আহমদ শাহ
সৈয়দ মুহাম্মদ আহমদ শাহ (আরবি: سید محمّد احمد شاہ) একজন সুফি দরবেশ, পণ্ডিত, শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৫৬ সালে সিরিকোটের শেতালু শরীফে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তিনি কাদেরিয়া ত্বরিকার একজন সুফি দরবেশ এবং খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভীর খলিফা। [2]
হযরত, হাফিজ ক্বারী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহমদ শাহ বা'জি সিরিকোটি আল কাদেরী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৫৬ সাল |
মৃত্যু | ২২ শে মে, ১৯৬১ সাল, ১১ই জিলক্বদ ১৩৮০ হিজরী |
সমাধি | শেতালু শরীফ,সিরিকোট, পাকিস্তান |
পরিচিতির কারণ | কাদরি সুফি |
সন্তান | সৈয়দ মুহাম্মদ সালেহ শাহ ও সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ |
পিতা-মাতা | সৈয়দ সদর উদ্দিন শাহ |
পরিবার
সৈয়দ আহমদ শাহ একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ সদর উদ্দিন শাহ ছিলেন সুপরিচিত পণ্ডিত। তিনি সায়্যিদ এর মাশওয়ানি গোত্রভুক্ত ছিলেন, মাশওয়ানি গেসুদারাজের পুত্র।[3] তিনি সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের পিতা এবং পীর সাবির শাহের পিতামহ।[4]
বংশগত শাজরা
- হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
- হযরত ফাতেমাতুজ্জাহরা (রা.)
- হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)
- হযরত ইমাম জয়নুল আবেদিন (রা.)
- হযরত ইমাম বাক্বের (রা.)
- হযরত মুহাম্মদ জাফর সাদেক্ব (রা.)
- হযরত সৈয়দ ইসমাইল (রা.)
- হযরত সৈয়দ জালাল (রা.)
- হযরত সৈয়দ শাহ ক্বায়েম (কায়েন) (রা.)
- হযরত সৈয়দ জাফর (ক্বাব) (রা.)
- হযরত সৈয়দ ওমর (রা.)
- হযরত সৈয়দ গফফার (রা.)
- হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ গীসুদারাজ (রা.)
- হযরত সৈয়দ মাসুদ মাসওয়ানী (রা.)
- হযরত সৈয়দ তাগামমুজ শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ ছুদুর (রা.)
- হযরত সৈয়দ মুছা (রা.)
- হযরত সৈয়দ মাহমুদ (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুর রহিম (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুল গফুর (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুল জালাল (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুর রউফ (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুল করিম (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুল্লাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ গফুর শাহ (রা.) [প্রকাশ কাপুর শাহ সিরিকোট]
- হযরত সৈয়দ নফফাস শাহ বা তাফাহহুছ শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবী শাহ মুরাদ (রা.)
- হযরত সৈয়দ ইউসুফ শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ হোসাইন শাহ (হোসাইন খিল) (রা.)
- হযরত সৈয়দ হাজী কাসেম (রা.)
- হযরত সৈয়দ আবদুল করিম (রা.)
- হযরত সৈয়দ ঈসা (রা.)
- হযরত সৈয়দ ইলিয়াছ (রা.)
- হযরত সৈয়দ খোশহাল (রা.)
- হযরত সৈয়দ শাহ খান (রা.)
- হযরত সৈয়দ কাজেম (রা.)
- হযরত সৈয়দ খানী জামান শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ ছদর শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রা.)
- হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রা.)
- হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ)
শিক্ষা এবং বক্তৃতা
তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন যিনি সকলের জন্য শিক্ষা উন্নয়নে ছিলেন। তিনি মাত্র ১৪ বছরে কুরআনে হাফিজ হন। তিনি কুরআন, ফিকাহ, হাদিস, সুফিবাদ এবং অন্যান্য ইসলামী সাহিত্যের ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করেছেন। তিনি দিল্লী, ভারত এবং আফ্রিকা থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন।[5]
তিনি ইসলামী গবেষণা এবং সাহিত্যে কাজ করেন। তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে শিক্ষিত করেন, যেখানে আজও তার শিক্ষা অনুসরণ করা হয়। তিনি তার বইয়ের একটি অংশে সালাওয়াত যোগ করেছেন যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এ সহজে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে
১৯৩৭ সালে তিনি তার শিক্ষক হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভীর নিকট থেকে প্রাপ্ত নির্দেশ অনুসরণ করে বাংলাদেশ পরিদর্শনে যান। তার কাছ থেকে লাখ লাখ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে। ইসলামী শিক্ষার জন্য তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা নামে একটি সুন্নি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ইন্তেকাল
তিনি ১৩৮০ হিজরীর ১১ই জিলক্বদ, ১৯৬১ সিরিকোটের শেতালু শরীফে ইন্তেকাল করেন। তার মাজার সিরিকোটের শেতালু শরীফে অবস্থিত। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ স্থানটি পরিদর্শনে যান।[6] আরবি মাসের ১১ই জিলক্বদ তার ওরশ পালিত হয়।
আরো দেখুনঃ
- সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ)
- সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ
- সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ
- আনজুমান ট্রাস্ট
- গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ
- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা
তথ্যসূত্র
- "Darbar-E-Alia Sirikot Shareef"। HaripurOnline.Com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৬-০২। ২০১৬-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-১৫।
- "Khwaja Abdur-Rehman Chorwi (RA) | Haripur"। meraharipur.com। ২০১৬-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-১৫।
- "شجره ارتباطی اولاد حضرت قیس عبدالرشید با اولاد پیامبر اسلام(ص) - نقش طایفه م৭ادقلی و تیره های وابسته در انقلاب و دفاع مقدس"। پارسی بلاگ (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২২।
- "Anjuman Rahmaniya Document titled Syed Muhammad Sabir Shah" (PDF)।
- "Syed Ahamed Shah Sirikoti (Radiallahu Ta'ala Anhu) | Islam 786 Forum"। ashraf786.proboards.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২২।
- "Hazrat Syed Ahmad Shah Sirikoti (Radi Allahu Anhu) - বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুন্নি ওয়েবসাইড" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৩-০২। ২০১৬-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-১৫।