ইসহাক হোসেন তালুকদার
ইসহাক হোসেন তালুকদার (১৮ জুন ১৯৫০–৬ অক্টোবর ২০১৪) মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ১৯৮৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিন দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[1][2][3]
ইসহাক হোসেন তালুকদার | |
---|---|
![]() | |
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ তৃতীয় বার | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৮৮ | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮ জুন ১৯৫০ বাকাই গ্রাম, ধামাইনগর, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৬ অক্টোবর ২০১৪ বাকাই গ্রাম, ধামাইনগর, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ। |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মনোয়ারা সুলতানা |
সন্তান | সুমন তালুকদার ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
ইসহাক হোসেন তালুকদার ১৮ জুন ১৯৫০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামে। পিতা মরহুম ইস্রাফিল হোসেন তালুকদার, মাতা মরহুমা তুষ্টু বেগম।[4]
শিক্ষা জীবন
ইসহাক হোসেন তালুকদার বাকাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর বগুড়া জেলার ছোনকা হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। এর পর রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৭৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।[4][5]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
ইসহাক হোসেন তালুকদার সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে ধামাইনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-১৯৮১ মেয়াদে পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ (বর্তমানে সিরাজগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে মোট তিন দফা সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পাঠাগার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিরও সদস্য ছিলেন।[6][7]
ইসহাক হোসেন মোট ৫বার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও জুন ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[6]
পারিবারিক জীবন
ইসহাক হোসেন তালুকদার ১৯৭৪ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার হরিপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের কন্যা মনোয়ারা সুলতানাকে বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে সুমন তালুকদার ও ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন।
মৃত্যু
ইসহাক হোসেন তালুকদার ৬ অক্টোবর ২০১৪ সোমবার ঈদের দিন সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামে নিজের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতাল নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।[8][9]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার।
- "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার।
- প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "সিরাজগঞ্জের এমপি ইসহাক তালুকদার আর নেই"। bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।
- "একজন আদর্শবান রাজনৈতিক কর্মী | পথিকৃৎ"। ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।
- "ইসহাক হোসেন তালুকদার"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।
- "সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আজিজ বিএনপির মান্নান"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।
- "সাংসদ ইসহাক হোসেন তালুকদার আর নেই"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।
- "সাংসদ ইসহাক হোসেন তালুকদারের ইন্তেকাল"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪।