এমভি মোস্তফা লঞ্চ ডুবি
২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীতে মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। সকাল ১১.৪৫ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। লঞ্চটি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।
![]() ![]() মানিকগঞ্জ এমভি মোস্তফা লঞ্চ ডুবি (বাংলাদেশ) | |
তারিখ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |
---|---|
সময় | ১১:৪৫ |
অবস্থান | পদ্মা নদী, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩.৭৮৭৯৫৬° উত্তর ৮৯.৮০৯০৭° পূর্ব |
মৃত্যু | ৭০[1] |
কারণ
শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি কাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৫ মিনিট পরই পাটুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ৮০০ গজ দূরে সার বোঝাই নার্গিস-১ নামের কার্গো জাহাজ লঞ্চটির মাঝামাঝি স্থানে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি উল্টে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়।[2]
উদ্ধার অভিযান
লঞ্চডুবির লঞ্চের ডেকে (লঞ্চের ওপরে) থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর তারা জীবন রক্ষাকারী বয়া ও আশপাশের নৌযানে উঠে তীরে আসতে সক্ষম হন। লঞ্চডুবির পরপরই আশেপাশের লোকজন নৌকা ও ট্রলার নিয়ে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজনের লাশ বেশে উঠতে থাকে। এরকিছু পর ঘটনাস্থলে ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যসহ সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের শতাধিক উদ্ধারকর্মী এসে পৌঁছে। তারা একযোগে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে লঞ্চের ভেতর থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুদের লাশ বের করে আনেন। দুর্ঘটনা পর পাটুরিয়া ঘাটে থাকা বিআইডব্লিউটিয়ের জাহাজ আইটি-৩৮৯ দিয়ে লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করে ওই জাহাজের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এরপর মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম রাত সোয়া ১১টার দিকে এসে অভিযানে যোগ দেয় এবং ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে ২৩ তারিখ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নদী থেকে টেনে তীরে নিয়ে আসে। সেদিন সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনায় ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭টি পুরুষ, ২৪টি নারী ও ১৯টি শিশুর লাশ ছিল।[1] স্বজনদের কাছে ৬৮টি লাশ হস্তান্তর করা হয়।
তথ্যসূত্র
- "লঞ্চডুবিতে ৭০ লাশ, উদ্ধারকাজ শেষ"। প্রথম আলো। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "লঞ্চ ডুবে ৪৩ প্রাণহানি"। প্রথম আলো। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।