খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু
খন্দকার রশিদুজ্জামান খান দুদু (জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ - মৃত্যু: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪) একজন ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। তিনি কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের নবম জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।[1][2][3]
খন্দকার রশিদুজ্জামান খান দুদু | |
---|---|
![]() | |
কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | সোহরাব উদ্দিন |
উত্তরসূরী | মাহবুবুল আলম হানিফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ ঝাউদিয়া গ্রাম, কুষ্টিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ![]() (বর্তমান ![]() |
মৃত্যু | ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ অ্যাপোলো হাসপাতাল ঢাকা, বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
খন্দকার রশীদুজ্জমান দুদু ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মহাম্মদ হোসেন। [3][4]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
খন্দকার রশীদুজ্জমান দুদু ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ’ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। আইয়ুব খান বিরোধী গণআন্দোলনে তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক ছিলেন।[3][5]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রথমে সাংগাঠনিক সম্পাদক ও ২০০৪ সালে আহবায়ক ও সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। [2][3]
ব্যবসায়ী ও সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ১৯৮৫-১৯৯১ ও ১৯৯২-১৯৯৬ দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৪-১৯৯৬ মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচিত সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [3][6][7]
পারিবারিক জীবন
দুদুর একপুত্র ও দুই কন্যা সন্তান। ছেলে রিয়াদ ও বড় মেয়ে শাওলি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তার ছোট মেয়ে সাবরিনা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী।[3][8]
মৃত্যু
খন্দকার রশীদুজ্জমান দুদু ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল বুধবার সকাল পৌনে ৭টায় বাংলাদেশের ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ব্রেইনস্টেমের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। [3][9]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "PM condoles death of Rashiduzzaman Dudu"। Bangladesh Sangbad Sangstha (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৮।
- "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার।
- "চলে গেলেন সাবেক এমপি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- "Constituency 77"। www.parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- "আওয়ামী লীগের আসন রক্ষার বিএনপির পুনরুদ্ধারের লড়াই"। www.bhorerkagoj.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- BanglaNews24.com। "রশিদুজ্জামান দুদুর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই'র শোক"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- "সাবেক এমপি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদুর ইন্তেকাল | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- "সাবেক এমপি রশিদুজ্জামান দুদুর ইন্তেকাল"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।
- arthosuchak (২০১৪-০২-০৫)। "রশিদুজ্জামান দুদু'র মৃত্যুতে এফবিসিসিআইয়ের শোক প্রকাশ"। ArthoSuchak (bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬।