হ্যামলেট (২০১১-এর চলচ্চিত্র)

হ্যামলেট (ইংরেজি: Hamlet) হল ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি কানাডিয়ান ড্রামা চলচ্চিত্র। উইলিয়াম শেকসপিয়রের হ্যামলেট অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেন ব্রুস র‍্যামসে। এটি ছিল তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। ছবিটি নির্মিত হয়েছে পুনর্কথনের ভঙ্গিতে। ছবিতে দেখা যায়, ১৯৪০-এর দশকের লন্ডন শহরের প্রেক্ষাপটে হ্যামলেট তাঁর বাবার হত্যার রহস্য সমাধানে অবতীর্ণ হয়েছে। পরিচালনার পাশাপাশি ব্রুস র‍্যামসে এই ছবিতে হ্যামলেট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। অন্যান্য মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন লারা গিলক্রিস্ট, পিটার উইংফিল্ড, গিলান বার্বার ও ডানকান ফ্রেজার। ভ্যাঙ্কুবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিলাভ করে।

হ্যামলেট
পরিচালকব্রুস র‍্যামসে
প্রযোজক
  • ব্রুস র‍্যামসে
  • জ্যাকি গল্ড
  • জন ক্যাসিনি
চিত্রনাট্যকারব্রুস র‍্যামসে
উৎসউইলিয়াম শেকসপিয়র কর্তৃক 
হ্যামলেট
শ্রেষ্ঠাংশে
  • ব্রুস র‍্যামসে
  • লারা গিলক্রিস্ট
  • পিটার উইংফিল্ড
  • গিলান বার্বার
  • ডানকান ফ্রেজার
সুরকারশন টোজার
চিত্রগ্রাহকমাইকেল সি. ব্লান্ডেল
সম্পাদক
  • লিসা রবিনসন
  • ফ্র্যাঙ্কো প্যান্টে
প্রযোজনা
কোম্পানি
হ্যামলেট প্রোডাকশনস
পরিবেশকব্রেকিং গ্লাস পিকচার্চ
মুক্তি
  • ১১ অক্টোবর ২০১১ (2011-10-11) (ভ্যাঙ্কুবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব)
দৈর্ঘ্য৮৯ মিনিট
দেশকানাডা
ভাষাইংরেজি

কলাকুশলী

  • ব্রুস র‍্যামসে - রাজপুত্র হ্যামলেট
  • লারা গিলক্রিস্ট - ওফেলিয়া
  • পিটার উইংফিল্ড - রাজা ক্লডিয়াস
  • গিলান বার্বার - গার্ট্রুড
  • ডানকান ফ্রেজার - পোলোনিয়াস
  • হেইগ সাদারল্যান্ড - লার্টেস
  • স্টিফেন লোবো - হোরাশিও
  • রাসেল রবার্টস - রাজা হ্যামলেট

মুক্তি

২০১১ সালের ১১ অক্টোবর ভ্যাঙ্কুবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হ্যামলেট ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।[1] ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ছবিটি অংশত মুক্তিলাভ করে।[2]

প্রতিক্রিয়া

রিভিউ অ্যাগ্রিগেটর রটেন টম্যাটোজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ জন সমীক্ষাকারী সমালোচকদের কেউই ছবিটির প্রশংসামূলক সমালোচনা করেননি এবং ছবিটির গড় রেটিং ২/১০।[3] ভ্যারাইটি পত্রিকার জো লেডন ছবিটি সম্পর্কে লেখেন যে, এটি "অল্পক্ষেত্রেই একটি ভালো প্রচেষ্টার উপরের স্তরে উঠেছে", তবে সমগ্র আখ্যানটিকে ৯০ মিনিটের মধ্যে বেঁধে এটি অনুরাগী ও বিশেষজ্ঞদের কৌতুহল জাগিয়ে তুলতে পারে।[4] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার নিকোলাস র‍্যাপোল্ড লেখেন, "মি. র‍্যামসে নাটকটিকে একটি নির্দিষ্ট খাতে প্রবাহিত করার ব্যাপারে এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে সক্ষম হলেও, তিনি আখ্যানের কোণগুলিকে এমনভাবে ছোটো করেছেন যে মনে হয়েছে কেন্দ্রীয় অংশটিই বাদ পড়ে গিয়েছে।"[5] লস এঞ্জেলস টাইমস পত্রিকার অ্যানলি এলিংসন মাচ অ্যাডু অ্যাবাউট নাথিং ছবির সৃজনশীলতার সঙ্গে তুলনা করে এই হ্যামলেট ছবিটির নেতিবাচক সমালোচনা করেন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. "Spotlight on BC Filmmakers at VIFF 2011"Vancouver International Film Festival। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩
  2. "Bruce Ramsay's HAMLET Coming to Select Screens in January"BroadwayWorld.com। ২০১৪-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩
  3. "Hamlet (2014)"Rotten Tomatoes। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩
  4. Leydon, Joe (২০১৪-০১-১০)। "Film Review: 'Hamlet'"Variety। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩
  5. Rapold, Nicolas (২০১৪-০১-০৯)। "The Danish Prince and His Family Drama"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩
  6. Ellingson, Annlee (২০১৪-০১-১৬)। "Review: 'Hamlet,' as postwar soap opera"Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.