সুড়ঙ্গ

সুড়ঙ্গ ভূমির নিচে অবস্থিত একটি যাত্রাপথ, যেটি মাটি বা পাথরের ভেতর দিয়ে খনন করা হয় এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বাদ দেয়া হয়, সাধারণত শেষ প্রান্তে থাকে। এক্ষেত্রে একটি পাইপকে সুড়ঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না,যদিও আগের খনন করার প্রক্রিয়ার পরিবর্তে বর্তমানে ডুবন্ত টিউব ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ প্রস্তুত করা হয়।

বিভিন্ন সুড়ঙ্গ
ফ্রান্সে অবস্থিত সুড়ঙ্গ
গুয়ানাজুয়াতো, মেক্সিকোতে অবস্থিত রাস্তার সুড়ঙ্গের নকশা করা প্রবেশ পথ
তাইওয়ানের তাইপেই মেট্রো সুড়ঙ্গ
কোপেনহেগেন,ডেনমার্ক এর চার্ক খাল সুড়ঙ্গের দক্ষিণের অংশ যা ৪২১মিটার(১৩৮১ ফুট) লম্বা।

সুড়ঙ্গ মূলত হেঁটে চলাচল বা গাড়ি চলাচল, রেল চলাচল ও নৌকা চলাচলের জন্য হতে পারে। সুড়ঙ্গ একটি দ্রুত বাণিজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

কিছু সুড়ঙ্গ পানি নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু বৈদ্যুতিক তার ও টেলিযোগাযোগ তার পরিবহনেও সুড়ঙ্গের ব্যবহার হয়।

মিলিটারিরা মাঝে মাঝে গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করেন। সন্ত্রাসীরা মানব পাচার ও মাদকদ্রব্য পাচার করার জন্য গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে। বিশেষ সুড়ঙ্গ, যেমন বন্যপ্রাণীদের পারাপার পথ, মানুষের তৈরি বেড়াগুলো নিরাপদে পার করতে ব্যবহার করা হয়। সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে সুড়ঙ্গকে যুক্ত করা যায়।

পরিভাষা

সুড়ঙ্গ প্রায় সময় লম্বা ও সরু হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য মূলত ব্যাস এর দ্বিগুণ হয়ে থাকে, যদিও ভিন্ন ধরনের সুড়ঙ্গও তৈরি করা হয়, যেমন সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে আড়াআড়ি পথ।

সুড়ঙ্গের বর্ণনা স্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন যুক্তরাজ্যে রাস্তার সুড়ঙ্গের সঙ্গা হবে, "সুড়ঙ্গ একটি ১৫০মিটার(৪৯০ফুট) বা তার বেশি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ঘেরাওকৃত সড়ক।"[1] আবার যুক্তরাষ্ট্রে এনএফপিএর কাছে সুড়ঙ্গের সঙ্গা, "এটি একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা যেটির দৈর্ঘ্য ২৩মিটার থেকে বেশি ও ব্যাস ১,৮০০মিলিমিটার থেকে বেশি।"

যুক্তরাজ্যে রাস্তা বা রেলপথের নিচের যে সুড়ঙ্গ দিয়ে পথযাত্রী, সাইকেল বা প্রাণী চলাচল করে সেটি "সাবওয়ে" হিসেবে পরিচিত। যদিও ভুগর্বস্থ রেলপথ ব্যনস্থা বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন নামে পরিচিত। লন্ডনে এটি "টিউব" নামে,গ্লাসগোতে "সাবওয়ে" এবং নিউ ক্যাসলে "মেট্রো" হিসেবে পরিচিত। যেসকল রাস্তা বা রেললাইন অন্য রাস্তা বা রেললাইন এর নিচ দিয়ে যায় তা "সেতু" হিসেবে পরিচিত, অথবা নালির ভেতর দিয়ে গেলে সেটি জলনালি হিসেবে পরিচিত। এখানে একটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন যে, যদি এটি নিচ দিয়ে যায় তাহলে এটাকে বলা হয় আন্ডারপাস, যদিও যখন একটি রেলপথের নিচ দিয়ে যায় তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একে আন্ডারব্রিজ বলে। রাস্তা, নালি বা রেলপথ সম্বলিত একটি লম্বা আন্ডারপাসকে সুড়ঙ্গ বলা হয়ে থাকে, যদিনা এটি অন্য কোন বস্তু বা দালানের নিচ দিয়ে যায়। নদীর নিচে যেকোন আকারের আন্ডারপাসকে সুড়ঙ্গ বলা হয়, এটি যেকোন কিছু পরিবহনের জন্যই হোক না কেন।

যুক্তরাষ্ট্রে, সাবওয়ে মানে একটি ভুগর্বস্ দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং পথচারী আন্ডারপাস মূলত বাঁধ এর নিচে পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পথচারী সুড়ঙ্গ বা ফুটব্রিজগুলো রেল স্টেশন প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত থাকে।

