ডিম (খাদ্য)

ডিম হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রানীর স্ত্রী জাতির পাড়া একটি গোলাকার বা ডিম্বাকার জিনিস যা মেমব্রেনের স্তর দ্বারা ঘিরে থাকা ডিম্বক এবং বহিরাবরণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। বহিরাবরণের মূল কাজ হলো এর অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা ভ্রূণকে এবং ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্ষা করা। মুরগী ও কচ্ছপের ডিমসহ বেশীরভাগ মুখরোচক ডিমই শক্ত বহিরাবরণ বা ডিমের খোসা, অ্যালবুমেন (সাদা অংশ),ডিমের কুসুম এবং কিছু মেমব্রেন দিয়ে তৈরী। ডিমের সকল অংশই খাদ্যপোযোগী, যদিও খোসা সাধারণত বাদ দেয়া হয়। পুষ্টিগতভাবে ডিম প্রোটিন ও কোলিনের উৎকৃষ্ট উৎস।

বাঙালি রন্ধনশৈলীতে ইলিশ মাছের ডিম গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
মুরগীর ডিম (বামে) এবং কোয়েল পাখির ডিম (ডানে) জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত খাদ্য

মুখরোচক রো এবং ক্যাভিয়ার হচ্ছে মাছের ডিম।

ডিমের গঠন

একটি মুরগীর ডিমের বিভিন্ন অংশ:
১. ডিমের খোসা
২. বহিঃমেমব্রেন
৩. অন্তঃমেমব্রেন
৪. চালাযা (Chalaza)
৫. বহিঃঅ্যালবুমেন
৬. মধ্য-অ্যালবুমেন
৭. ভিটেলাইন মেমব্রেন
৮. নিউক্লিয়াস অব প্যান্ডার
৯. গার্মিনাল চাকতি
১০. হলুদ কুসুম
১১. সাদা কুসুম
১২. অন্তঃঅ্যালবুমেন
১৩. চালাযা
১৪. বায়ু কোষ
১৫. কিউটিকল

পুষ্টিগুণ

সম্পুর্ণ সেদ্ধ করা আস্ত মুরগীর ডিম
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) পুষ্টিগত মান
শক্তি৬৪৭ কিজু (১৫৫ kcal)
1.12 g
10.6 g
প্রোটিন
12.6 g
ভিটামিনসমূহ
ভিটামিন এ সমতুল্য
(18%)
140 μg
থায়ামিন (বি)
(6%)
0.066 mg
রিবোফ্লাভিন (বি)
(42%)
0.5 mg
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি)
(28%)
1.4 mg
ফোলেট (বি)
(11%)
44 μg
চিহ্ন ধাতুসমুহ
ক্যালসিয়াম
(5%)
50 mg
লোহা
(9%)
1.2 mg
ম্যাগনেসিয়াম
(3%)
10 mg
ফসফরাস
(25%)
172 mg
পটাশিয়াম
(3%)
126 mg
দস্তা
(11%)
1.0 mg
অন্যান্য উপাদানসমূহ
পানি75 g
Choline225 mg
Cholesterol424 mg

খাদ্যপোযোগী অংশের জন্য। খোসার জন্য ১২% বাদ
  • একক
  • μg = মাইক্রোগ্রামসমূহ   mg = মিলিগ্রামসমূহ
  • IU = আন্তর্জাতিক এককসমূহ
Percentages are roughly approximated using US recommendations for adults.
Source: USDA Nutrient Database

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.