ওসমান গণি

অধ্যাপক এম ওসমান গণি (জন্ম: ১ মার্চ ১৯১২ - মৃত্যু: ২১ জুলাই ১৯৮৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী। ১৯৬১ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ উপাচার্য হিসেবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখ থেকে ১ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ তারিখ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।[1]

ওসমান গণি
জন্ম(১৯১২-০৩-০১)১ মার্চ ১৯১২ কিশোরগঞ্জ জেলা
মৃত্যু২১ জুলাই ১৯৮৯(1989-07-21) (বয়স ৫৮)
পেশাঅধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়োগকারীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণশিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী
উপাধিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
দাম্পত্য সঙ্গীশামসুন নাহার গনি
সন্তানপ্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক
পিতা-মাতাহাজী মোঃ দরবার আলী (পিতা)
মকবুলা বেগম (মাতা)
টীকা
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

ওসমান গণি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গজাদিয়া গ্রামে ১৯১২ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মোঃ দরবার আলী এবং মাতার নাম মকবুলা বেগম। শৈশবে গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৩৫ সালে প্রথম ভারতীয় মুসলমান হিসেবে উক্ত বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৩৮ সালে কৃষি রসায়ন বিষয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

কর্মজীবন

গণি ১৯৪০ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৪৫ - ১৯৪৯ সালে তিনি বাংলার সরকারি কৃষি রসায়নবিদ এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকার কৃষি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি পুনরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান এবং মৃত্তিকা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হন এবং পরে ভূ-বিজ্ঞান বিভাগেরও প্রধান হন।

১৯৬১-১৯৬৩ পর্যন্ত পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ) প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩ -১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গনি ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান একাডেমি অব সায়েন্সেসের একজন সহকারী নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সভাপতি নির্বাচিত হন । ১৯৭৯ সালে স্বতন্ত্র পতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। [1]

মৃত্যু

ওসমান গণি ১৯৮৯ সালের ২১ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সম্মাননা

গণি শিক্ষা ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান গবেষণায় অবদান রাখায় পাকিস্তান সরকার ১৯৫৯ সালে ‘সিতারা-ই-কায়েদ-ই-আজম’, ১৯৬৪ সালে ‘সিতারা-ই-পাকিস্তান’ খেতাব দেয়। এছাড়া ১৯৬৭ সালে আমেরিকার নর্দার্ন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.এসসি ডিগ্রি প্রদান করে।

তথ্যসূত্র

  1. "গণি, ওসমান"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.