অতিপ্রাকৃত কাহিনি

অতিপ্রাকৃত কাহিনি[1] একটি সাহিত্য ও মিডিয়া বর্গ যেটার কাহিনিকৌশল বা থিমে প্রাকৃতিক বিশ্ব ও বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর অসঙ্গতি উঠে আসে, এক অতিপ্রাকৃত ঘটনা।

বিস্তৃত অর্থে, অতিপ্রাকৃত কাহিনিতে অলৌকিক কাহিনি, হরর ফিকশন, ভ্যাম্পায়ার সাহিত্য, ভূতের গল্প এবং ফ্যান্টাসি বর্গের উদাহরণ পাওয়া যায়। আবার অতিপ্রাকৃত কাহিনির উপাদান ব্যবহৃত হয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতে। অন্যান্য বর্গের মূল বৈশিষ্ট্য, যেমন "ভৌতিক" বা "ফ্যান্টাসি" উপাদান বাদ দেওয়ায় একাডেমিক, পাঠক এবং সংগ্রাহকেরা অতিপ্রাকৃত কাহিনিকে একটি স্বনির্ভর বর্গ হিসেবে স্থান দেন।[1] কেবলমাত্র ঐতিহ্যবাহী ভৌতিক গল্প বর্গটিকেই অতিপ্রাকৃত কাহিনি পুরোপুরি গ্রহণ করেছে।[2]

বিশ শতকে অতিপ্রাকৃত কাহিনির সাথে মনস্তাত্ত্বিক কাহিনি সংযুক্ত হতে দেখা যায়। ফলে গল্পের উদ্ভট পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হিসেবে অতিপ্রাকৃতকে উপস্থাপন করা হয়। এরকম একটি ধ্রুপদী উদাহরণ হলো হেনরি জেমসের দ্য টার্ন অফ দ্য স্ক্রু যেখানে বর্ণিত ঘটনাগুলোর অতিপ্রাকৃত এবং মনস্তাত্বিক দুই ধরনের ব্যাখ্যাই দেয়া হয়। এই দ্ব্যর্থতা কাহিনিকে আরো রহস্যময় করে তোলে।[3] অনুরূপ আরেকটি দৃষ্টান্ত শার্লট পার্কিনস গিলম্যানের গল্প দ্য ইয়েলো ওয়ালপেপার

অতিপ্রাকৃত কাহিনি জনপ্রিয় হতে থাকে, কিন্তু যেহেতু এটি সংজ্ঞায়িত করা কঠিন এবং সাধারণ লোকেরা তা পুরো বুঝতে না পারায়, প্রকাশক, বইবিক্রেতা বা গ্রন্থাগারে এটিকে স্বতন্ত্র বিপণন শ্রেণী হিসেবে ধরা হয়না। বিক্রির সময় হয় একে মূলধারার সাহিত্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নয়ত অন্য কোনো উপবর্গ বলে চালিয়ে দেয়া হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Cavaliero, Glen (১৯৯৫)। The Supernatural and English Fiction। Oxford, England: Oxford University Press।
  2. Wilson, Neil (২০০০)। Shadows in the Attic: A Guide to British Supernatural Fiction, 1820–1950। London: The British Library।
  3. Bleiler, Everett F. (১৯৮৩)। The Guide to Supernatural Fiction। Kent, Ohio: Kent State University Press। পৃষ্ঠা 277–278।

আরো পড়ুন

  • পেনজল্ট, পিটার (১৯৫২)। দ্ সুপারন্যাচারাল ইন ফিকশন। লন্ডন: পি. নেভিল।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.