আবুল হাসান যশোরী
আল্লামা আবুল হাসান যশোরী (১৯১৮-১৯৯৩) একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুহাদ্দিস, রাজনীতিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় হাদিসের অধ্যাপক (শায়খুল হাদীস) হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং যশোর রেল স্টেশন মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদীস হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।[1][2]
আবুল হাসান যশোরী | |
---|---|
উপাধি | মুক্তিযুদ্ধা, শায়খুল হাদীস, রাজনীতিক |
জন্ম | ১৯১৮ ভবানীপুর গ্রাম, হরিণাকুন্ড, ঝিনাইদহ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ![]() (বর্তমান ![]() |
মৃত্যু | ৮ জুলাই ১৯৯৩ যশোর, বাংলাদেশ |
জাতিভুক্ত | মুক্তিযোদ্ধা, শায়খুল হাদীস, রাজনীতিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ |
অঞ্চল | ![]() ![]() ![]() |
পেশা | শিক্ষকতা |
শাখা | সুন্নি |
মূল আগ্রহ | শিক্ষকতা, রাজনীতি |
লক্ষণীয় কাজ | হাদিসের অধ্যাপক |
শিক্ষায়তন | দারুল উলুম দেওবন্দ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মাওলানা আবুল হাসান যশোরী ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলী বিশ্বাস। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করে পরে মাগুরা হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। অতঃপর তিনি মাগুরা কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৩৭ সালে ইসলামি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিনি দিল্লির ফতেহপুর মাদ্রাসায় ভর্তি পড়ালেখার পর দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে তার উল্লেখ যোগ্য শিক্ষক শাইখুল ইসলাম সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানি, আল্লামা ইবরাহিম বলিয়াবী, শাইখুল আদব ইজায আলী, মুফতী মুহাম্মাদ শফী উসমানী প্রমুখ। এর পর সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানি ও মুফতী আযীযুল হকের নিকট থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা গ্রহণ করেন।[1][2]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
আল্লামা আবুল হাসান যশোরী শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৪৮ সালে ফরিদপুর জামিয়া ইসলামিয়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় হাদিসের অধ্যাপক (শায়খুল হাদীস) হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে যশোর রেল স্টেশন মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদীস হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।[1][2][3]
তিনি প্রথমদিকে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৪৫ সালে ‘জামিয়াত-ই-উলামা-ই-ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এ সংগঠনে যোগ দেন। তিনি এ সংগঠনের সহ-সভাপতি হিসেবে ১৯৬৭ সাল থেকে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামের প্রচার ও শিরক-বিদাত সহ অন্যান্য কুসংস্কারের বিপক্ষে বিশেষ অবদান রয়েছে তার।[1][2]
তিনি ১৯৭১ সালে বয়ান-বক্তৃতার মাধ্যমে জনসাধারণকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মাদ্রাসায় মুক্তিযোদ্ধাদের ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। [2][2][4]
মৃত্যু
আবুল হাসান যশোরী ৮ জুলাই ১৯৯৩ সালে যশোরে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে যশোর রেল স্টেশন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। [1][2]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "যশোরী, আবুল হাসান - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-৩০।
- লেখকঃ মুফতী আব্দুল্লাহ ফারুক, ভাষা: বাংলা (১ মে ২০০৫)। আল্লামা আবুল হাসান যশোরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি : জীবন ও আদর্শ। ঢাকা, বাংলাদেশ: কোহিনূর লাইব্রেরী। পৃষ্ঠা ১২৮।
- "আকরাম ফারূক স্মৃতি তার ভোলা ভার"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-৩০।
- BanglaNews24.com। "রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি যশোরের ৫১ শহীদের"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-৩০।