আসাম গণপরিষদ

অসম গণ পরিষদ বা অগপ ভারতের অসম রাজ্যের একটি আঞ্চলিক দল। ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক অসম শান্তিচুক্তির পর প্রফুল্ল কুমার মহন্ত দেশের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলে অগপ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫-১৯৮৯ ও ১৯৯৬-২০০১ সময়কালের মধ্যে দুইবার অগপ অসমে সরকার গঠন করে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্ত দলত্যাগ করে অসম গণ পরিষদ (প্রগতিশীল) গঠন করলে দল অগপ ভেঙে যায়। কিন্তু ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর গোলাঘাটে আবার দুই দলের মিলন ঘটে। লোকসভারাজ্যসভায় অগপ-র সদস্য সংখ্যা যথাক্রমে এক ও দুই। দলের লোকসভা সদস্য জোসেফ টোপো তেজপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত।

অসম গণ পৰিষদ
(অসম গণ পরিষদ)
নেতাপ্রফুল্ল কুমার মহন্ত
প্রেসিডেন্টঅতুল বোরা
মহাসচিবরমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা
প্রতিষ্ঠাতাপ্রফুল্ল কুমার মহন্ত
প্রতিষ্ঠা১৯৮৫
সদর দপ্তরগোপীনাথ বড়দলুই রোড, আমবাড়ী, গুয়াহাটি
যুব শাখাঅসম যুব পরিষদ
মহিলা শাখাঅসম মহিলা পরিষদ
কৃষক শাখাঅসম কৃৃষক পরিষদ
মতাদর্শআঞ্চলিকবাদ
জাতিগত স্বাদেশিকতা
স্বীকৃতিআঞ্চলিক দল[1]
জোটউত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট
রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক জোট
লোকসভায় আসন
রাজ্যসভায় আসন
০ / ২৪৫
আসাম-এ আসন
১৪ / ১২৬

বর্তমানে এই দলটি উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের অংশ৷ উত্তর পূর্বের বিভিন্ন আঞ্চলিক এর অংশীভূত এবং রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক জোট (ভারত)|রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক জোট দ্বারা সমর্থিত৷

ইতিহাস

বাংলাদেশ থেকে অবৈধ বিদেশীদের আসামে আসা থেকে আটকাতে সদৌ অসম ছাত্র সন্থা পরিচালিত ছয় বছর ব্যাপী আসাম চুক্তির ফলস্বরূপ অগপ বা আসাম গণ পরিষদ রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয়৷[2] বহুবছর ধরে আসামের অসমীয়া নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা অবৈধ ও অযাচিত অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমাগত আগমনে আসামের জনতাত্ত্বিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন হবে বলে আশঙ্কা করেন৷

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আসু শান্তিপূর্ণভাবে আইন মেনে আসামে আগত বহিরাগতদের বৈধতা বিচার করে অবৈধদের নির্বাচনী তালিকা থেকে বাতিল করার দাবীতে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেন৷ আন্দোলনটি বেশ কিছুবছর ধরে চললেও ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে চুক্তিবদ্ধভাবে এবং আইনসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়৷

আসুর নেতৃৃত্বে আসামের আঞ্চলিক পরিষদগুলি, যেমন- অসম সাহিত্য সভা, অসম জাতীয়তাবাদী দল, পূর্বাঞ্চলীয় লোক পরিষদ, সদৌ আসাম কর্মচারী পরিষদ, অসম জাতীয়তাবাদী যুব-ছাত্র পরিষদ, অসম যুবক সমাজ, সদৌ আসাম কেন্দ্রীয় ও অর্ধকেন্দ্রীয় কর্মচারী পরিষদ প্রভৃতি থেকে প্রতিনিধিরা একত্র হয়ে সদৌ আসাম গণ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে৷

নতুন দিল্লিতে এবাধিকবার কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা হয় এবং অবশেষে ১৫ই আগষ্ট ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে সাক্ষী রেখে আসু এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে অসম চুক্তি সাক্ষরিত হয়৷ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পর সংঘটিত বৃৃহত্তম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হিসাবে আসাম আন্দোলনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে৷ কিন্তু এরই মধ্যে আসামে ঘটে যাওয়া নেলি হত্যাযজ্ঞটি ভারতে অতি বর্বরোচিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি৷

বহিঃসংযোগ

  1. "List of Political Parties and Election Symbols main Notification Dated 18.01.2013" (PDF)। India: Election Commission of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৩
  2. "Official Website"। ৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.