মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়

মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় ভারত সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশনের অধীন একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০০১ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় সংসদের মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন (২০০০) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। [1] মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল ২০০৭ অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি সরকারি পরিদর্শক হিসাবে এবং মিজোরামের গভর্নর প্রধান রেক্টর হিসাবে কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। [2] আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যগুলি হচ্ছে শিক্ষার এমন শাখায় শিক্ষানুরাগী ও গবেষণা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জ্ঞানের বিস্তার ও অগ্রগতি সাধন করা, যেগুলি উপযুক্ত বলে মনে হতে পারে, মানবিক, প্রাকৃতিক ও শারীরিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক সমন্বিত পাঠ্যসূচির জন্য বিধান করা ,বন বিভাগ এবং অন্যান্য অনুষদভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা; শিক্ষার শৃঙ্খলাভিত্তিক গবেষণা ও গবেষণার উদ্ভাবনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ; মিজোরাম রাজ্যের উন্নয়নে মানব শক্তিকে শিক্ষিত করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান; সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে বিশেষ মনোযোগ প্রদান এবং সেই রাষ্ট্রের জনগণের কল্যাণে, তাদের বুদ্ধিগত, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক বিকাশ । এই গুলি মাথায় রেখে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত এবং প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে।

মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়
নীতিবাক্যবৃহত্তর কর্মকাণ্ড
ধরনপাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২০০১ (2001)
মূল প্রতিষ্ঠান
এনইএইচইউ
উপাচার্যঅধ্যাপক কে.আর.এস. সামবাসিভা রাও
রেক্টরমিজোরাম সরকার
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা
232
অবস্থান, ,
৭৯৬০০৪
,
২৩.৭৩৯৪° উত্তর ৯২.৬৬৫১° পূর্ব / 23.7394; 92.6651
শিক্ষাঙ্গনগ্রামীণ
অধিভুক্তিইউজিসি, ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটির এসোসিয়েশন এআইআই
ওয়েবসাইটwww.mzu.edu.in

ইতিহাস

৩০ জুন ১৯৮৬ তারিখে মিজোরাম ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং ভারত সরকারের মধ্যে মিজোরাম অ্যাকর্ডের ফলটি হল নিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়। [3] তবে, এটি সূচনা থেকে শুরু নয়। ১৯৭৮ সাল থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার সদর দপ্তর ছিল শিলং, মিজোরাম ক্যাম্পাস টি চালু ছিল। [4] ২০০৮ সালের ২রা জুলাই ভারতীয় সংসদ কর্তৃক মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বলে এনইএইচইউ এর বিদ্যমান মিজোরাম ক্যাম্পাসের সমস্ত সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ার তাই সমগ্র মিজোরাম এর মধ্যে বিস্তৃত। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি শিক্ষা বিভাগ এনইএইচইউ থেকে চলে এসেছিল, কিন্তু এখন এটির মোট ১৮ টি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। বর্তমান দশম পরিকল্পনার মধ্যে এখানে মোট সাতাশটি বিভাগ চালুর আশা রয়েছে। গত দুই দশক ধরে এনইএইচইউ -এর অধীন বিশ্ববিদ্যালয়টি আইজলের বিভিন্ন ভাড়া বাড়ী থেকে কাজ চালায়।

মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ।

বিদ্যায়তন

ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্যের পার্শ্ববর্তী মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রধান প্রশাসন এবং তানহরিল আইজল এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের কিছু শিক্ষা বিভাগের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। অল্প কিছু শিক্ষা বিভাগ ও স্পোর্টস সেল, মেডিকেল ক্লিনিক এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন প্রধান ক্যাম্পাসে সুসংহত ভাবে কাজ করছে। মিজোরাম সরকার কর্তৃক ইজারা দেওয়া তানহরিলের সবুজ ও মনোরম পাহাড় সমন্বিত ৯৭৮.১৯৮৮ একর (৩৯৫.৮৬৩০ হেক্টর) পরিমাপের একটি জমিতে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসটি রয়েছে। [5] নির্মান কাজের জন্য ডোনার প্রদত্ত ২৫ কোটি টাকা এবং মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউজিসি গ্রান্টের প্রত্যাশিত প্রতিশ্রুতি ৩৪.৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন এবং নির্মাণ কাজগুলির সৌজন্যে এটি এখন বিরাট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছে।

তথ্যসূত্র

  1. "The Mizoram University Act of 25 April 2000"। ৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৮
  2. "Further Discussion On The Mizoram University"http://indiankanoon.org। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১২ |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. Mizoram Accord, 1986, Memorandum of Settlement
  4. NEHU Library
  5. "Introduction"। Mizoram University Website। ১৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.