কানাইপুর জমিদার বাড়ি
কানাইপুর জমিদার বাড়ি ঢাকা বিভাগের, ফরিদপুর জেলার, ফরিদপুর সদর উপজেলার, কানাইপুর ইউনিয়নের, কুমার নদীর পাড়ে অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িটি সিকদার বাড়ি হিসেবে অধিক পরিচিত।
কানাইপুর জমিদার বাড়ি | |
---|---|
![]() কানাইপুর জমিদার বাড়ি, কানাইপুর, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | ফরিদপুর সদর উপজেলা |
শহর | ফরিদপুর সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | ১৬০০ শতকে |
স্বত্বাধিকারী | সিকদার ভবতারিনী |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
৪০০ শত বছর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিকদার ভবতারিনী। জমিদার হিসেবে শিকাদার বংশের উন্নতি শুরু হয় ভবতারিনী শিকদারের আমল থেকে। বিধবা রানী ভবতারিনী তার একমাত্র সন্তান সতীশ চন্দ্র শিকদার এবং অপর এক বিপত্নিক কর্মচারীর সহায্যে তার জমিদারি পরিচালনা করতেন। তবে ভবতারিনীর এই একমাত্র পুত্র সুশাসকের চাইতে উদ্ধত, অহংকারী এবং কুটনৈতিক হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীকালে সতীশ চন্দ্র শিকদারের দুই পুত্র সুরেন্দ্র নাথ শিকদার এবং নিরদবরন শিকদারের মধ্যে জমিদারি ভাগাভাগি হয়ে যায় এবং সুরেন্দ্র নাথ বড় সন্তান হিসেবে জমিদারীর সিংহভাগ মালিকানা লাভ করে। সুরেন্দ্র নাথের অকাল মত্যুর পরে তার স্ত্রী রাধা রানী শিকদার জমিদারি পরিচালনা করা শুরু করেন। রাধা রানী শিকদারের মত্যুর পর পুত্ররা কলকাতায় অভিবাসন করেন এবং অর্থনৈতিক ভাঙ্গনের কারণে এক সময়ে এই জমিদারি সরকার বাজেয়াপ্ত করে নেয়।
হাজী শরীয়তুল্লাহ এবং পরবর্তিতে তার পুত্র দুদু মিয়া ১৮১৮ সালে জমিদারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্বদান করেছিলন।
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ধ্বংসের মুখে। অযত্ন ও অবহেলার কারণে প্রাসাদের দেয়ালগুলোর ভাঙ্গণ ধরেছে।