আফতাব আহমাদ

অধ্যাপক ড. আফতাব আহমাদ (৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৯ - ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬) একজন বাংলাদেশী একাডেমিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [1] ২০০৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আহমেদকে ঢাকার বাসায় হত্যা করা হয়েছিল। [2] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বহিষ্কার সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে আগস্ট ২০১৮ সালে এই অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। [3][4]

অধ্যাপক ড. আফতাব আহমাদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রাক্তন উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
৫ জুলাই ২০০৩  ২০ জুলাই ২০০৫
পূর্বসূরীআবদুল মোমিন চৌধুরী
উত্তরসূরীওয়াকিল আহমেদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৪৯-১২-৩১)৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৯
নোয়াখালী, পূর্ব বেঙ্গল, Dominion of Pakistan
মৃত্যু২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬(2006-09-26) (বয়স ৫৬)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তা বাংলাদেশ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়

আহমেদ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মির্জানগরে জন্মগ্রহণ করেন। [5] তিনি ১৯৬৬ সালে এসএসসি এবং ১৯৬৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে বিএ (অনার্স) এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন । তিনি ১৯৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।

পেশা

আহমেদ ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৮১ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ১৯৮৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৩ সালের জুলাই থেকে জুলাই ২০০৫ অবধি বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [1] পুরো ৪ বছরের মেয়াদ শেষ করার আগেই তিনি পদ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। [6] এরপর তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের[5]

উল্লেখযোগ্য অবদান

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের "বীরশ্রেষ্ঠ", "বীরউত্তম", "বীরপ্রতীক", "বীরবিক্রম" এই খেতাব গুলোর প্রস্তাব তিনিই প্রথম করেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মৃত্যু

২৩ সেপ্টেম্বর ২০৬ তিন বন্দুকধারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় আহমেদের বাসায় হামলা করে এবং তাকে গুলিবিদ্ধ করে। [2] তাকে সামোরিতা হাসপাতালে এবং পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিন দিন পরে, রক্ত জমাট বাঁধার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরে আহমেদ মারা যান। [5] ২০০৮ সালে খুনের মামলার চার সন্দেহভাজন আসামির মধ্যে একটি তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং হত্যার সাথে জড়িত থাকার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তির নাম প্রকাশ করে। [7] ঢাকার একটি আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের পরিদর্শকের জমা দেওয়া ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনায় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। [8]

ব্যক্তিগত জীবন

আফতাব আহমেদ নূরজাহান আফতাবকে বিয়ে করেছিলেন। [5]

তথ্যসূত্র

  1. "National University Bangladesh"www.nu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  2. "Former National University VC Aftab Ahmad shot (Updated)"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  3. "BNP to bring back reformist, inactive leaders"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  4. "Ex-BNP lawmaker held over former NU VC murder"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  5. "Bullet-wounded Prof Aftab dies"The Daily Star। ২০০৬-০৯-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  6. "NU VC removed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  7. "Prof Aftab murder: BNP leader Tripti arrested after a decade"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
  8. "Aftab killing case: BNP ex-MP Tripti's bail rejected"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.