সুনীতি একাডেমী

কোচবিহারের মহারাণী তাঁর মহিমা মহারাণী সুনীতি দেবী

বিদ্যালয়টি ১৮৮১ সালে কোচবিহারের মহারাজা দ্বারা সুনীতি কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনের মস্তিষ্ক মহারাণী সুনীতি দেবীর নামে এটির নামকরণ করা হয়েছিল।[1][2] তিনি ছিলেন কেশব চন্দ্র সেনের কন্যা।

বিদ্যালয়টি ১৯১৬ সালে সুনীতি একাডেমি হিসাবে পুনঃবিখ্যাত করা হয়। ১৯২৮ সালে সুনীতি একাডেমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।[3][4] তবে, বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত। ১৯৩৭ সালে, পূর্ব রাজ্যের গভর্নর জেনারেলের প্রতিনিধি সুনীতি একাডেমি দেখতে এসেছিলেন, তিনি এর পরিচালনায় অত্যন্ত অভিভূত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, এপিজে আবদুল কালাম বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছিলেন।[1] ২০০৪ সালে, গায়ত্রী দেবী, জয়পুরের রাজমাতা এবং কোচবিহারের রাজকন্যা একটি পরিদর্শন করেছিলেন।[1] ২০০৬ সালে, বিদ্যালয়টি এর ১২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। মহারাণী সুনীতি দেবীর দ্বিতীয় পুত্র মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুরের তিন কন্যা রাজকন্যা ইলা, গায়ত্রী এবং মেনাকা (কোচবিহারের রাজকন্যারা) তাদের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় সিউনি একাডেমী থেকে অংশ নিয়েছিলেন।

২০১৮ সালের মাধ্যমিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ১০ জনের মধ্যে সুনীতি একাডেমী থেকে রয়েছে চারজন।[5]

• অঞ্জনা ভৌমিক, অভিনেত্রী
• অপরাজিতা গোপ্পি, রাজনীতিবিদ ও কর্মী[6]
• পার্বতী বাউল, পারফর্মিং আর্টিস্ট

• নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়
• জেনকিন্স বিদ্যালয়