আজারবাইজান-কানাডা সম্পর্ক

আজারবাইজান-কানাডা সম্পর্ক, আজারবাইজান এবং কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৯২ সাল থেকে এই দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। কানাডার রাজধানী অটোয়া তে আজারবাইজানের দূতাবাস রয়েছে, কিন্তু আজারবাইজানে কানাডার কোন দূতাবাস নেই।

আজারবাইজান-কানাডা সম্পর্ক

আজারবাইজান

কানাডা

পটভূমি

১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর, আজারবাইজানের পার্লামেন্ট একটি সাংবিধানিক প্রস্তাব অনুমোদন এবং গ্রহণ করে। যেই প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে আজারবাইজানের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় এবং রাশিয়া ও আজারবাইজান সহ মোট ১৫ টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। ওইদিনই কানাডা, আজারবাইজানসহ সোভিয়েত পরবর্তী বাকি সব দেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দান করে।

পরে, ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই, আজারবাইজান ও কানাডার মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[1] যদিও দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, তবুও আজারবাইজানে কানাডার কোন দূতাবাস নেই। তুরস্কে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূতের কাছেই আজারবাইজান সম্পর্কিত দায়িত্ব ন্যাস্ত রয়েছে এবং আজারবাইজানের কোন নাগরিকের এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে, তুরস্ক বা নিকটবর্তী কোন দেশে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হয়।[2] তবে কানাডার রাজধানী অটোয়ায়, আজারবাইজানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে এবং তা স্থাপিত হয়েছিল ২০০৪ সালে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক

আজারবাইজান এর তেল ও গ্যাস শিল্পে কানাডীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এছাড়াও কানাডা, আজারবাইজানের পেট্রোলিয়াম শিল্পে এবং শক্তি উৎপাদন ও সরবরাহ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করছে। ২০০৪ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমান ছিল ১২.৬ মিলিয়ন (১.২৬ কোটি) কানাডীয় ডলার।এই ক্ষেত্রে, কানাডার সাথে আজারবাইজানের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। বাণিজ্যের মূল্যমানের অধিকাংশই ছিল কানাডা থেকে আজারবাইজানে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্যমান।

২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, আজারবাইজান এবং কানাডা সরকার করের উপর একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করে। চুক্তির বিষয়বস্তু ছিল, দ্বৈত করারোপ এবং এবং বার্ষিক কর ফাঁকির বিষয়টি প্রতিরোধ করা এবং আয় ও মূলধনের ভিত্তিতে কর ধার্য করা।[3]

২০০৮ সালে আজারবাইজান থেকে কানাডার আমদানির মূল্যমান ছিল ১.১৬৮ মিলিয়ন (১১.৬৮ লক্ষ) ডলার। অপরদিকে ওই একই বছর আজারবাইজানে, কানাডার রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্যমান ছিল ১৯.৭১৩ মিলিয়ন (১.৯৭ কোটি) ডলার। যা আজারবাইজানের রপ্তানির তুলনায় বহুগুণ বেশি ছিল [1]

২০১০ সালে এই এই দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০৮ এবং ২০০৯ সালের চেয়ে আরও কমে যায়। ২০০৯ সালে যেখানে কানাডার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার, সেখানে ২০১০ সালে গিয়ে তা দাঁড়ায় ৫৪২ মিলিয়ন (৫৪.২ কোটি) ডলার। যা ছিল অর্ধেকেরও কম।[2]

আজারবাইজানকে দেয়া কানাডার কারিগরিগত সহায়তার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয়, তা কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিআইডিএ), প্রদান করে। বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রকল্পের মাধ্যমে সিআইডিএ এই অর্থায়ন করে থাকে। এছাড়াও, স্থানীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি কানাডা ফান্ড রয়েছে, যার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে আঙ্কারাতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের কাছে।

তথ্যসূত্র

  1. Embassy of Azerbaijan in Canada। "Azerbaijan-Canada relations"। ২০১৫-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টো ৩, ২০১১
  2. Government of Canada। "Canada-Azerbaijan relations"। সংগ্রহের তারিখ অক্টো ৩, ২০১১
  3. McRae, Donald (২০০৭)। Canadian Yearbook of International Law 2005৪৩। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা 599। আইএসবিএন 978-0-7748-1359-4।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.