ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা

ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত একটি পাবলিক কলেজ যা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠত। ২০১২ সালের কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৫ম স্থান[1] এবং একই বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩য় স্থান অধিকার করে।[2]

ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা
অবস্থান
কুমিল্লা
বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনবেসরকারী
নীতিবাক্যশিক্ষা ব্রতে এসো সেবার তরে যাও
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬২
অধ্যক্ষলেঃ কর্নেল মুনতাসীর মামুন
শ্রেণীশ্রেণী ১-১২
শিক্ষার্থী সংখ্যাকলেজ (১৫০০ প্রায়) স্কুল ৩০০০ প্রায়
ক্যাম্পাসকুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট

ইতিহাস

১৯৬২ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল নামে এ প্রতিষ্ঠানটি জন্মলাভ করে বর্তমান কুমিল্লা জিলা স্কুল-এ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৩ সালে স্কুলটি বর্তমান ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৬৪ সালে এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালের জুন মাসে ময়নামতি পাবলিক স্কুল হিসাবে নামকরণ করা হয়।[3] ১৯৬৬ সালে ২৮শে সেপ্টেম্বর দানবীর মির্জা আহমেদ ইস্পাহানীর আর্থিক সহায়তায় গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানটির নাম ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল নাম করন করা হয়। পরে ১৯৭৫ সালের ২৮শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে কলেজ শাখা করার পর প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ নাম করন করা হয় ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।[4]

ক্যাম্পাসের বর্ননা

কলেজ আঙিনা প্রায় ৯.৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। কলেজের মূল ভবনটি তিন তলা। যার অভ্যন্তরে রয়েছে লাইব্রেরি, মসজিদ, সুবিশাল মিলনায়তন, শিক্ষকদের সমাবেশ কক্ষ, বিএনসিসি কক্ষ, অধ্যক্ষের অফিস, উপাধ্যক্ষের অফিস, একাউন্ট অফিস, বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা গবেষণাগার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণী কক্ষ। কলেজের সামনে এবং পিছনে আছে বিশাল দুটি খেলার মাঠ। কলেজে ক্যাম্পাসের মধ্যেই আছে শিক্ষকদের আবাসিক বাসস্থান।

ভর্তি

এই স্কুলে সাধারণত জানুয়ারিতে প্রথম শ্রেনীতে বাংলা মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়ে থাকে এবং ষষ্ঠ শ্রেনিতে ইংরেজি মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়ে থাকে। একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তির্ন হওয়ার মাধ্যমে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পর ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়ে থাকে।

যাতায়াত সুবিধা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া একটি বাস এবং কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত একটি বাস বর্তমানে ছাত্রদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।বর্তমানে আরো ৮টি বাস রয়েছে।

লাইব্রেরী

কলেজের মূল ভবনের দোতালায় লাইব্রেরি অবস্থিত। ছাত্ররা লাইব্রেরি থেকে বই বাসায় নিয়ে যেতে পারে। লাইব্রেরি কক্ষে বসে ছাত্ররা পড়াশোনা করতে পারে। একজন লাইব্রেরিয়ান ও একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান ছাত্রদের প্রয়োজনীয় বই খুঁজে দিতে সাহায্য করে থাকেন।

কৃতিত্ব

কৃতি শিক্ষার্থী

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মে ২০১২ তারিখে, আমাদের দেশ দৈনিক পত্রিকা,প্রকাশিত হয়েছেঃ ৮ই মে, ২০১২।
  2. কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এইচএসসিতে পাসের হার ৭৪.৬০,homnanews24.com, প্রকাশিত হয়েছেঃ ১৮ই জুলাই, ২০১২।
  3. ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ,প্রকাশিত হয়েছেঃ ২০শে অক্টোবর, ২০১২।
  4. কুমিল্লা সেনানিবাসের ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর পুর্তিতে সুবর্ন জয়ন্তী পালিত,onnews24.com, প্রকাশিত হয়েছেঃ ৫ই নভেম্বর, ২০১২।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.