ট্রয়

ট্রয় (গ্রিক: Τροία, ত্রোইয়া, অথবা Ίλιον, ইলিয়ন; লাতিন ভাষায়: Trōia, Īlium; হিত্তীয় ভাষায়: Wilusa বা Truwisa) একটি কিংবদন্তির শহর যাকে কেন্দ্র করে বিখ্যাত ট্রয়ের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই শহর এবং সংশ্লিষ্ট যুদ্ধের বর্ণনা প্রাচীন গ্রিসের অনেক মহাকাব্যেই দেখা যায়। বিশেষত ইলিয়াড-এর নাম করা যেতে পারে। হোমার রচিত অমর দুই মহাকাব্যের একটি এই ইলিয়াড। ট্রয়ের নাগরিক এবং সংস্কৃতি বোঝাতে ট্রোজান শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

ট্রয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান

ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
অবস্থান	প্রাচীন গ্রিস, তুরস্ক
আয়তন
মানদণ্ড	ii, iii, vi[1]
তথ্যসূত্র	৮৪৯
স্থানাঙ্ক	৩৯°৫৭′২৭″ উত্তর ২৬°১৪′২০″ পূর্ব
শিলালিপির ইতিহাস	১৯৯৮ (২২তম সভা)
ওয়েবসাইট	www.muze.gov.tr/troia-en
[উইকিউপাত্তে সম্পাদনা করুন]

একই নামের অন্যান্য ব্যবহারের জন্য দেখুন: ট্রয় (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

বর্তমানে ট্রয় একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের নাম। হোমারের ইলিয়াডে যে ট্রয়ের উল্লেখ রয়েছে সেটিকেই এখন ট্রয় নামে আখ্যায়িত করা হয়। এর অবস্থান আনাতোলিয়া অঞ্চলের হিসারলিক নামক স্থানে। ট্রয়ের তুর্কী নাম ত্রুভা। অর্থাৎ, আধুনিক হিসারলিক-ই সেই প্রাচীন ট্রয় নগরী। এর ভৌগোলিক অবস্থান তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কানাক্কাল প্রদেশের সমুদ্র সৈকতের নিকটে এবং আইডা পর্বতের নিচে দার্দানেলিসের দক্ষিণ পশ্চিমে।

রোমান সম্রাট অগাস্টাসের রাজত্বকালে প্রাচীন ট্রয় নগরীর ধ্বংসস্তুপের উপর ইলিয়াম নামে নতুন একটি শহর নির্মিত হয়। কনস্টান্টিনোপল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ইলিয়াম বিকশিত হয়েছে, কিন্তু বাইজান্টাইন রাজত্বের সময় ধীরে ধীরে এর পতন হতে থাকে। ১৮৬৫ সালে ফ্রানক কার্লভার্ট ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ সরবপ্রথম ট্রয় নগরীর সন্ধান পান।তিনি হিসার্লিকে এক কৃষকের কাছ থেকে এক খন্ড জমি কিনে খনন কাজ শুরু করেন। কিন্তু তা সমাপ্ত করতে পারেন নি।

১৮৭০ সালে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ হাইনরিশ শ্লিমান এই এলাকায় খনন কাজ শুরু করেন। এই খনন চলতে থাকায় এক সময় প্রমাণিত হয় যে, এখানে একের পর এক বেশ কয়েকটি শহর নির্মিত হয়েছিল। সম্ভবত এই শহরগুলোরই একটি হোমারের ট্রয় (ট্রয় ৭)। অবশ্য এ নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু এটা প্রায় নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, হিত্তীয় রচনায় উল্লেখিত উইলুসা শহরটি এখানেই অবস্থিত ছিল। অনেকে মনে করেন ইলিয়ন এই উইলুসা নামেরই গ্রিক সংস্করণ।

১৯৯৮ সালে ট্রয় নামক এই প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত হয়।