ইতিহাস

১৯১৩ সালের জোরালেমন স্ট্রিট সুড়ঙ্গ, যেটি নিউ ইয়র্ক সিটি সাবওয়ে সিস্টেমের অংশ

প্রথম দিকের সুড়ঙ্গ প্রযুক্তি মাইনিংমিলিটারি ইন্জিনিয়ারিং থেকে উদ্ভুত। "মাইনিং"(খনিজ নিষ্কাশনের জন্য অথবা বিপরীত আক্রমণের জন্য) শব্দটির তত্ত্ব "মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং" এবং "সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং" এর মাঝে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ককে প্রকাশ করে।

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয়

আধুনিক সুড়ঙ্গের পূর্বে সেচ ও খাবারের জন্য পানি পরিবহন ও নালির কাজে সুড়ঙ্গ বানানো হত। প্রথম কানাত প্রায় ২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব আগের তৈরি।

ভূগর্বস্থ পর্যবেক্ষণ ও নকশা

একটি বড় সুড়ঙ্গের কাজ ভূমির পরিস্থিতি ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে শুরু করা হয়। ভূমির ধরন পরীক্ষায় পাতাল থেকে মাটির নমুনা নেয়া বা অন্য ভূগর্বস্থ প্রক্রিয়া ব্যবহার হয়। পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মাটি খননে কোন প্রক্রিয়া ও কি কি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে যা অচিন্তিত কোন ভূমির পরিস্থিতির ঝুঁকি হ্রাস করে। রাস্তা বানানোর সময়, অনুভূমিক ও উলম্ব রেখার সমতা রাখা হয় যাতে ভূমির সঠিক ব্যবহার করা যায়। সাধারণত সুড়ঙ্গ গভীরে স্থাপন করা হয় অথবা প্রয়োজন হয়, এতে শক্ত পাথর বা অন্যান্য কোন বস্তুর ভেতর দিয়ে খনন করা যায় যেগুলো খননের সময় সহজ ঠেক হিসেবে কাজ করে।

গতানুগতিক টেবিলে বসে কোন স্থানের সম্পর্কে বেশি তথ্য পাওয়া যায়না। যেমন:ঝুঁকিপূর্ন জায়গার অবস্থান ও পাথরের ধরন বা প্রকৃতি সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। বড় প্রস্থের সুড়ঙ্গের ক্ষেত্রে এটি একটি সমস্যা। আরো তথ্য জানার জন্য একটি পাইলট সুড়ঙ্গ (বা ড্রিফট সুড়ঙ্গ) তৈরি করা হয়। ছোট এই সুড়ঙ্গটি যেকোন বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে কাজে লেগে থাকে। বিকল্প হিসেবে অনেক সময় মূল সুড়ঙ্গের সামনে আনুভূমিক কূপও তৈরি করা হয়।

অন্যান্য ভূমির বৈশিষ্ট্য:

  • স্ট্যান্ড আপ টাইম হলো সাহায্য ছাড়া কোন সুড়ঙ্গের দাঁড়িয়ে থাকার সময়ের পরিমাণ।এই মান জেনে ইন্জিনিয়াররা বুঝতে পারে কোন সাহায্য ছাড়া খনন কাজ কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে,এটির উপর নির্ভর করে সুড়ঙ্গ নির্মাণে কত সময় লাগবে ও কত অর্থ ব্যয় হবে।মূলত পাথর ও কাদার মিলনের স্ট্যান্ড আপ টাইম সবচেয়ে বেশি হয়।আবার বালি ও মাটির মিশ্রণের স্ট্যান্ড আপ টাইম কম হয়।[2]
  • ভূগর্বস্থ পানির নিয়ন্ত্রণ সুড়ঙ্গ নির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।সুুড়ঙ্গের ভেতর পানির প্রবেশ সুড়ঙ্গের স্ট্যান্ড আপ টাইম কমিয়ে দেয়,যা সুড়ঙ্গকে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে দেয়।পানি নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো সুড়ঙ্গের মাটিতে পাইপ বসানো যা পানিকে বের করে দেবে।[3] সবচেয়ে ভালো ও ব্যয়বহুল পদ্ধতি হলো গ্রাউন্ড ফ্রিজিং,এই পদ্ধতিতে ভূমিতে পাইপ রাখা হয় ও পাইপকে তরলের মাধ্যমে শীতল করা হয়।স্থায়ী কোন গঠন তৈরি না করা পর্যন্ত এটি চারপাশের মাটিকে জমাট অবস্থায় রাখে ও পানিকে বাইরে রাখে।
  • স্ট্যান্ড আপ সময় নিয়ন্ত্রনে সুড়ঙ্গের ক্রস সেকশন আকার অতি গুরুত্বপূর্ণ।সুড়ঙ্গের গর্তের প্রস্থ যদি এর উচ্চতা থেকে বড় হয় তাহলে সুড়ঙ্গের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হবে যা এটির স্ট্যান্ড আপ টাইম কমিয়ে দেবে।বর্গাকার ও আয়তাকার গর্তকে দাঁড় করানো একটু কঠিন কাজ কেননা সকল চাপ এর কোণাগুলোতে মিলিত হয়।[4]

