হুইয়া

হুইয়া (হেটেরালোচা অকুটিরোস্টিস) হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ওয়াটেল জাতের পাখির সব থেকে বড় প্রজাতি, এরা নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের এন্ডেমিক প্রানী - এই দ্বীপেই শুধু এদের দেখা যায়। দুইটি প্রধান কারণে ২০ শতকের শুরু থেকে এদের বিলুপ্তি শুরু হয়েছে। পৃথিবী ব্যাপী জাদুঘরসমূহ এবং ধনী সংগ্রাহকদের কাছে হুইয়া পাখির চামড়ার চাহিদা থাকায় অতিরিক্ত হারে হুইয়া পাখি শিকার হয় এবং দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে ইউরোপীয় সেটেলার রা উত্তর দ্বীপে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে এরা কৃষিজমির জন্য ব্যাপক হারে নিম্নভুমির জঙ্গল ধ্বংস করে ফেলছে।

হুইয়া
A pair of huia (male in front of female)

Painting by J.G. Keulemans from W.L. Buller's A History of the Birds of New Zealand (1888)


বিলুপ্ত  (1907)  (আইইউসিএন ৩.১)[1]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Callaeidae
গণ: Heteralocha
Cabanis, 1851
প্রজাতি: H. acutirostris
দ্বিপদী নাম
Heteralocha acutirostris
(Gould, 1837)
Light green: original range
Dark green stripes: 1840 range
Red: site of 1907 last confirmed sighting
Yellow: sites of later unconfirmed sightings
প্রতিশব্দ

Neomorpha acutirostris (female)
Neomorpha crassirostris (male)
Heteralocha gouldi

শ্রেনীবিন্যাস

Taxidermy

হুইয়া পাখির লাতিন নাম হেটেরালোচা এসেছে গ্রীক শব্দ ἕτερος "আলাদা" এবং ἄλοχος "স্ত্রী" থেকে। হুইয়া পুরুষ ও স্ত্রী পাখির ঠোঁটের গড়ন আলাদা। ১৮৩৬ সালে জন গৌল্ড হুইয়া পাখির দুটি জাতের কথা উল্লেখ করেনঃ নিওমর্ফা একুটিরোস্টিস, স্ত্রী পাখির নমুনার উপর ভিত্তি করে এবং নিয়োমর্ফা ক্রাসসিরোস্ট্রিস, পুরুষ পাখির নমুনার উপর ভিত্তি করে।

বর্ণনা

Painting by J.G. Keulemans of a female, a male, and a white female

হুইয়া পাখির, স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের, চোখের রঙ বাদামী, ঠোঁট হাতির দাঁতের মত সাদা, গোড়ার দিকে হালকা ধূসর। পা এবং পায়ের পাতা লম্বা, ধূসর নীল, আঙুল গুলো হাল্কা বাদামী[2]। হুইয়ার লেজে ১২ [3] টি কালো পালক থাকে। প্রতিটি আড়াই থেকে তিন সেমি লম্বা এবং শেষাংশে সাদা ব্যান্ড[4][5]

বাসস্থান

নিউজিল্যান্ডের প্রধান দুই জংগলে হুইয়া পাখিদের বসবাস। তাদেরকে মাতাই, রিমু, কাহিকাটি, নর্দান রাতা, মেইরে, হিনাউ, টোটারা, রিওয়ারিয়া, মাহোই এবন তারাইরি গাছে বাস করে। এদেরকে কখনো পোড়া জংগলে অথবা চাষবাসের জন্য উন্মুক্ত জমিতে দেখা যায় নি।

স্বভাব

হুইয়া পাখির চলাফেরা সম্পর্কে খুবই কম জানা যায়। ধারণা করা হয় ঋতুভেদে হুয়াই পাখি আবাস বদলায়। গ্রীষ্মে এরা জংগলে বাস করে এবং শীতে নিম্নভুমির জংগলে নেমে আসে। হুয়াই পাখি খুব ভালো উড়তে পারে না। এরা অল্প অল্প দূরত্বে ওড়ে।

মানুষের সাথে সম্পর্ক

মাওরি লোকাচারে সাদা হিরন এবং হুইয়া পাখি সাধারনত খাওয়া হয় না তবে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা হুইয়া পাখি দিয়ে তৈরী গহনা পরে থাকেন। হুইয়া পাখি খুবই সাহসী, ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় না, তাই এদেরকে ধরা খুব সহজ। মাউরিরা ডাক নকল করে হুইয়া পাখিকে ডাকে, কাছাকাছি এলে তরি, তীর-ধনুক দিয়ে হত্যা করে। এরা সবসময় জোড়া বেধে থাকে। তাই একই সাথে এক জোড়া ধরা খুবই সহজ।

তথ্যসূত্র

  1. "Heteralocha acutirostris"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩
  2. Falla, R. A.; Sibson, R. B.; Turbott, E. G. (১৯৭৯)। The New Guide to the Birds of New Zealand। Collins। আইএসবিএন 0-00-217563-0।
  3. Best 2005
  4. Barrie and Robertson 2005

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.