কলকাতা পুলিশ
কলকাতা পুলিশ ফোর্স হলো পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের দুটি পুলিশ ফোর্সের মধ্যে একটি (অন্যটি হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, যা একটি পৃথক অধিক্ষেত্র)। কোলকাতা পুলিশের কাজ হল কোলকাতা মহানগর এলাকায় পুলিশি কাজ, ভারতের মধ্যে যেটা ১৮৬৬ সালের 'কলকাতা পুলিশ' আইন' এবং ১৮৬৬ সালের 'কোলকাতা উপ-পৌর পুলিশি আইন'-এর অধীনে সংজ্ঞায়িত।
Kolkata Police Force কলকাতা পুলিশ | |
সাধারণ নাম | কলকাতা পুলিশ |
সংক্ষেপণ | ক.পু. |
সংস্থা পরিদর্শন | |
---|---|
গঠিত | ১৮৫৬ |
কর্মকতারা | ৩৫০০০ |
বার্ষিক বাজেট | ₹৮৯৮ কোটি (US$১২৪.৯৫ মিলিয়ন)[1] |
আইনি ব্যক্তিত্ব | বেসরকারি: সরকারি সংস্থা |
অধিকারভুক্ত অঞ্চলের কাঠামো | |
অভিযানের অধিক্ষেত্র* | অধিক্ষেত্র of কলকাতা, ভারত |
Kolkata Police Force এর অধিকারভুক্ত অঞ্চলের মানচিত্র। | |
আকার | ২৪৩বর্গ কিমি |
জনসংখ্যা | ৪৫,৮০,৫৪৪ (২০০.৭১ কিমি** সহ) |
সাধারণ প্রকৃতি |
|
অপারেশনাল কাঠামো | |
প্রধান কার্যালয় | ১৮, লালবাজার সরনি, কলকাতা ৭০০০০১ |
সংস্থা কার্যকরী | অনুজ শর্মা, নগরপাল |
উর্ধ্বস্থ সংস্থা | পশ্চিমবঙ্গ গৃহ মন্ত্রণালয় |
সুবিধা | |
স্টেশন | ৭৭[3] |
ওয়েবসাইট | |
কলকাতা পুলিশ | |
পাদটীকা | |
* বিভাগীয় সংস্থা: Division of the country, over which the agency has usual operational jurisdiction. Note: ক. ২০০১ জনগণনা অনুসারে খ. ২০০৭-এর উদ্ধৃতি বই পেঙ্গুইনের অনুসারে | |
ইতিহাস
বর্তমান কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের ইতিহাসের উৎপত্তি হয় কলকাতার ঔপনিবেশিক সময় থেকে, যখন এই কলকাতা ক্যালকাটা' নামে পরিচিত ছিল, যখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতায় তাদের পক্ষোদ্ভেদ নিষ্পত্তি করেছিল। কলকাতা একজন ইংরেজ মানুষ আবিষ্কার করেছিলেন যার নাম হল জব চার্নক, যার হাতেই ছিল এই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বায়ভার। ১৬৯০ সালে হুগলী নদীর তীরে তিনি খুঁজে পান সুতানুটি বলে একটি গ্রাম। সেই গ্রামেই ১৬৯৬ সাল থেকে সামরিক নিষ্পত্তির একটি নিউক্লিয়াস গঠিত হয় জব চার্নকের মৃত্যুর ঠিক ৩ বছর পরে। সুতানুটির সাথে ছিল আরোও দুটো গ্রাম যার একটির নাম ছিল গোবিন্দপুর এবং আরেকটির নাম ছিল কলিকাতা এটাই ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান ক্ষেত্র।