সুড়ঙ্গ ও সেতুর নির্বাচন

বালটিমোরের হারবোর সুড়ঙ্গ,এটি পানি পারাপারের জন্য সেতুর বদলে সুড়ঙ্গ তৈরির একটি উদাহরণ

পানি পারাপারের জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি করা সেতুর থেকে বেশি ব্যয়বহুল। কিন্তু নৌচলাচলের জন্য উচ্চ ও অপসারণযোগ্য সেতুর ব্যবহার কমই হতে পারে ও জাহাজ চলাচলের জন্য তখন সুড়ঙ্গের প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিটি উপকূলে সেতুর গমনপথ সুড়ঙ্গের থেকে বড় হয়।ধনী জায়গাগুলোতে যেমন;ম্যানহাটনহংকং এ সুড়ঙ্গের পক্ষে থাকার এটি একটি বড় কারণ। বোস্টনের বিগ ডিগ প্রকল্পে রাস্তাকে একটি সুড়ঙ্গে পরিণত করা হয় যাতে যানচলাচল করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যানচলাচল কে লুকিয়ে রাখা যায় ও শহরটিকে পুনরায় নদীর মধ্যদিয়ে তৈরি করা যায়।

১৯৩৪ সালে সুউচ্চ সেতুর পরিবর্তে লিভারপুলে মার্সে নদীর নিচের কুইনসওয়ে সুড়ঙ্গ নির্বাচন করা হয়, এটা আশঙ্কা করা হতো যে যুদ্ধের সময় বিমান সেতুকে ধ্বংস করে দিতে পারে।সুউচ্চ সেতু যেটির নিচ দিয়ে পৃথিবীর বৃহৎ জাহাজও যেতে পারবে তার রক্ষণা বেক্ষণের ব্যয় একটি সুড়ঙ্গের ব্যয় থেকে বেশি। ১৯৭১ সালে মার্সের নিচে কিংসওয়ে সুড়ঙ্গটিরও একই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হ্যাম্পটন রোড, ভার্জিনিয়াতে সুকৌশলী বিবেচনার দ্বারা সুড়ঙ্গকে সেতুর থেকে বেশি পছন্দ করা হয়, ধ্বংসযজ্ঞ চলার সময় সেতু ধ্বংস হলে সেটি ইউএস নেভির জাহাজগুলোকে নাভাল স্টেশন নোরফোক ছেড়ে যেতে বাধা দিবে।

যেসকল সুড়ঙ্গ পানি পারাপারের জন্য সেতুর পরিবর্তে তৈরি করা হয়েছে এগুলো হলো;নিউ ইয়র্ক শহরে ম্যানহাটন ও নিউ জার্সির মধ্য হল্যান্ড ও লিঙ্কন সুড়ঙ্গ,ম্যানহাটন ও লং আইল্যান্ড এর ভেতর দ্যা কুইনস মিডটাউন সুড়ঙ্গ, মিসিরিও ও অন্টারিওর মাঝে ডেট্রয়েট-উইন্ডসর সুড়ঙ্গ, নোরফোক ও ভার্জিনিয়ার ভেতর এলিজাবেথ নদীর সুড়ঙ্গসমূহ,

নেদারল্যান্ড এর ওয়েস্টার্ন স্কেল্ট সুড়ঙ্গ এবং পিটসবার্গ, পেনসিলভিনিয়ার নর্থ শোর কানেক্টর সুড়ঙ্গ।

সেতুর বদলে সুড়ঙ্গ নির্বাচনের অন্যান্য কারণ হলো বন্যা, আবহাওয়ার বাধা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য, নির্মাণের সময় চলাচলের জন্য(চ্যানেল সুড়ঙ্গে ৫১.৫ কিলোমিটার বা ৩২ মাইল), সৌন্দর্যের বিবেচনায় (ভূমির উপরের দৃশ্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য) এবং ওজন ধারনক্ষমতার জন্যেও।

কিছু পানি পারাপার পথ সেতু ও সুড়ঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি। যেমন: ডেনমার্ক থেকে সুইডেন সংযোগ এবং ভার্জিনিয়াতে চেসাপিক বে সেতু-সুড়ঙ্গ।

