ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ
ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ (ফার্সি: مجلس شورای اسلامی Majles-e Showrā-ye Eslāmī) হচ্ছে ইরানের একটি আইনসভা। এটি ইরানের সংসদ বা ইরানের মজলিস مجلس) বা পিপলস হাউস (خانه ملت) নামেও পরিচিত যা ইরানের জাতীয় বিধানিক বা আইন প্রনয়ণকারী স্বতন্ত্র সংগঠন। সংসদে বর্তমানে ২৯০ জন প্রতিনিধি রয়েছে, যা ২০০০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর, পূর্ববর্তী ২৭২ টি সংগ্রহীত আসন থেকে পরিবর্তন করা হয়েছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক নির্বাচন হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালের দিকে এবং নতুন সংসদ উদ্বোধন করা হয়েছে ২৪ মে, ২০১৬ সালে।
ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ مجلس شورای اسلامی Majles-e Showrā-ye Eslāmī | |
---|---|
৩৪তম মজলিস ১০তম ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ | |
![]() | |
ধরন | |
ধরন | এককক্ষযুক্ত[1] |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৪ মার্চ ১৯৮০ |
পূর্বসূরী | ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ |
নতুন অধিবেশন শুরু | ২৮ মে ২০১৬ |
নেতৃত্ব | |
বক্তা | Ali Larijani, (H; W) ২৮ মে ২০১৬ থেকে |
প্রথম ডেপুটি | মাসউদ পেযেশকিআন, (H; H) ২৯ মে ২০১৬ থেকে |
দ্বিতীয় ডেপুটি | Ali Motahari, (PV/H; H) 31 May 2016 থেকে |
Wilayat fraction leader | Ali Larijani 28 May 2016 থেকে |
Hope fraction leader | মোহাম্মদ রেজা আরেফ 28 May 2016 থেকে |
গঠন | |
আসন | 290[1] |
![]() | |
রাজনৈতিক দল |
|
Length of term | 4 years[1] |
নির্বাচন | |
ভোটদান ব্যবস্থা | Qualified majority two-round system[1] |
সর্বশেষ নির্বাচন | 26 February and 29 April 2016 |
সভাস্থল | |
![]() | |
Islamic Consultative Assembly Baharestan Tehran Iran | |
ওয়েবসাইট | |
http://www.Majlis.ir http://parlemannews.ir/ http://www.icana.ir/ |
ইতিহাস
ইরান সার্বভৌম রাষ্ট্র: জাতীয় পরামর্শমূলক সমাবেশ

ইসলামী বিপ্লবের আগে, মজলিস যা ইরানের আইন-সভার নিম্নকক্ষের নাম ছিল যার সময়কাল ছিল ১৯০৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এবং উচ্চকক্ষ ছিল ব্যবস্থাপক সভা। এটা ১৯০৬ সালের ইরানের সংবিধান দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং প্রথম একত্র আহ্বান করা হয় ৭ অক্টোবর ১৯০৬ সালে (ইরানি ক্যালেন্ডার: ১২৮৫-মেহর -১৩) [2],এবং শীঘ্রই শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভী শাসনাধীন ক্ষমতায় পৌঁছায়। উল্লেখযোগ্য পাহলাভী রাজবংশের অধীনে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিল সমূহের মধ্যে রয়েছে তেল জাতীয়করণ বিল (১৫ মার্চ, ১৯৫১) এবং পারিবারিক সুরক্ষা আইন (১৯৬৭), এবং নারীদের মৌলিক অধিকার প্রদান যেমন তালাকের ক্ষেত্রে শিশুদের হেফাজত করা। নারীদের ১৯৬৩ সালের পূর্ববর্তী পর্যন্ত ভোট দিতে বা জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়া বিষয়ে অনুমতি দেয়া হয়নি। একবিংশের দিকের জাতীয় পরামর্শমূলক সমাবেশ, যা মহিলা প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে এবং এটা কার্যকর ভাবে পরিচালিত হয় ৬ অক্টোবর, ১৯৬৩ সালে। প্রাক-বিপ্লবে সংসদের শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি,১৯৭৯ সালে।
ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্র: ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ
