কামিনী

কামিনী (ইংরেজি: Murraya paniculata) সাধারণত কমলা জুঁই (ইংরেজি: Orange Jessamine) নামে পরিচিত একধরনের ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ উদ্ভিদ যা ছোট, সাদা, সুবাসিত ফুল জন্মদানের মাধ্যমে শোভাময় বৃক্ষ বা প্রতিবন্ধক হিসাবে বর্ধিত হয়। কামিনী ঘনিষ্ঠভাবে লেবুবর্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং কামকুআট সাদৃশ লাল-কমলা আকারে ছোট ফল বহন করে তবে কিছু প্রজাতি ফল উৎপাদন করে না।

কামিনী
Murraya paniculata
কামিনী ফুল ও ফল রেখাঙ্কন
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Eudicots
(শ্রেণীবিহীন): Rosids
বর্গ: Sapindales
পরিবার: Rutaceae
গণ: মুরায়্যা
প্রজাতি: মুরায়্যা প্যানিকুলাটা
দ্বিপদী নাম
মুরায়্যা প্যানিকুলাটা
(L.) Jack

প্রতিনামসমূহ এবং সাধারণ ও স্থানীয় নামসমূহ

শ্রেণীকরণের সূত্র সমূহের জন্য ম. প্যানিকুলাটা হলো:

  • চ্যালসাস ইক্সোটিকা (কার্ল লিনিয়াস) মিল্সপ
  • চ্যালসাস পানিকুলাটা ল. (বাসিয়োনাইম)
  • মুরায়া ইক্সোটিকা (কার্ল লিনিয়াস)

উল্লেখযোগ্য প্রচলিত নাম:

কমলা জুঁই, চাইনিজ বক্স, মক কমলা, মক জামির, সাটিনউড,[1] অথবা লেকভিউ জেসমিন (প্রধানত ফ্লোরিডায়)

The flower of Murraya paniculata (কামিনী)is found in Bana Bithan,Kolkata,West Bengal,India.

বিবরণ

ফুলের পাত্রে কামিনী
চীনা বাক্সের ফল

কমলা জুঁই ৭ মিটার লম্বা পর্যন্ত বর্ধনশীল একটি ছোট, ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ গাছ বা গুল্ম। এই গুল্ম সারা বছর ধরে ফুল ফোটাতে পারে[3]। এর তার পাতার ধরন রোমশ এবং চকচকে হয়ে থাকে। ফুল সধারণত প্রান্তিক, অল্প-কুসুমিত, ঘন এবং সুগন্ধি হয়ে থাকে। পাপড়ি সাদা (বা ক্রিম ফেইড) রঙে আবৃত্ত থাকে এবং ১২-১৮ মিলিমিটার দীর্ঘ হয়। কামিনীর ফল কমলা থেকে লাল বর্ণের,[4] মাংসল এবং এবং দৈর্ঘ্যে ১ ইঞ্চি পর্যন্ত আয়তাকার-ডিম্বাকার হয়ে থাকে।[5]

পরিসর

কামিনী দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, চীন ও অস্ট্রালেশিয়া দেশগুলোর একটি স্থানীয় ফুল। এটি দক্ষিণ মার্কিন অঞ্চলের দেশীভূত।[1]

ব্যবহার

প্রথাগতভাবে, কামিনী বেদনানাশক হিসেবে ঐতিহ্যগত ঔষধ এবং কাঠের জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রসারণ

কমলা জুঁই যৌন তার মাধ্যমে এর বীজ দ্বারা প্রসারিত হয়। বিভিন্ন ​​পাখি এর ফল খেয়ে থাকে এবং মলত্যাগের সাথে এর বীজ বের করে দেয়। এটি কৃত্রিম কোমল কাষ্ঠ টুকরা দ্বারা এর প্রসারণ ঘটে থাকে।[5]

ব্যাধি

কামিনী মাটি নেমাটোড, পরিমাপক ভুসা-সংক্রান্ত ছাঁচ এবং সাদা-মাছি প্রবন হয়।[5]

কামিনী কীট পেস্ট ডায়াফোরিনা সাইট্রি, সাইট্রাস সাইলিডের পছন্দের। এই সাইলিড সাইট্রাস সবুজবর্ণ রোগের বাহক।[6]

সম্ভাবনাময় ঔষধি ব্যবহারসমূহ

কামিনীর পাতার অশোধিত ইথানলীয় সার, ডায়রিয়া[7] এবং অন্যান্য জ্বলনশীল ব্যথার নিরাময় হিসেবে কাজ করে।[8]

টিকা এবং তথ্যসূত্র

পাদটিকা

  1. "GRIN Taxonomy for Plants"ars-grin.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-১১
  2. "GRIN Taxonomy for Plants"flowersofindia। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-১১
  3. দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-১৮, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
  4. ওয়েলশ, ১৯৮৮; পৃ ২৫৬
  5. Gilman, Edward F. Factsheet FPS-416, October 1999; ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় Cooperative Extension Service, Institute of Food and Agricultural Sciences; from http://www.coralsprings.org/environment/SmallTreeList/pdf/MURPANA.pdf ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে retrieved on 28 June 2007
  6. http://www.hear.org/pier/species/murraya_paniculata.htm retrieved on 28 June 2007
  7. "Antinociceptive and bioactivity of leaves of Murraya paniculata (L.) Jack, Rutaceae. Sharker S.Md., Shahid I.J., Hasanuzzaman Md. Brazilian Journal of Pharmacognosy. 19 (3) (pp 746-748), 2009.
  8. Rahman M.A., Hasanuzzaman M., Uddin N., Shahid I.Z.,Antidiarrhoeal and anti-inflammatory activities of Murraya paniculata (L.) Jack." Pharmacologyonline. 3 (pp 768-776), 2010.

তথ্যসূত্র

  • ওয়েলশ,এস. এল. ১৯৮৮. Flora Societensis: A summary revision of the flowering plants of the Society Islands E.P.S. Inc., Orem, Utah.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.