কলকাতা এর আগে ছিল মুঘলদের অধীনে। ইংরেজ আমলে কলকাতা মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে কিছুটা থেকে গেলেও বাংলার নবাবরা প্রধানত মুর্শিদাবাদ ও উত্তরবঙ্গে শাসন কার্যকরী রেখেছিলেন। ১৭২০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন অফিসার ঠিক করেন যাকে বেসামরিক ও অপরাধমূলক প্রশাসনের পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। "ব্ল্যাক ডেপুটি" বা "ব্ল্যাক জমিন্দার" নামে একজন ভারতীয় কার্যনির্বাহকের দ্বারা সহায়তা পেতেন। তার অধীনে ছিল তিনজন নবাব-দেওয়ান যাদের মধ্যে একজন ছিলেন পুলিশ। এই নিষ্পত্তির জন্য "থানা" ভাগ করা ছিল। "থানাদার"দের অধীনে কাজ করত দুধরনের মানুষ যাদেরকে "নায়েক" ও "পাইক" বলে ডাকা হত। এছাড়াও নদী-পুলিশেরও একটি ছোটো দল গঠন করা হয়।
১৭৭৮ সালে একটি সংবিধি পাশ হয় কলকাতা পুলিশের শক্তি উত্থাপিত হয় ৭০০ টা পাইক, ৩১ টা থানাদার এবং ৩৪ টা নায়েব একজন অধীক্ষকের অধীনে। ১৭৮০ সালে সংরক্ষণের কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছিল যারা ঘড়ি বা ওয়ার্ড দেখাশোনা করত। পুলিশি প্রশাসন তখনও খুব নড়বড়ে ছিল।
১৭৯৪ সালে শান্তি বিচারপতি কলকাতা এবং তার শহরতলির পৌর প্রশাসনের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল, একজন প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট অধীনে যে সরাসরি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ছিল। ১৮০৬ সালে শান্তি বিচারপতি ২৪ পরগণার ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে চলে আসে যা শহরের ২০ মাইল মধ্যে অবস্থিত।
প্রশাসন
১. কলকাতা পুলিশ কমিশনার হলেন কলকাতা পুলিশ ফোর্সের প্রধান নির্বাহী ও প্রশাসনিক হেড। তার অধীনে ও নিয়ন্ত্রণে আছে:


কলকাতা পুলিশের মান গঠন[4] | |||
ক্রমিক সংখ্যা | মান | শক্তি | |
১ | নগরপাল | ১ | |
২ | স্পেশাল নগরপাল | ১ | |
৩ | অতিরিক্ত নগরপাল | ৪ | |
৪ | যুগ্ম নগরপাল | ৯ | |
৫ | ডেপুটি নগরপাল | ৩৩ | |
৬ | সহকারী নগরপাল | ১৩৯ | |
৭ | সহকারী নগরপাল (মহিলা) | ১ | |
৮ | পুলিশ পরিদর্শক | ৫৯০ | |
৯ | পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) | ১০ | |
১০ | পুলিশ পরিদর্শক (মহিলা) | ১২ | |
১১ | পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর | ১৭৮৭ | |
১২ | পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর (মহিলা) | ১০৫ | |
১৩ | পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র) | ৭০ | |
১৪ | পুলিশ সার্জেন্ট | ১৫৫৩ | |
১৫ | সার্জেন্ট মেজর | ২৯ | |
১৬ | সুবেদার | ১৫০ | |
১৭ | সহকারী দারোগা | ২৭৯৭ | |
১৮ | সহকারী দারোগা(মহিলা) | ৫৭ | |
১৯ | সহকারী দারোগা (সশস্ত্র) | ১৬০৬ | |