সুড়ঙ্গের কিছু ঝুঁকি রয়েছে,বিশেষত গাড়ির জ্বালানি জ্বলনের পর যে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় তা লোকদের শ্বাসরোধ করতে পারে, যেমনটি ঘটেছিল ২০০১ সালে সুইজারল্যান্ড এর গোটহার্ড রোড সুড়ঙ্গে। বলভানো ট্রেন দুর্ঘটনাটি ছিল সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনা,এটি ১৯৪৪ সালে ইতালির আর্মি সুড়ঙ্গে ট্রেন থেমে থাকার জন্য হয়েছিল যাতে ৪২৬জন যাত্রী মারা যায়। নকশাকারীরা এই ধরনের ঝু্ঁকি কমানোর জন্য জরুরী অবস্থার বায়ু চলাচল ও প্রধান সুড়ঙ্গের সাথে একটি বের হওয়ার পথ বানিয়ে থাকেন।

কার্য পরিকল্পনা ও ব্যয় নির্ধারন

সুড়ঙ্গ নির্মাণে অনেক সময় সরকারের তহবিল প্রয়োজন হয়।[5] সুড়ঙ্গ নির্মাণের যখন পরিকল্পনা করা হয় তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনীতি ও অর্থনীতি গুরুত্ব বহন করে।সিভিল ইন্জিনিয়াররা স্থাপনা নির্মাণে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অবলম্বন করেন।কার্য পরিকল্পনায় কাজের সময় নির্ধারন ও জনবল ও উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।খনন করার স্থান ও বিভিন্ন যন্ত্র সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে।

সুড়ঙ্গের মতো যেকোন স্থাপনার ব্যয় ও এ থেকে আয় এর পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে।রাজনৈতিক কলহ সৃষ্টি হতে পারে,যেমন ২০০৫ সালে ইউএস হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিবস ১০০লক্ষ ডলারে একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণে রাজি হয়।কিন্তু নিউইয়র্ক এর পোর্থ অথোরিটি এই বিষয়ে জানত না।[6] অতিরিক্ত শুল্ক যুক্ত এধরনের কাজে বৈপরিত্যও সৃষ্টি হতে পারে।[7]

নির্মাণ

সুড়ঙ্গ খননে মূলত নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।যন্ত্রপাতিগুলো মূলত নরম কাদা ও শক্ত পাথর অনুসারে ভিন্ন হয়।সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রক্রিয়া নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে,যেমন:ভূমির অবস্থা,ভূমির নিচের পানির উচ্চতা,সুড়ঙ্গের প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য,সুড়ঙ্গের আকৃতি।তিন ধরনের সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রক্রিয়া বহুল প্রচলিত।

কাট এবং কভার

কাট এবং কভার হলো সাধারন সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রক্রিয়া।এ প্রক্রিয়ায় কোন খাই এর উপর ছাদ থাকে যেটিকে বহন করার জন্য নিচে পিলার থাকে।কাট এবং কভার এর দুটি নির্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে:

  • বটম-আপ পদ্ধতিঃ

ভূমির সাথে ঠেস দিয়ে একটি গর্ত খনন করা হয়,সুড়ঙ্গটি এই গর্তের ভেতর তৈরি করা হয়।গর্তটি পরে সাবধানে পূরণ করা হয় ও ভূমিটি পুনরায় বহাল হয়।

  • টপ-ডাউন পদ্ধতিঃ

স্লারি ওয়ালিং বা কনটিগাস বোরড পাইলিং পদ্ধতিতে ভূমি হতে পার্শ্ব ঠেক দেয়াল ও ক্যাপিং বিম নির্মাণ করা হয়। তারপর সরু খনন করা হয় যাতে পূর্বে নির্মিত বিম বা কনক্রিটের উপর সুড়ঙ্গ ছাদ তৈরি করা যায়। তারপর ভূমিটি প্রবেশেথ বাদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয়। এতে তাড়াতাড়ি সড়কপথ, বিভিন্ন ব্যবস্থা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য চালু হতে পারে। তারপর স্থায়ী সুড়ঙ্গ ছাদের নিচে খনন কাজ চালানো হয়, এবং ভূমির ফলক নির্মাণ করা হয়।

অগভীর সুড়ঙ্গগুলো মূলত কাট এবং কভার দ্বারা করা হয়(যদি পানির নিচে, ভাসমান নলের মতো হয়), যেখানে গভীর সুড়ঙ্গগুলো খনন করা হয় একটি সুড়ঙ্গ করার ঢাল ব্যবহার করে। মধ্যবর্তী পদের জন্য উভয় প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যায়।

বড় কাট এবং কভার বাক্সগুলো অনেকসময় ভূগর্বস্থ মেট্রো স্টেশনগুলোতে ব্যবহার করা হয়, যেমন লন্ডনে ক্যানারি হুয়ার্ফ টিউব স্টেশনে।

