গোলাম আরিফ টিপু
গোলাম আরিফ টিপু (জন্ম ২৮ আগস্ট ১৯৩১) একজন বাংলাদেশি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা আন্দোলন কর্মী। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[1][2][3]
গোলাম আরিফ টিপু | |
---|---|
প্রধান কৌঁসুলী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৫ মার্চ ২০১০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২৮ আগস্ট ১৯৩১
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আইনজীবী |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০১৯) |
১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়।[4] তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[4] ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে।[5]
প্রারম্ভিক জীবন
টিপু ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের (তৎকালীন মালদহ জেলা, ব্রিটিশ ভারত) শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[6] তার পিতা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়।[7] তিনি কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।[8] একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[6][9]
কর্মজীবন
টিপু ১৯৫৮ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একাধিকবার রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।[10] বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত নীহারবানু হত্যা মামলায় তিনি বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেন।[10]
১৯৫২ সালে রাজশাহী কলেজে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানে তিনি নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।[10] ১৯৯০-এর দশকের পূর্বে কিছুকাল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাথে রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন।[10]
ব্যক্তিগত জীবন
টিপু ব্যক্তিগত জীবনে জাহান আরা চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিন কন্যা ও এক ছেলে রয়েছে।[10]
তথ্যসূত্র
- "International Crimes Tribunal-1, Bangladesh"। www.ict-bd.org। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "Justice done: Chief prosecutor"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু একাধারে বিজ্ঞ আইনজীবী, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক"। Maasranga TV। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "'ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রক্তের ঋণ'"। Eisamay। ২ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "২১ গুণীজনকে প্রধানমন্ত্রীর একুশে পদক প্রদান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৯।
- "ভাষা সংগ্রামের অজানা অধ্যায়"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "স্মৃতির ক্যাম্পাসে একুশে পদকে ভূষিত ভাষা সৈনিক টিপু"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু পেলেন একুশে পদক"। dailysonardesh.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু : আপাদমস্তক সংগ্রামী"। RTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- "একুশে পদক পাওয়ার কথা ছিল আরও আগে : গোলাম আরিফ টিপু"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।