হিজাব
হিজাব (/hɪˈdʒɑːb/, /hɪˈdʒæb/, /ˈhɪ.dʒæb/ or /hɛˈdʒɑːb/;[1][2][3][4] আরবি: حجاب, উচ্চারণ [ħiˈdʒæːb] or [ħiˈɡæːb]) একটি নেকাব যা মাথা এবং বুক আবৃত করে থাকে, এবং যা নির্দিষ্টভাবে বয়ঃসন্ধি বয়স থেকে মুসলিম নারীদের কর্তৃক পরিহিত হয় তাদের পরিবারের বাহিরের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রত্যক্ষতা এড়াতে এবং কিছু ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক অ-মুসলিম মহিলারাও এটি পরিধান করে থাকে। এছাড়াও যে কোন মুসলিম নারী কর্তৃক এটি পরিহিত হয় তাদের মাথা, মুখ বা শরীর আবৃত করতে যা শালীনতাবোধের নিশ্চিত মানদণ্ড মেনে চলে। হিজাব এছাড়াও সার্বজনীন স্থানে পুরুষদের থেকে নারীদের অসম্পৃক্ত কারার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে, বা এটি সম্ভবত অধিবিদ্যামূলক ব্যাপ্তি অন্তর্ভুক্ত করে -- আল-হিজাব নির্দেশ করে "একটি নেকাব যা ঈশ্বরের কাছ থেকে পুরুষ বা বিশ্বকে পৃথক করে থাকে।[5]

![]() |
ইসলামী সংস্কৃতি |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
স্থাপত্য |
|
শিল্প |
|
পোশাক |
|
ছুটির দিন |
সাহিত্য |
সঙ্গীত |
থিয়েটার |
|
|
স্বাভাবিকভাবে, শালীনতাবোধ, গোপনতা এবং নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে মুসলিম নারীদের কর্তৃক হিজাব পরিহিত হয়ে থাকে। ইসলাম এবং মুসলিম বিশ্বের বিশ্বকোষ অনুযায়ী, কোরআনে পুরুষ এবং নারী উভয়ের "চোখে পড়া, চালচলন, পোশাক এবং যৌনাঙ্গের" শালীনতাবোধে গুরত্ব দেয়।[6] কোরআন মুসলিম নারীদের শালীনতাবোধের সাথে পোশাক পরিধান করতে এবং তাদের স্তনযুগল ও যৌনাঙ্গ আবৃত রাখতে নির্দেশনা দেয়।[7] অধিকাংশ ইসলামি বৈধ পদ্ধতিসমূহ এই শালীনতার ধরন সঙ্গায়িত করতে গিয়ে জনসম্মুক্ষে মুখমণ্ডল এবং হাত বহির্ভূত বাকিসব অবৃত করে পোশাক পরিধান কারার নির্দেশ উল্লেখ রয়েছে।[5][8] এই নির্দেশিকা (হাত, পা এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর আবৃত রাখার জন্য), কোরআন প্রকাশের পর ফিকাহ এবং হাদিসের লেখায় পাওয়া যায় কিন্তু হিজাব এসেছ কোরানের আয়া থেকে।[6]
আরবিতে হিজাব পদের সাহিত্যিক অর্থ “একটি অন্তঃপট বা পর্দা” এবং কোরআনে বিভাজন নির্দেশ করতে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। কোরআন বলে পুরুষ বিশ্বাসীরা (মুসলিম) মুহাম্মদের(সঃ) স্ত্রীদের সাথে কথা বলত একটি পর্দার আড়াল থেকে। এই পর্দা পুরুষদের দ্বায়িত্বের অংশ ছিল মুহম্মদের(সঃ) স্ত্রীদের নয়। এই থেকে অনেকে দাবী করে কোরানের মুহম্মদের(সঃ) স্ত্রীদের হিজাব প্রয়োগের নির্দেশ থাকলেও, সাধারণ নারীদের নেই। যদিও হিজাব প্রায়শই পুরুষ কর্তৃক নারীদের নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দহীন করতে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে পশ্চিমাদের কর্তৃক ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, এই চর্চা ভিন্নভাবে ভিন্ন প্রসঙ্গে উপলব্ধ হয়।[9]
বিশ্ব হিজাব দিবস
বিশ্ব হিজাব দিবস একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান, যা ১লা ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। হিজাব দিবস প্রথম ২০১৩ সালে পালিত হয়, এটি নাজমা খান দিবসটি পালন শুরু করেন। দিবসটি বিশ্বব্যাপী সকল মুসলিম ও অমুসলিম নারী যারা হিজাব পড়ে তারা পালন করে।[10]
আরো দেখুন
টীকা
- "Definition of hijab in Oxford Dictionaries (British & World English)"। Oxforddictionaries.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- "Hijab – Definition and More from the Free Merriam-Webster Dictionary"। Merriam-webster.com। ২০১২-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- "hijab noun – definition in British English Dictionary & Thesaurus – Cambridge Dictionary Online"। Dictionary.cambridge.org। ২০১৩-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- "Definition of hijab"। Collins English Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- Glasse, Cyril, The New Encyclopedia of Islam, Altamira Press, 2001, p.179-180
- Encyclopedia of Islam and the Muslim World (2003), p. 721, New York: Macmillan Reference USA
- Martin et al. (2003), Encyclopedia of Islam & the Muslim World, Macmillan Reference, আইএসবিএন ৯৭৮-০০২৮৬৫৬০৩৮
- Fisher, Mary Pat. Living Religions. New Jersey: Pearson Education, 2008.
- "Should the Hijab be banned in schools, public buildings or society in general?"। Debate.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- "World Hijab Day"। Worldhijabday.com।