সেক্স লিঙ্কড জিনের ইনহেরিট্যান্স

সেক্স লিঙ্কড জিনের ইনহেরিট্যান্স বা বংশগতি হলো এক ধরনের বিশেষ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সেক্স লিঙ্কড জিন বা সেক্স ক্রোমোজোমাল বৈশিষ্ট্য সর্বদা পিতা হতে কন্যা এবং মাতা হতে পুত্রে সঞ্চারিত হয়।[1]

ইতিহাস

সেক্স লিঙ্কড জিন সর্বপ্রথম আবিস্কৃত হয় ড্রসোফিলা মাছিতে। আমেরিকান জেনেটিসিস্ট টি. এইচ. মর্গান ড্রসোফিলা মাছিকে জেনেটিক্স গবেষণায় ব্যবহার করেছিলেন।[2]

সেক্স লিঙ্কড জিন

সকল একলিঙ্গিক প্রাণীতে দুই প্রকার ক্রোমোজোম দেখা যায়। অটোসোমাল ক্রোমোসোম বা অটোসোম ও সেক্স ক্রোমোসোম বা হেটারোসোম। প্রাণির লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে অটোসোমগুলোর কোন ভুমিকা থাকে না। কিন্তু সেক্স ক্রোমোসোম লিঙ্গ নির্ধারণে সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করে। জীববিজ্ঞানীরা সেক্স ক্রোমোসোমকে X ক্রোমোসোম নামে অভিহিত করেন। এই X ক্রোমোসোমে অবস্থিত জিনগুলোকে সেক্স লিঙ্কড জিন বলে।

সঞ্চারণ প্রক্রিয়া

সেক্স লিঙ্কড জিনগুলোর বংশগতি অটোসোম এর জিনগুলো থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন কেননা এই জিনগুলো শুধুমাত্র X ক্রোমোসোমের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়। অর্থাৎ এ জিনগুলো সর্বদা পিতা হতে কন্যা এবং মাতা হতে পুুত্রে সঞ্চারিত হয়। সঞ্চারণের এই বিশেষ পদ্ধতিকে সেক্স লিঙ্কড জিনের ইনহেরিট্যান্স বা বংশগতি বলা হয়।[3]

আরো দেখুন

বহিঃসূত্র

তথ্যসূত্র

  1. উদ্দিন, মো. নাজিম (জানুয়ারি ২০০৪)। জেনেটিক্স (৩য় সংস্করণ)। ৩৮, বাংলা বাজার, ঢাকা: নিসর্গ প্রকাশনী।
  2. ইসলাম, আহমদ শামসুল (১৯৯৫)। বংশগতিবিদ্যার মূল কথা। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমী।
  3. আখতারুজ্জামান, ড. ম. (২০০২)। বংশগতি বিদ্যা (৪র্থ সংস্করণ)। প্যারিদাস রোড, ঢাকা: হাসান বুক হাউজ।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.