মুজিবুর রহমান খান ফুলপুরী
মুজিবুর রহমান খান ফুলপুরী বা মুজিবুর রহমান খান (ইংরেজি: Mujibur Rahman Khan) (১৮৮৯ - ৫ জানুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের একজন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী। তিনি বহু প্রবন্ধে কৃষকদের উপর শোষণ অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন। সুসং অঞ্চলের কৃষক ও আদিবাসীদের বিদ্রোহ ও টঙ্ক প্রথার বিভীষিকাময় খবর প্রকাশের দায়ে ইংরেজ শাসক কর্তৃক কারারুদ্ধ হন। সুসং দুর্গাপুর অঞ্চলে হাজং ও প্রজা বিদ্রোহের সময়ে তার সম্পাদিত চাষী পত্রিকায় প্রখ্যাত পণ্ডিত ও তৎকালীন ভারতীয় কৃষক প্রজা সমিতির সভাপতি রাহুল সাংকৃত্যায়নের কৃষক ও আদিবাসী সমস্যা সংক্রান্ত প্রবন্ধ প্রকাশ করতেন। ধনবাড়ির জমিদার নওয়াব হাসান আলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এই পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির একজন প্রথম শ্রেণির সংগঠক, প্রগতিশীল গণ-আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক হিসেবে সকল মহলের শ্রদ্ধা অর্জন করেন।
মুজিবুর রহমান খান ফুলপুরী | |
---|---|
জন্ম | |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
শৈশব ও কর্মজীবন
মুজিবুর রহমান খান ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পাগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রূপসী ভাট্টা গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং ছাত্র ববৃত্তি পান। ফুলপুর যতীন্দ্র হাই স্কুলে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। অধ্যয়নরত অবস্থায় স্বদেশী স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগদান করেন। প্রসিদ্ধ কংগ্রেস নেতা সূর্যসোমের প্রেরণায় কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯১৮ থেকে পরবর্তী কয়েক বছর ময়মনসিংহ জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন। ১৯২৯ সালে ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লিগের সম্পাদক নিযুক্ত হন। প্রজা আন্দোলনের জোয়ারে কৃষক-প্রজা দলে যোগ দেন এবং একে ফজলুল হকের ঘনিষ্ঠ সাহচর্য লাভ করেন। ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত কৃষক প্রজা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক চাষী পত্রিকা ১৯৩৬ সনের ২৬ জুন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই পত্রিকার আজীবন সম্পাদক ছিলেন। পত্রিকাটি বিশেষভাবে ময়মনসিংহের কৃষক ও গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[1]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, প্রথম পুনর্মুদ্রণ এপ্রিল ২০০৩, পৃষ্ঠা ২৮৯-২৯০, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৩৫৪-৬