ঈষৎলোনা পানি

ঈষৎলোনা পানি হলো এমন ধরনের পানি যার লবণাক্ততার পরিমাণ স্বাদু পানি অপেক্ষা বেশি হলেও সমুদ্রের পানি অপেক্ষা কম। এই পানি প্রধানতঃ সমুদ্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদীসমূহের মোহনা বা তার নিম্নাংশের দৃষ্ট হয়।[1] ঈষৎলোনা পানির গড় লবণাক্ততা ০.৫ হতে ৩.০% (৩০ গ্রাম/লিটার), এর অর্থ ১ কিলোগ্রামে ০.৫ গ্রাম থেকে ৩০ গ্রাম পর্যন্ত দ্রবীভূত লবণ রয়েছে।

পানির লবণাক্ততার উদাহরণ (পিপিটি)

ঈষৎলোনা পানির জীবকূল

ঈষৎলোনা পানির মাছ: সিলভার মুনি

মোহনা

নদীসমূহ মোহনা এলাকায় সমুদ্রে পতিত হওয়ায় এখানকার পানির লবণাক্ততা কম থাকে এবং এখানে ঈষৎলোনা পানির জীবমন্ডল গড়ে ওঠে। এখানে মৎস্য শিকার ও মৎস্য চাষ করা হয়।[2]

ম্যানগ্রোভ

ঈষৎলোনা পানির জীবমন্ডল গড়ে ওঠা পর একটি উদাহরণ হলো ম্যানগ্রোভ। এটি ভূমি ও সমুদ্রে মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি যা মূল ভূখন্ডকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে;[3] উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্দরবন

ঈষৎলোনা পানির সমুদ্র ও হ্রদ

কিছু সমুদ্র ও হ্রদের পানি ঈষৎলোনা; যেমনঃ কৃষ্ণ সাগর[4]

ঈষৎলোনা জলাভূমি

কোনো লবণাক্ত জলাভূমিতে মিষ্টি পানির প্রবাহ এসে পতিত হলে সেটি ঈষৎলোনা জলাভূমিতে পরিণত হয়।

উল্লেখযোগ্য উদাহরণ

মানচিত্রে চিলিকা হ্রদ; ভারতের বৃহত্তম হ্রদ।
সমুদ্র
হ্রদ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. নূরউদ্দিন মাহমুদ (জানুয়ারি ২০০৩)। "ঈষৎলোনা পানির পরিবেশ"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৮ ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৮
  3. Mangrove forests 'can reduce impact of tsunamis' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুন ২০০৬ তারিখে, Science and Development Network, December 30, 2004
  4. Lüning, K., Yarish, C. & Kirkman, H. Seaweeds: their environment, biogeography, and ecophysiology. Wiley-IEEE, 1990. p. 121. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭১-৬২৪৩৪-৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.