্তরাজ্যে ( লন্ডন এ "শ্রী বাসুদেব গৌড়ীয় মঠ" ১৯৩৩ সালে), মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে ( নিউ ইয়র্ক এ "শ্রী ভক্তি শ্রীরূপ ভাগবত গৌড়ীয় মঠ " ২০০৭ সালে) ও বাংলাদেশে (লালমনিরহাটে "শ্রী ভক্তিকেবল গৌড়ীয় আশ্রম ,দলগ্রাম " ) ১ টি করে মন্দির আছে।[5][6] আনুমানিক মোট ৬০ সন্ন্যাসী আছে। চিকিৎসা সেবা ও ঔষধালয় তৈরি করেছে। বাংলা ভাষায় "ভক্তি পত্র" নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করছে। [7]
নোট
- Accoding to Måns Broo, 1895—1959.[1]
তথ্যসূত্র
- Broo 2003, পৃ. 275।
- "About Gaudiya Mission"। Gaudiya Mission। ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Sherbow 2004, পৃ. 131।
- Jalakara dasa। "The Sons of the Son: The Breakup of the Gaudiya Matha"। Bhaktivedanta Memorial Library। ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "গৌড়ীয় মিশন বাংলাদেশ, Dalgram,Kaligonj,Lalmonirhat,Dhaka,Bangladesh (2019)"। www.localprayers.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২০।
- খন্দকার, জুয়েল। "কালীগঞ্জে শ্রী শ্রী ভক্তিকেবল গৌড়ীয় আশ্রমের শীতবস্ত্র বিতরণ | SongbadTV.Com" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২০।
- "Centers"। Gaudiya Mission। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
গ্রন্থ-পঁজী
- Broo, Måns (২০০৩)। As good as God: the guru in Gauḍīya Vaiṣṇavism (PDF)। Åbo Akademi University Press। আইএসবিএন 951-765-132-5। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯।
- Sherbow, Paul H. (২০০৪)। "Bhaktivedanta Swami's Preaching in the Context of Gaudiya Vashnavism"। The Hare Krishna Movement: The Postcharismatic Fate of a Religious Transplant। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 129—146। আইএসবিএন 0-231-12256-X।