কাট এবং কভারের একটি বড় অসুবিধা হলো,নির্মাণের সময় ভূপৃষ্ঠে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়। এটি এবং বৈদ্যুতিক আকর্ষণের জন্য ১৯শতকের শেষের দিকে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের সুইচ গভীর স্তরে সুড়ঙ্গ খনন করতে সক্ষম হয়।

খননকারী যন্ত্র

পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথ সুড়ঙ্গ গটহার্ড বেস সুড়ঙ্গ, সুইজারল্যান্ড খননের কাজে ব্যবহৃত সুড়ঙ্গ খননকারী যন্ত্রটি দ্বারা একজন কর্মী চাপা পড়েছিল।

খননকারী যন্ত্র মূৃলত টিবিএম (সুড়ঙ্গ খননকারী যন্ত্র - টানেল বোরিং মেশিন) হিসেবে পরিচিত। সুড়ঙ্গ তৈরির কাজকে স্বয়ংক্রিয় করতে খননকারী যন্ত্র ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় যা সুড়ঙ্গের ব্যয় কমিয়ে দেয়। কিছু প্রধান শহুর জায়গাতে, রেল ও রাস্তা বসানোর বিকল্প হিসেবে সুড়ঙ্গ খননকে দ্রুত ও ব্যয় সাপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ব্যয়বহুল দালান ও ভূমি কেনার বাধ্যতার সাথে, সম্ভাব্য সুদীর্ঘ পরিকল্পনার অনুসন্ধান বাতিল হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে, আকার উইর্থ ক্যান্টন অফ গ্লোরাসে লিনথালের দক্ষিণে অবস্থিত লিন্থ-লিম্মার্ন পাওয়ার স্টেশন সম্প্রসারণ করার জন্য একটি টিবিএম সুইজারল্যান্ডে প্রেরণ করেন। খননকৃত গর্তটির ব্যাস ৮.০৩ মিটার (২৬.৩ফুট)।[8] সুইজারল্যান্ডে ৫৭ কিলোমিটারের (৩৫ মাইল) গোটহার্ড বেস সুড়ঙ্গটি খননের জন্য যে চারটি টিবিএম ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলোর ব্যাস ছিল ৯ মিটার (৩০ ফুট)। নেদারল্যান্ডসের এইচএসএল-জুইড এর অংশ হিসেবে গ্রীণ হার্ট সুড়ঙ্গ (ডাচঃ টানেল গ্রোয়েনে হার্ট) খননের জন্য একটি বৃহত্তর টিবিএম নির্মাণ করা হয়,যেটির ব্যাস ছিল ১৪.৮৭মিটার (৪৮.৮ফুট)। এই সবগুলো যন্ত্রের বেশিরভাগ তৈরি করেছে হেরেনকনেচ (ইংরেজিঃ Herrenknecht)।

বার্থা টানেল বোরিং মেশিন পৃথিবীর বৃহত্তম এই প্রজাতির মেশিন। ব্যাস ১৭.৫ মিটার। ওয়াশিংটন রাজ্য পরিবহন দপ্তরের অন্তর্গত দ্বি-স্তরীয় আলাস্কান ওয়ে ভায়াডাক্ট প্রতিস্থাপন টানেল তৈরিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। মেশিনটি তৈরী করে জাপানের ওসাকা শহরের হিটাচি জোসেন কর্পোরেশন।

ক্লে কিকিং

ক্লে কিকিং হলো শক্ত কাদাযুক্ত মাটিতে সুড়ঙ্গ খননের জন্য যুক্তরাজ্য দ্বারা তৈরি একটি বিশেষ পদ্ধতি। পূর্বের হস্তচালিত কুড়াল ব্যবহার যেগুলো শক্ত মাটির উপর নির্ভর করতো তার বিপরীতে, ক্লে কিকিং মূলত নীরব পদ্ধতি এবং নরম মাটির কোন ক্ষতি করেনা। যন্ত্রটি চালানো, কিকারটি মাটির একটি অংশ নিষ্কাশন করে, যেটিকে তারপর বাতিলকৃত নিষ্কাশনে রাখা হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, জার্মান সাম্রাজ্যেরর নিচে মাইন রাখার জন্য রয়েল ইঞ্জিনিয়ার টানেলিং কোম্পানিসস এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। এই পদ্ধতিটি অনেকটাই নীরবে হয় তাই শোনার মাধ্যমে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায়য় এটি সংবেদনশীল।[9]

