উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধ

উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধ হয় ১৯৭৮-৭৯ সালে উগান্ডা এবং তানজানিয়ার মধ্যে।

উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধ
তারিখOctober 30, 1978 – April 11, 1979
অবস্থানউগান্ডা
ফলাফল Tanzanian victory; overthrow of Idi Amin in Uganda
যুধ্যমান পক্ষ
উগান্ডা
লিবিয়া
PLO[1]
 তানজানিয়া
UNLA
সেনাধিপতি

উগান্ডা:

লিবিয়া:

তানজানিয়া:

  • Julius Nyerere
  • Abdallah Twalipo
  • Tumainiel Kiwelu

UNLA:

  • Tito Okello
  • Yoweri Museveni
  • David Oyite-Ojok
শক্তি
70,000+ Ugandan Army troops
3,000 Libyan troops
200+ Palestinian troops
100,000 Tanzanians
6,000 Ugandan resistance troops
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
~1,500 Ugandans
~500 Libyans[2]
~১,০০০[2]

পূর্ব কথা

১৯৭১ এ সামরিক অভুথানের মধ্য দিয়ে ইদি আমিন উগান্ডার ক্ষমতা দখল করেন। তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়ারে উগান্ডার ক্ষমতাচুত প্রেসিডেন্ট মিলতন অবতেকে আশ্রয় দেন ২০ হাজার উদ্বাস্তুসহ। এক বছর পর তারা উগান্ডাকে আক্রমণের বৃথা চেষ্টা করেন। আমিন নায়ারেকে দোষারোপ করেন তার শত্রুকে সমর্থনের জন্য। দুই দেশের ভিতর সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।

১৯৭৮ এর অক্টোবরের শুরুর দিকে কাম্পালাতে বিদ্রোহীরা আমিনের বাসভবন আক্রমণ করে। আমিন হেলিকপ্টারে করে সপরিবারে পালিয়ে রক্ষা পান।[3] এদিকে আমিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা আর্দ্রিসি সন্দেহজনক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন। আর্দ্রিসির অণুগত সৈন্যরা বিদ্রোহ করল। আমিনের সৈন্যরা বিদ্রোহ দমন করল। মুস্তাফা আর্দ্রিসির কিছু সৈন্য তানজানিয়াতে পালিয়ে গেল। বিদ্রোহ তানজানিয়াতে ছড়িয়ে পড়লো। আর্দ্রিসির সৈন্যরা মিলতন অবতের সৈন্যদের সাথে মিলিত হয়ে আমিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল।[1][3]

আমিন তানজানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। উগান্ডার সরকারি বাহিনী তানজানিয়ার কাগারা অঞ্চলের বিরোধপূর্ণ জায়গা দখল করে নিল।

যুদ্ধ

নায়ারে তানজানিয়ার পিপলস ডিফেন্স ফোরসকে উগান্ডার আর্মির বিরুদ্ধে মোতায়েন করেন। কয়েক সপ্তাহের ভিতর ৪০০০০ নিয়মিত সৈনিকের সাথে ৬০০০০ পুলিশ,মিলিসিয়া,কারারক্ষী যোগ দেন। উগান্ডার আমিন বিরোধিরা উগান্ডান ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গঠন করে নায়ারের সাথে যোগ দেন। রাশিয়ান বিএম কাতুস্কা দিয়ে তানজানিয়ানরা উগান্ডার সেনাদের উপর গোলা বর্ষণ করে।[4] উগান্ডা সেনাবাহিনী পিছিয়ে যায়। লিবিয়ার মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফি ২৫০০ সৈন্য, টি ৫৪, টি ৫৫ ট্যাংক, মিগ ২১, টু ২২ বিমান ও গোলা বারুদ দিয়ে সাহায্য করেন।[5] কিন্তু লিবিয়ানরা খুব দ্রুত টের পায় তারাই সম্মুখ যুদ্ধ করছে এবং উগান্ডান সেনারা পরিবহন ট্রাক দিয়ে তানজানিয়া থেকে লুটের মাল উগান্ডাতে নিয়ে যাচ্ছে।

তানজানিয়া ও উগান্ডার বিদ্রোহীরা কাম্পালা অভিমুখে যাত্রা করে কিন্তু লুকাইয়া অঞ্চলে জলাভূমির কারণে থেমে যায়।

তানজানিয়ার ২০১ তম ব্রিগেড জলাভূমি পাড়ির সিদ্ধান্ত নেয়। ২০৮ তম জলাভূমির পচ্চিম দিক দিয়ে বিকল্প পথে অগ্রসর হয়। কিন্তু ১৯৭৯ এর ১০ মার্চ লিবিয়ানদের একটি ব্রিগেডের সাথে সংঘর্ষে ২০১ তম ব্রিগেড পিছু হটে। কিন্তু ২০১ ব্রিগেড সুসংঘটিত হয়। তারা দক্ষিণ ও ২০৮ ব্রিগেড উত্তর দিক দিয়ে ১১-১২ তারিখের রাতে লিবিয়ানদের উপর হামলা করে। লিবিয়ানদের প্রতিরোধ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। ওই দিন ২০০ লিবিয়ান ও ২০০ উগান্ডার সরকারি সৈন্য নিহত হয়।

১০ই এপ্রিল ১৯৭৯। তানজানিয়া ও উগান্ডার বিদ্রোহীদের হাতে এন্তেবে বিমানবন্দর এবং রাজধানী কাম্পালার পতন ঘটে। সেখানে লিবিয়ান ও উগান্ডার সরকারি সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও তানযানিয়ান্দের বিজয় ঘটে। আমিন প্রথমে লিবিয়া পরে সৌদি আরব পালিয়ে যান। লিবিয়ান আর্মি পিছু হটে। উগান্ডার নির্বাচন পর্যন্ত তানজানিয়ার সেনারা সেখানে ছিল। শেষ হয় ইদি আমিনের শাসন।

তথ্যসূত্র

  1. "Idi Amin and Military Rule"Country Study: UgandaLibrary of Congress। ডিসেম্বর ১৯৯০। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০By mid-March 1979, about 2,000 Libyan troops and several hundred Palestine Liberation Organization (PLO) fighters had joined in the fight to save Amin's regime
  2. Secondary Wars and Atrocities of the Twentieth Century
  3. "An Idi-otic Invasion", TIME magazine, Nov. 13, 1978.
  4. "Fighting for Amin", The East African, April 8, 2002.
  5. Kenneth M. Pollack, Arabs at War: Military Effectiveness 1948–91, University of Nebraska Press, Lincoln and London, 2002, p.369-373, আইএসবিএন ০-৮০৩২-৩৭৩৩-২

আরো পড়ুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.