জিবাল

জিবাল (আরবি: جبال) নামটি আরবদের দেওয়া উমাইয়া এবং আব্বাসীয় খিলাফতের অধীন পশ্চিমা ইরানে অবস্থিত একটি অঞ্চল এবং প্রদেশের নাম।

দশম শতাব্দীর নিকট প্রাচ্যের ১৮৮৬ সালের একটি মানচিত্রে জিবাল প্রদেশ।

এই নামের অর্থ "পর্বতমালা", যা "জাবাল" (পর্বত, পাহাড়) শব্দের বহুবচন এবং এটি জাগরোসের পর্বতময় প্রকৃতিকে নির্দেশ করে।[1][2] দ্বাদশ থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জিবাল নামটি কার্যতপক্ষে ব্যবহৃত হত না এবং এটি মেসোপোটেমিয়ার "আরব ইরাক" থেকে ইরাক আজামি ("পারস্যিক ইরাক")কে আলাদাভাবে বুঝাতে গিয়ে ভুলক্রমে এসেছে। [1][3][4] অঞ্চলটির কখনই নির্দিষ্ট কোন সীমানা ছিলনা কিন্তু এর চারপাশ ঘিরে পূর্বে ছিল মারানজাব মরুভূমি, দক্ষিণে ফারস প্রদেশ এবং খুজিস্তান, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পশ্চিমে ইরাক, উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজান[1][3]

দশম শতাব্দীতে আব্বাসীয়রা এর ওপর কর্তৃত্ব হারানোর পুর্বে জিবাল একটি আলাদা প্রদেশ ছিল এবং এর রাজধানী ছিল রেই।[3] যদিও নবম শতাব্দীর অধিকাংশ সময় জুড়ে অঞ্চলটি স্থানীয় স্বাধীন জুলাফিয় রাজবংশ কর্তৃক শাসিত হয়েছিল।[3][5] দশম শতাব্দীর শেষভাগ এবং একাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে জিবলের বড় অংশ বাইড আমিরাতে পরিণত হয়, যখন এর দক্ষীণ অংশ কাকুইয়দের অধীন ছিল।[3]

জিবাল এবং আজারবাইজানকে পাহলা অঞলের (ফাহলা) অংশ বলে মনে করা হত।[6] পাহলা নামটি পাহলাভিয়াত (কবিতা) এবং পাহলাভির সাথে সম্পর্কিত।

তথ্যসূত্র

  1. Lockhart 1965, পৃ. 534।
  2. Le Strange 1905, পৃ. 185।
  3. Bosworth 1998, পৃ. 538।
  4. Le Strange 1905, পৃ. 185–186।
  5. Donner 1995, পৃ. 476–477।
  6. Crone, Patricia (২০১২)। The Nativist Prophets of Early Islamic Iran। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 978-1-139-51076-9। In the period of interest to us, the Pahla region was the Jibal and Azerbaijan (including Rayy and Isfahan

উৎস

  • Bosworth, C. E. (১৯৯৮)। "ʿERĀQ-E ʿAJAM(Ī)"Encyclopaedia Iranica, Vol. VIII, Fasc. 5। পৃষ্ঠা 538। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  • Donner, Fred M. (১৯৯৫)। "DOLAFIDS"Encyclopaedia Iranica, Vol. VII, Fasc. 5। পৃষ্ঠা 476–477। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.