কনক্রিট ছড়ানো পদ্ধতি

নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড(এনএটিএম) ১৯৬০এর দশকে আবিষ্কৃত হয় এবং এটি খুবই জনপ্রিয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়া যেটি সুড়ঙ্গ তৈরিতে নিরাপদ ঠেক প্রধানের জন্য গাণিতিক ও পরিক্ষামূলক মাপ ব্যবহার করে থাকে। এই পদ্ধতির প্রধান ধারনা হলো চারদিকের পাথরের ভরের ভূতাত্ত্বিক চাপকে কাজে লাগিয়ে সুড়ঙ্গকে স্থির রাখা। ভূতাত্ত্বিক মাপজোখের উপর নির্ভর করে একটি আড়াআড়ি অংশ নির্ধারন করা হয়। খনন কাজটি ছড়ানো কনক্রিটেরর স্তর দ্বারা সুরক্ষিত থাকে যাকে শটক্রিট বলা হয়।

ইল্লোওয়ারা ব্যাটারি উপযোগী সুড়ঙ্গ, পোর্ট কেমব্লা। এটি সিডনির দক্ষিণে থাকা খাদ গুলোর একটি।

পাইপ জ্যাকিং

পাইপ জ্যাকিং পদ্ধতিতে,হাইড্রোলিক জ্যাক ব্যবহার করে বিশেষভাবে তৈরি একটি পাইপকে মাটির ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়।এই পদ্ধতিটি সাধারণত কোন বিদ্যমান স্থাপনার নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়,যেমন:রাস্তা ও রেলপথ।পাইপ জ্যাকিং দ্বারা নির্মিত সুড়ঙ্গগুলো মূলত ছোট ব্যাসের হয় যার সর্বোচ্চ আকার ৩.২মিটার(১০ফুট) হয়।

বক্স জ্যাকিং

বক্স জ্যাকিং অনেকটা পাইপ জ্যাকিং এর মতো,কিন্তু পাইপ বা টিউবের জায়গায় এ পদ্ধতিতে বাক্স আকৃতির একটি সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়।বক্স জ্যাকের বিস্তার পাইপ জ্যাকের থেকে বড় হয়,কিছু বক্স জ্যাকের বিস্তার ২০মিটার(৬৬ফুট) হয়।

উত্তরন পথ

নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে নির্মাণেরর জন্য তৈরি করা পথটি বায়ুচলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।আবার জরুরী অবস্থায় বেরনোর পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

অস্থায়ী রাস্তা

সুড়ঙ্গ তৈরির সময় একটি অস্থায়ী রাস্তাও তৈরি করা হয়।এই রাস্তাতে রেললাইনের ব্যবস্থা করা হয়।এই লাইন দিয়ে খননের ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলা হয়।স্থায়ী রাস্তা তৈরি করা শেষ হলে এই অস্থায়ী রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

পরিবর্ধন

প্রাগের একটি সুড়ঙ্গ

যানচলাচলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সুড়ঙ্গকে পরিবর্তনন বা পরিবর্ধন করতে হতে পারে:

  • মিটাগংগের কাছে এক লাইনের জিব সুড়ঙ্গটিকে দুই লাইনের সুড়ঙ্গের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করা হয়,যেখানে মূল সুড়ঙ্গটি মাশরুম জন্মাতে ব্যবহার করা হয়।
  • ১৮৩২সালে লিভারপুলে এডজ হিল থেকে লাইম স্ট্রিট পর্যন্ত এক মাইল লম্বা দ্বৈত সড়কটি এডজ হিলের ৫০মিটার অংশ ও লাইম স্র্টিটের কিছু অংশ বাদ দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়, কারণ চার সড়কের প্রয়োজন ছিল। সুড়ঙ্গটিকে চার সড়কে গভীর খনন করা হয়, আর খননের বিভিন্ন জায়গায় ছোট সুড়ঙ্গ করা হয়। কাজ পরিচালনার সময় রেল ব্যবস্থাপনার কোন সমস্যা হয়নি।[10][11] খননের মাধ্যমে সুড়ঙ্গ প্রতিস্থাপনের এমন আরও উদাহরণ রয়েছে যেমন অবার্ন সুড়ঙ্গ।
  • ২০১৫সালে ইংল্যান্ডের ফার্নয়োর্থ সুড়ঙ্গটিকে খননকারী যন্ত্র (টিবিএম) ব্যবহার করে পরিবর্ধন করা হয়।[12] রাইনডাস্টন সুড়ঙ্গটি একি টিবিএম দ্বারা পরিবর্ধন করা হয় যাতে এটি আইএসও কন্টেইনার বহন করতে পারে।
  • মেঝে নিচু করার মাধ্যমেও সুড়ঙ্গ বড় করা যায়।[13]

ডুবন্ত সুড়ঙ্গ

জর্জিয়া চৌবাচ্চাতে শার্ক সুড়ঙ্গ

ডুবন্ত সুড়ঙ্গ বানানোর বিভিন্ন চেষ্টা করা হয়েছে,এর মধ্যে খনন কৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি খননকৃত সুড়ঙ্গ বা ডুবন্ত নল হলো জোবরিকা সুড়ঙ্গ ও মারমারে। বিবেচনাধীন এমন একটি বড় উদ্দ্যোগ হলো ডুবন্ত ভাসমান সুড়ঙ্গ যদিও বর্তমান সময়ে এমনকোন সুড়ঙ্গ তৈরি হয়নি।

