হাঁপানি
হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সম্বলিত রোগ। কার্যতঃ এটি শ্বাসনালীর অসুখ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা যা এসেছে গ্রিক শব্দ Asthma থেকে। বাংলায় হাঁপানি। যার অর্থ হাঁপান বা হাঁ-করে শ্বাস নেয়া। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট (Dyspnoea) । সারা বিশ্বের প্রায় ১৫ কোটিরও বেশি মানুষ আ্যাজমা বা হাঁপানীতে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ হাজার লোক এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং মাত্র পাঁচ শাতংশ রোগী চিকিৎসা লাভ করে।
হাঁপানি / Asthma | |
---|---|
![]() peak flow meter | |
শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ | |
বিশিষ্টতা | ফুসফুসবিদ্যা[*], immunology[*] |
আইসিডি-১০ | J৪৫ |
আইসিডি-৯-সিএম | ৪৯৩ |
ওএমআইএম | ৬০০৮০৭ |
ডিজিসেসডিবি | ১০০৬ |
মেডলাইনপ্লাস | ০০০১৪১ |
ইমেডিসিন | med/177 emerg/৪৩ |
পেশেন্ট ইউকে | হাঁপানি |
মেএসএইচ | C08.127.108 (ইংরেজি) |
লক্ষণসমূহ
হাঁপানির লক্ষণসমূহ নিম্নরূপঃ
- শ্বাসকষ্ট
- সাঁ-সাঁ শব্দে কষ্টসহকারে শ্বাস নেয়া।
- শুকনো কাশি।
- বুকে চাপ ধরা বা দম বন্ধভাব অনুভব করা।
প্রকারভেদ
মানবদেহে হাঁপানি তিনভাবে প্রকাশ হতে পারেঃ
- আপাত সুস্খ লোকের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট আরম্ভ হয়ে কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টা পরে কষ্ট উপশম এবং রোগী আবার নিজেকে সুস্খ মনে করেন।
- শ্বাসকষ্ট হঠাৎ আরম্ভ হয়ে আর কমে না; উপরন্তু বেড়ে যেতে থাকে। কোনো ওষুধে হাঁপানি কমে না। যদি এ অবস্খা বারো ঘণ্টার বেশি স্খায়ী হয়, তবে সে ধরনের হাঁপানিকে বলা হয় স্ট্যাটাস অ্যাজম্যাটিকাস বা অবিরাম তীব্র হাঁপানি।
- একশ্রেণীর রোগীর শ্বাসপথে বাতাস চলাচলে সব সময়েই অল্প বাধা থাকে। বহু দিন এ অবস্খা থাকার ফলে কষ্টের অনুভূতি কম হয় এবং রোগী অল্প কষ্ট অনুভব করেন। কোনো কারণে শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে আরো বাধার সৃষ্টি হলে তখনই হাঁপানির কষ্ট অনুভূত হয়।
তথ্যসূত্র
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.