১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর ইরান ব্যবস্থাপক সভা বিলুপ্ত করা হয় এবং কার্যকরভাবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়,আর এইভাবে ইরানের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়। ১৯৮৯ সালে সংবিধান পুনর্বিবেচনা করে সংস্কারণ ও সংশোধন করা হয়,এবং জাতীয় পরামর্শদায়ক সমাবেশ হয়ে ওঠে ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশে। ইরানী বিপ্লবের পর থেকে ইরান সংসদের ছয় জন চেয়ারম্যান ছিল। আকবর হাশেমি রাফসানজানি ছিল প্রথম চেয়ারম্যান, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। এরপর মেহেদি কারবি (১৯৮৯ থেকে ১৯৯২), আলী আকবর নাতেগ নূরী (১৯৯২ থেকে ২০০০), মেহেদী কারবি (২০০০ থেকে ২০০৪), গোলাম-আলী হাদ্দাদ-আদেল (২০০৪ থেকে ২০০৮) এবং আলী লারিজানি ২০০৮ থেকে। সংসদের ইতিহাস ধরে, বিশিষ্টদের জন্য একটি ডিবেটিং সভাগৃহ থেকে শাহের সরকারি পদাধিকারীর জন্য একটি ক্লাব এ সংসদ বিবর্তিত হয়েছে বলা হয়।[3][4]
সদস্য
বর্তমানে, সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ২৯০ জন, যাদের মধ্যে চৌদ্দ অমুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করে (৪.৮%),জনপ্রিয়ভাবে চার বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়।সংসদে প্রায় ৮% নারী, যখন বৈশ্বিক গড় ১৩%।[5] সংসদ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে মন্ত্রী কে বরখাস্ত করার জন্য জোর করতে পারে এবং অফিসে অসদাচরণের দায়েও রাষ্ট্রপতিকে অভিযুক্ত করতে পারে। যদিও কার্যনির্বাহী সবচেয়ে নতুন আইন প্রস্তাব করে থাকে, তবে সংসদের প্রত্যেক ডেপুটি এছাড়াও আইন পরিচয় করিয়ে দিতে পারে।এছাড়াও ডেপুটি সংশোধনী বিল বিতর্কের জন্য প্রস্তাব করতে পারেন।
নেতৃত্ব
জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ এক বছরের মেয়াদে সংসদের প্রথম অধিবেশনের সময় তাদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার মনোনীত করে। প্রতি বছর, প্রায় মে মাসের দিকে, নতুন স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদের বর্তমান স্পিকার আলী লারিজানি, সঙ্গে প্রথম ডেপুটি স্পিকার মাসউদ পেযেশকিআন এবং দ্বিতীয় ডেপুটি স্পিকার আলী মোতাহারি।
তথ্যসূত্র
- Mohammad-Ali Hosseinzadeh (deceased), Minoo Khaleghi (disualified), Beytollah Abdollahi and Khaled Zamzamnejad (votes voided).
- Nohlen, Dieter; Grotz, Florian; Hartmann, Christof (২০০১)। "Iran"। Elections in Asia: A Data Handbook। I। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 0-19-924958-X।
- Mohammad Modarresi (২০০৫)। "An Introduction to the history of the Legislative Assembly In Iran: The First Parliament of the National Consultative Assembly (آشنایی با تاریخ مجالس قانونگذاری در ایران: دوره اول مجلس شورای ملی)" (PDF) (Persian ভাষায়)। The Research Center of Islamic Consultative Assembly (مرکز پژوهشهای مجلس شورای اسلامی)। ২১ জুন ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- Abrahamian, History of Modern Iran, (2008), p. 179
- Islamic Majles, Ashnai-ye Ba Majles-e Showra-ye Islami, Vol.ii (Guide to the Islamic Majles, Tehran, 1992, p. 205
- On Women’s Day, struggle for equality remains, Kyiv Post (8 March 2012)
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- The official website of the Majlis of Iran (ইংরেজি)
- Laws and minutes of meetings of the Majlis of Iran (1906-1979) (persian) (ইংরেজি)
- History of Iran: Constitutional Revolution, a history of Majlis from 1906 to 1953 (ইংরেজি)
- Iranian Ministry of Interior on the history of elections in Iran
- A report on moving the Majles to Baharestan
- The Council of Guardians, Official website.
- The Majles, Iran's parliament news service.
- Interparliamentary Union (IPU) summary of Majlis of Iran election preparations and/or outcomes (translated into English)
- Iran Electoral Archive - Iranian Parliament
- Videos
- Iran’s ninth parliament PressTV (2012)
- Parliamentary election in Iran (I) (II) (III) (IV) (V) (VI) (VII) Second Round PressTV (2012)
- Video Archive of Iran's Parliament
- Kourosh Esmāili, People & Power: The Iranian Campaign, Aljazeera, YouTube, April 2008: Part 1 Part 2