খোলা দালানে গর্ত

একটি দালানের গর্তে মূলত অনুভূমিক ও উলম্ব সীমানা থাকে যা ভূগর্ভস্থ পানি ও মাটিকে গর্তের বাইরে থাকে। (অনুভূমিক ও উলম্ব) দালানের গর্ত সীমানার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্ভাব্য বিকল্প এবং সমাহার রয়েছে। কাট এবং কভারের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো খোলা দালানের গর্ত সুড়ঙ্গ নির্মাণেরর পর লুকায়িত হয়ে যায়; কোন ছাদ সেখানে দেয়া হয় না।

অন্যান্য নির্মাণ পদ্ধতি

  • গর্ত করা ও বিস্ফোরণ।
  • হাইড্রোলিক স্প্লিটার।
  • স্লারি-শিল্ড মেশিন।
  • ওয়াল-কভার নির্মাণ পদ্ধতি।

বিভিন্ন প্রকার সুড়ঙ্গ

দু'তলা ও একাধিক উদ্দেশ্যে সুড়ঙ্গ

ইয়েরবা বুয়েনা আইল্যান্ড এর ভেতর দিয়ে যাওয়া স্যান ফ্রান্সিস্কো-ওয়াকল্যান্ড বে ব্রিজের উপরি তলার ট্রাফিক পথ

কিছু সুড়ঙ্গ দু'তলার হয়, যেমন স্যান ওয়াকল্যাণ্ড বে সেতুর দুটি প্রধান অংশ যার্বা বুয়েনা আইল্যান্ডের মধ্যে একটি ৫৪০ফুট(১৬০মিটার) সুড়ঙ্গের সাথে সংযুক্ত হয়েছে, যেটি পৃথিবীর খনন করা সবচেয়ে বড় ব্যাস বিশিষ্ট সুড়ঙ্গ।[14] নির্মাণের সময় এটির নিচের তলায় বিপরীতমুখী রেল ও ট্রাকের পথ ছিল ও উপরের তলা ছিল অটোমোবাইলের জন্য, বর্তমানে এটির উভয় তলাকে একমুখী সড়ক যানের পথ হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে।

তুর্কিতে, বসফোরাসের নিচে ইউরেশিয়া সুড়ঙ্গটি ২০১৬সালে চালু হয়। এটির ভেতর ৫.৪কি.মি.(৩.৪মাইল) এর দু'তলা রাস্তা রয়েছে যার প্রতি তলায় দুই লাইনের রাস্তা রয়েছে।[15]

আরও ২০১৫সালে তুর্কিশ সরকার ঘোষণা করে যে তারা পৃথিবীর প্রথম তিনতলা সুড়ঙ্গ তৈরি করবে যেটিও বসপোরাসের নিচে হবে।[16] সুড়ঙ্গটি ইস্তানবুল মেট্রো ও দু'তলা হাইওয়ে উভয়টি বহন করার কথা, এটি দৈর্ঘ্যে ৬.৫কি.মি.(৪.০মাইল) থেকে বড় হবে।

পশ্চিম প্যারিসে দ্যা ফ্রেঞ্চ এ৮৬ ডুপ্লেক্স সুড়ঙ্গটি মূলত দুটি খননকৃত টিউব সুড়ঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি, পশ্চিমেরটি যেটি হালকা মটরযান গুলোর জন্য দুটি তলা রয়েছে সেটি দৈর্ঘ্যে ১০কি.মি. (৬.২মাইল)। যদিও প্রতিটি তলার গাঠনিক উচ্চতা ২.৫৪ মিটার (৮.৩ ফুট), এই টিউব সুড়ঙ্গে শুধু ২ মিটার (৬.৬ ফুট) লম্বা যান অনুমোদিত, আর মটরসাইকেল চালকরা অন্য সুড়ঙ্গ দিয়ে যায়। প্রতিটি তলা তিন সারির রাস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিটি তলার দুটি সারিই ব্যবহৃত হয়, তৃতীয়টি সুড়ঙ্গের মধ্যে শক্ত কাঁধ হিসেবে কাজ করে। এ৮৬ ডুপ্লেক্স হলো ইউরোপের দু'তলা সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গ।

যুক্তরাজ্যে, ১৯৩৪সালে লিভারপুল ও বার্কেনহেডের মধ্যে মার্সে নদীর নিচে কুইনসওয়ে সুড়ঙ্গটির উপরের তলায় যানবাহন ও নিচের তলায় ট্রাম চলার কথা ছিল। নির্মানের সময় ট্রামের ব্যবহার বাতিল হয়ে যায়। নিচের অংশটি শুধুমাত্র তার, নালি এবং বিপদের সময় আশ্রয়স্থান হিসেবে কাজ করে।

