শ্রোণীর প্রদাহ রোগ

শ্রোণীর প্রদাহ রোগ বা পি আই ডি (ইংরেজি: Pelvic Inflammatory Disease) বা পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ সাধারণত জরায়ু, ডিম্বনালি ও অন্যান্য প্রজনন অংগের সংক্রামণকে বলা হয়। এই রোগ কেবল মহিলাদের ক্ষেত্রে হতে দেখা যায়। [1][2] কোনো একজন মহিলার যোনী অথবা জরায়ু মুখ থেকে ব্যাক্টেরিয়াগুলি যখন ক্রমশ ওপরের প্রজনন অংগগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ ঘটায় - তখন এই রোগ আরম্ভ হয়। পি আই ডি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিন্তু যৌন সংক্রামক দুটি রোগের ব্যাক্টেরিয়ার জন্য মূলত এই রোগ হতে দেখা যায়। এই দুটো হল: ক্লামিডিয়া ও গনোরিয়া[2][3] যৌনসংগমে সক্রিয় মহিলার প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেশি। ২৫ বছরের মহিলাদের এমন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের থেকে অধিক। যেহেতু কিশোরী ও যুবতীদের জরায়ু মুখ ভালভাবে পরিণত নয়, সেজন্য সেইসব মহিলার পি আই ডি র সাথে যৌনসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। [2]

Pelvic Inflammatory Disease
Micrograph of salpingitis - a component of pelvic inflammatory disease. H&E stain.
শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ
বিশিষ্টতাস্ত্রীরোগ-সম্বন্ধীয় শল্যচিকিৎসা
আইসিডি-১০N৭০-N৭৭
আইসিডি-৯-সিএম৬১৪-৬১৬
ডিজিসেসডিবি৯৭৪৮
মেডলাইনপ্লাস০০০৮৮৮
ইমেডিসিনemerg/410
পেশেন্ট ইউকেশ্রোণীর প্রদাহ রোগ
মেএসএইচD০০০২৯২ (ইংরেজি)

লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ

Mucopurulent cervical discharge seen on a Q-tip
Illustration of pelvic inflammatory disease

এই রোগের লক্ষণগুলি কখনও বাহ্যিক ভাবে দেখা দেয় না,[4] আবার কখনো খুব সাংঘাতিক ধরনের দেখা দেয়। ক্লামোডিয়ার ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রামিত হ’লে মহিলাদের কোনো উপসর্গই দেখা দেয় না বা অল্প দেখা দেয়। কিন্তু আভ্যন্তরীণ প্রজনন অংগগুলির ভয়াবহ ক্ষতি হয়। পি আই ডি তে আক্রান্ত মহিলার সাধারণ একটি উপসর্গ হ’ল- তলপেটে ব্যথা; অন্যান্য উপসর্গগুলির ভিতরে জ্বর, অস্বাভাবিক বেয়া গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব, যৌন সংগম করার সময়ে কষ্ট পাওয়া ও অনিয়মিত ঋতুস্রাব।[4][5][6]

প্রতিরোধ

যেকোনো যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধের উচিত উপায় হ’ল-যৌন সম্পর্ক না করা অথবা যৌন সংক্রামক রোগ না থাকা একজন ব্যক্তিকে যৌন সংগী করে নেওয়া।[7]

তথ্যসূত্র

  1. Campion, Edward W.; Brunham, Robert C.; Gottlieb, Sami L.; Paavonen, Jorma (২১ মে ২০১৫)। "Pelvic Inflammatory Disease"। New England Journal of Medicine372 (21): 2039–2048। doi:10.1056/NEJMra1411426। PMID 25992748
  2. Mitchell, C; Prabhu, M (ডিসেম্বর ২০১৩)। "Pelvic inflammatory disease: current concepts in pathogenesis, diagnosis and treatment."। Infectious disease clinics of North America27 (4): 793–809। doi:10.1016/j.idc.2013.08.004। PMID 24275271
  3. World Health Organization (২০১২)। "Global incidence and prevalence of selected curable sexually transmitted infections - 2008" (PDF)who.int। পৃষ্ঠা 2, 19। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
  4. "Pelvic Inflammatory Disease (PID) Clinical Manifestations and Sequelae"cdc.gov। অক্টোবর ২০১৪। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
  5. Chang, A. H.; Parsonnet, J. (২০১০)। "Role of Bacteria in Oncogenesis"Clinical Microbiology Reviews23 (4): 837–857। doi:10.1128/CMR.00012-10। PMID 20930075আইএসএসএন 0893-8512পিএমসি 2952975
  6. Chan, Philip J.; Seraj, Ibrahim M.; Kalugdan, Theresa H.; King, Alan (১৯৯৬)। "Prevalence of Mycoplasma Conserved DNA in Malignant Ovarian Cancer Detected Using Sensitive PCR–ELISA"। Gynecologic Oncology63 (2): 258–260। doi:10.1006/gyno.1996.0316। PMID 8910637আইএসএসএন 0090-8258
  7. "Pelvic Inflammatory Disease (PID) Patient Counseling and Education"। Centers for Disease Control। অক্টোবর ২০১৪। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
  • আইএনডিজি দল।

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Diseases of the pelvis, genitals and breasts

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.