২০ | হেড অশ্ববৈদ্য | ১ | |
২১ | লেডি হেড কনস্টেবল | ৭ | |
২২ | মহিলা কনস্টেবল | ৩৯৪ | |
২৩ | অশ্ববৈদ্য কনস্টেবেল | ১ | |
২৪ | পুলিশ | ১৩১৪৯ / ৩০০ RC | |
২৫ | সিপাহী | ৭১৯৭ |
কলকাতা পুলিশ-এর উর্ধ্বতন অফিসারদের তালিকা
২. কলকাতা পুলিশের অধীনে ৬৫টা থানা আছে। সেগুল হল:
থানার তালিকা[5] | |||
ক্রমিক সংখ্যা | থানা | ||
১ | আমহার্স্ট স্ট্রিট | ||
২ | আলিপুর | ||
৩ | বেলিয়াঘাটা | ||
৪ | বড়বাজার | ||
৫ | বৌবাজার | ||
৬ | বুড়োতলা | ||
৭ | বালিগঞ্জ | ||
৮ | ভবানীপুর | ||
৯ | বেনিয়াপুকুর | ||
১০ | কশিপুর | ||
১১ | চেতলা | ||
১২ | চিতপুর | ||
১৩ | চারু মার্কেট | ||
১৪ | এন্টালি | ||
১৫ | ইকবালপুর | ||
১৬ | গিরিশ পার্ক | ||
১৭ | গড়িয়াহাট | ||
১৮ | গার্ডেনরীচ | ||
১৯ | হেয়ার স্ট্রিট | ||
২০ | হেস্টিংস | ||
২১ | জোড়াবাগান | ||
২২ | জোড়াসাঁকো | ||
২৩ | কালীঘাট | ||
২৪ | কারায়া | ||
২৫ | মুচিপাড়া | ||
২৬ | ময়দান | ||
২৭ | মানিকতলা | ||
২৮ | নিউ আলিপুর | ||
২৯ | নিউ মার্কেট | ||
৩০ | নারকেলডাঙ্গা | ||
৩১ | নর্থ পোর্ট | ||
৩২ | পার্কস্ট্রীট | ||
৩৩ | পোস্তা | ||
৩৪ | সিঁথি | ||
৩৫ | শ্যামপুকুর | ||
৩৬ | শেক্সপীয়ার সরণী | ||
৩৭ | সাউথ পোর্ট | ||
৩৮ | লেক পি.এস | ||
৩৯ | টালা | ||
৪০ | তালতলা | ||
৪১ | টালিগঞ্জ | ||
৪২ | তারাতলা | ||
৪৩ | তপসিয়া | ||
৪৪ | উল্টোডাঙ্গা | ||
৪৫ | ওয়াটগঞ্জ | ||
৪৬ | ট্যাংরা | ||
৪৭ | ওয়েস্ট পোর্ট | ||
৪৮ | কসবা | ||
৪৯ | রিজেন্ট পার্ক | ||
৫০ | গড়ফা | ||
৫১ | পুর্ব যাদবপুর | ||
৫২ | বাঁশদ্রোণী | ||
৫৩ | সার্ভে পার্ক | ||
৫৪ | যাদবপুর | ||
৫৫ | পাটুলি | ||
৫৬ | বেহালা | ||
৫৭ | পর্ণশ্রী | ||
৫৮ | ঠাকুরপুকুর | ||
৫৯ | হরিদেবপুর | ||
৬০ | মেটিয়াব্রুজ | ||
৬১ | নদিয়াল | ||
৬২ | রাজাবাগান | ||
৬৩ | তিলজলা | ||
৬৪ | প্রগতি ময়দান | ||
৬৫ | ফুলবাগান | ||
৬৬ | দক্ষিণ বেহালা | ||
৬৭ | বড়িশা | ||
৬৮ | রাজডাঙ্গা | ||
৬৯ | গলফগ্রীন |
লোগো
গঠন
ইউনিট
মান গঠন
অধিক্ষেত্র
তথ্যসূত্র
- "Information regarding Kolkata Police under RTI Act" (PDF)। Kolkata Police। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৪।
- আন্ডার কভারেড
- http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Kolkata-to-get-eight-more-police-stations/articleshow/38039369.cms
- "Right to Information" (PDF)। Kolkata Police।
- http://kolkatapolice.gov.in/
- http://www.kolkatapolice.gov.in/images/docs/rti.pdf