ইন্ডিয়ানা জোন্স এ্যান্ড দ্য টেম্পল অব ডুম

ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ ডুম স্টিভেন স্পিল্‌বার্গ পরিচালিত ১৯৮৪ সালের একটি অ্যামেরিকান অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র। এটি ইন্ডিয়ানা জোনস সিরিজের ২য় চলচ্চিত্র এবং ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রেইডার্স অফ দ্য লস্ট আর্ক সিনেমার পূর্ববর্তী ঘটনা সম্বলিত চলচ্চিত্র। এর সূত্র ধরেই ১৯৮৯ সালে ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড ও ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য কিংডম অফ দ্য ক্রিস্টাল স্কাল নির্মিত হয়। উত্তর ভারতে পৌঁছানোর পর ইন্ডিয়ানা জোনসকে সেখানকার গ্রামবাসী ঠগিদের থেকে যারা তাঁদের দেবী কালীকে সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বাচ্চাদের গোলাম বানায়, কালো জাদু চর্চা করে এবং নরবলি দেয় তাঁদের কাছ থেকে একটি রহস্যময় পাথর ও তাঁদের সন্তানদের উদ্ধার করার অনুরোধ জানায়।

ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ ডুম
পরিচালকস্টিভেন স্পিলবার্গ
প্রযোজকরবার্ট ওয়াটস্‌
চিত্রনাট্যকার
  • উইলার্ড হুইক
  • গ্লোরিয়া ক্যাটজ
কাহিনীকারজর্জ লুকাস
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারজন উইলিয়ামস্‌
চিত্রগ্রাহকডগলাস স্লকম্বে
সম্পাদকমাইকেল কান
প্রযোজনা
কোম্পানি
লুকাসফিল্ম লিঃ
পরিবেশকপ্যারামাউন্ট পিকচার্স
মুক্তি
  •  মে ১৯৮৪ (1984-05-08) (ওয়েস্টউড)
  • ২৩ মে ১৯৮৪ (1984-05-23) (যুক্তরাষ্ট্র)
দৈর্ঘ্য১১৮ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষা
নির্মাণব্যয়৳২.৮২ কোটি
আয়৳৩৩.৩১ কোটি

নির্বাহী প্রযোজক এবং সহ-লেখক জর্জ লুকাস আবারো নাৎসিদের খল চরিত্রে না রেখে একটি চলচ্চিত্র বানাতে চেয়েছিলেন। তিনবার প্লট বাতিল হবার পর, লুকাস এমন একটি প্লট বানালেন যেটা চলচ্চিত্রের গল্পের শেষভাগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। লরেন্স কাসড্যান যিনি রেইডার্স অফ দ্য লস্ট আর্ক এ লুকাসের সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি এ চলচ্চিত্রের সংলাপ লেখার দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, এবং উইলার্ড হুইকগ্লোরিয়া ক্যাটজ কে তাঁর বদলি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের সাথে ১৯৩৯ সালের গুঙ্গা ডিন চলচ্চিত্রের কিছুটা মিল রয়েছে।

চলচ্চিত্রটি আর্থিকভাবে সফল হয়েছিল, কিন্তু আক্রমণাত্মক কাহিনীর কারণে দর্শকের প্রতিক্রিয়া মিশ্র ছিল। এজন্য পরে এর PG-13 সংস্করণ বের হয়। যদিও ১৯৮৪ সালের তুলনায় সমালোচকদের থেকে ভালো ইতিবাচক সাড়া লক্ষ্য করা যায়। স্পিলবার্গ সহ চলচ্চিত্রের কিছু কলাকুশলীও চলচ্চিত্রটিকে অতিরিক্ত হানাহানির কারণে কিছুটা নেতিবাচক ভাবে দেখেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ভারতের প্রেক্ষাপট যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে, সেটাও বিতর্কের জন্ম দেয়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.