দরিয়াগঞ্জ
দরিয়াগঞ্জ (আক্ষরিকভাবে এর অর্থ নদীতে পরিবহন করার হাট বা বন্দর) হলো দিল্লির একটি অঞ্চল, যা পুরান দিল্লি বা শাহজাহানাবাদের দুর্গঘেরা শহরের অন্তর্ভুক্ত৷ দরিয়া মানে নদী, এখানে শাহজাহানাবাদের দুর্গের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার কথাই বোঝায়৷ মধ্য দিল্লি জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে একটি হলো দরিয়াগঞ্জ৷ উপজেলাটি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু রোডের শুরুতে অবস্থিত দিল্লি গেট থেকে লালকেল্লাগামী সড়ক অবধি বিস্তৃৃৃত৷
দরিয়াগঞ্জ दरियागंज | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() দরিয়াগঞ্জে রবিবারে বইয়ের বাজার | |
![]() ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে শাহজাহানাবাদ (যা বর্তমানে পুরান দিল্লি নামে পরিচিত)-এর মানচিত্রে দরিয়াগঞ্জের অবস্থান৷ | |
![]() ![]() দরিয়াগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২৮.৬৪৪৩° উত্তর ৭৭.২৪২০° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
রাজ্য | দিল্লি |
জেলা | মধ্য দিল্লি |
সরকার | |
• শাসক | দিল্লি পৌরসংস্থা |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,২৩,৪৫৯ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | হিন্দি, ইংরাজী, উর্দু, পাঞ্জাবি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ১১০০০২ [1] |
নাগরাক ব্যবস্থাপনা | দিল্লি পৌরসংস্থা |
ইতিহাস
দরিয়াগঞ্জে দিল্লির অন্যতম পুরানো সেনানিবাস রয়েছে৷ ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দের পর আপৎকালে সৈন্য সরবরাহের জন্য এখানে ভারতীয়দের সৈন্যশিবির তৈরী হলেও পরে তা আরো নদীতটের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পুরানো দিল্লিতে বর্তমান 'নতুন দরিয়াগঞ্জ'টি ছিলো ব্রিটিশ দরিয়াগঞ্জ সেনানিবাস, যা একসময়ে দিল্লিতে ব্রিটিশ উপনিবেশের সূত্রপাত বলে মনে করা হয়৷ নতুন দরিয়াগঞ্জ বাজারটি আগে ফৈজ বাজার নামে পরিচিত ছিলো৷ বাংলা-পাঞ্জাব ভাগের পর এই অঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে বণিক সম্প্রদায় এসে বসবাস করা শুরু করেন৷ [2] দরিয়াগঞ্জের পূর্বদিকে যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত রাজঘাট স্মৃতি সমাধিস্থল৷ [3] দরিয়াগঞ্জের ফুলমণ্ডী তথা ফুলের বাজারটি ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে স্থাপিত হয়৷ শুধু তাই নয় বর্তমানে কম ভৌগোলিক অবস্থান সত্ত্বেও বাজারটির যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে৷ [4][5] ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে নতুন দিল্লিতে ভারতের রাজধানী স্থাপন করার পরে পাহাড়গঞ্জ এবং দরিয়াগঞ্জই ছিলো দুটি অঞ্চল যা পুরান ও নতুন দিল্লি মধ্যবর্তী অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হতো৷ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই অঞ্চল দুটি "দেওয়ালঘেরা শহর" নামে পরিচিতি পায়৷ এদের মধ্যে দরিয়াগঞ্জ ছিলো দেওয়াল বেষ্টিত শহরের প্রান্তের দিকে "দিল্লি গেট"-এর নিকটে অবস্থিত৷ [6]
রন্ধনশৈলী
দরিয়াগঞ্জে অবস্থিত দিল্লির পুরানো রেস্তোরাঁ মোতি মহল ডিলাক্স ছিলো দিল্লির কোনো এককালের একমাত্র রেস্তোরাঁঁ৷ কুন্দনলাল জাগ্গি, ঠাকুরদাস মগো, কুন্দনলাল গুজরাল[7] এঁদের মিলিত প্রচেষ্টার আবিষ্কার বাটার চিকেন (মুর্গ মাখনি) এবং আধুনিক ভাবে তৈরী ডাল মাখনি বিশেষ প্রসিদ্ধি পায়৷ [8] এটি মূলত পাঞ্জাবি খাবার নির্মাণের জন্য খ্যাত৷ অপর একটি নামকরা রেস্তোরাঁ হলো চোর বাজারি, যা ডিলাইট সিনেমা হলের নিকটে অবস্থিত এবং এটি বেশকিছু বছর ধরে আগতদের কাশ্মীরি খাবার পরিবেশন করে আসছে৷ [9]
এদুটি ছাড়াও দিল্লিবাসীর কাছে দরিয়াগঞ্জ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকানের জন্য খ্যাত৷ দরিয়াগঞ্জে স্থানীয় ও পর্যটকদের অন্যান্য গন্তব্যগুলি হলো, বানিয়াঁ অব গুপ্তাজি, দেবী কে কুলচে, পিণ্ডি কা দহি ইত্যাদি৷
তথ্যসূত্র
- http://www.citypincode.in/PinCodeOf.jsp?area=Darya%20Ganj%20&district=Central%20Delhi
- "Darya Ganj has colonial facade"। The Times of India। ১৪ এপ্রিল ২০১০।
- Fanshawe, p. 67
- Ashok Kumar Jain (২০০৯)। Urban transport: planning and management। APH Publishing। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 81-313-0441-8।
- "Pin Code of Daryaganj Delhi"। citypincode.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০৯।
- "A tale of two cities"। Hindustan Times। ১ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২০১৫-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "100 years of Dilli Khana"। Business Line। ২০১১।
- The modern dal makhani was invented by Moti Mahal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ মার্চ ২০১২ তারিখে Vir Sanghvi website.