হংকং এর লায়ন রক সুড়ঙ্গ ১৯৬০এর মাঝের দিকে নির্মাণ করা হয়, যা নিউ কওলুন ও শা টিন কে যুক্ত করে। এটি মটরগাড়ি বহন করার পাশাপাশি জলনালি হিসেবে কাজ করে। সুড়ঙ্গের রাস্তার নিচে অবস্থিত এটির একটি গ্যালারিতে পানির পাঁচটি প্রধান নালি রয়েছে যেগুলোর ব্যাস ১.২মিটার-১.৫মিটার।[17]

সাধারণ ইউটিলিটি নালা বা সুড়ঙ্গগুলোতে থাকে দুই ততোধিক ইউটিলিটি সুড়ঙ্গ। বিভিন্ন ইউটিলিটি সুড়ঙ্গকে এক সুড়ঙ্গে স্থাপনের মাধ্যমে, সংস্থাগুলো ইউটিলিটি নির্মাণ ও মেরামত খরচ হ্রাস করতে পারেন।

আচ্ছাদিত পথ

ইজটারগোম,হাঙ্গারিতে ১৯শতকের ডার্ক গেট

মাঝেমাঝে ইট কিংবা স্টিল দিয়ে রাস্তা,নদী,রেলপথ আচ্ছাদিত করে ওভার ব্রিজ তৈরি করা হয় এবং তারপর সেটির পৃষ্ঠ ভূমির সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়।রেলওয়ে অনুসারে,সমতল একটি পথ যেটি বানানো হয়েছে বা আচ্ছাদিত করা হয়েছে সাধারণত "আচ্ছাদিত পথ" হিসেবে পরিচিত।

তুষার চালা হলো একধরনের কৃত্রিম সুড়ঙ্গ যেটি রেলপথকে তুষার হিমবাহ থেকে রক্ষা করতে তৈরি করা হয়।একইভাবে স্ট্যানওয়েল পার্ক,নিউ সাউথ ওয়েলস "স্টিল সুড়ঙ্গ",ইল্লাওয়ারা রেলওয়ে লাইন রেলপথকে পাথরপতন থেকে রক্ষা করে।

খনন

নিউ তাইপে,তাইওয়ানে কয়লা খননের জন্য ব্যবহৃত হওয়া সুড়ঙ্গ

খননের কাজে সুড়ঙ্গের ব্যবহার ড্রিফট মাইনিং হিসেবে পরিচিত।

সামরিক ব্যবহার

কিছু সুড়ঙ্গ একদম পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয় না বরং সেগুলো দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন: মিটেলওয়ের্ক এবং ছেয়েন্নে মাউন্টেইন কমপ্লেক্স। সামরিক সশস্ত্র সংঘর্ষে ব্যবহার বা বেসামরিক আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন খনন ও মাটির নিচে আশ্রয়স্থান তৈরি করা হয়। সুড়ঙ্গের সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যবহার ছিল রাসায়নিক অস্ত্র ভান্ডার হিসেবে সুড়ঙ্গের ব্যবহার।

নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

আলমা সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের এই জায়গাতে ডাইয়ানার গাড়ি একটি ফিয়াটে আঘাত করার পর দেয়ালে আঘাত করে। সেখানে কোন সঠিক বেড়া ছিলনা আর যার কারণে তার মৃত্যু হয়।

মটরগাড়ির সুড়ঙ্গগুলোতে নিয়মমাফিক বায়ুচলাচলের জন্য পথ ও যান্ত্রিক পাখা থাকে যা ক্ষতিকারক গ্যাসকে সুড়ঙ্গের বাইরে বের করে দেয়।

রেল সুড়ঙ্গগুলোতে মূলত প্রতি ঘন্টায় বাতাস পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না তবুও বাতাস যাতায়াতের পথের প্রয়োজন হতে পারে।উভয় ধরনের সুড়ঙ্গে বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য বাড়তি বাতাস যাতায়াতের পথ থাকতে পারে,যেমন:অগ্নিকান্ড।যদিও বেশি বাতাস প্রবাহের জন্য জ্বলনের পরিমাণ বৃদ্ধির একটি ঝুঁকি থাকে,এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকে অগ্নিনির্বাপনকারীদের পাশাপাশি সুড়ঙ্গে আটকে পরা মানুষদের শ্বাসযোগ্য বাতাস যোগান দেওয়া।

সমান্তরাল ও আলাদা একটি সুড়ঙ্গ থাকলে সাধারণত একটি বায়ুবন্ধ,খোলা জরুরি অবস্থার দরজার ব্যবস্থা থাকে।এটি মূলত ধোঁয়াভর্তি সুড়ঙ্গ থেকে অন্য সুড়ঙ্গে বের হয়ে যেতে আটকে পড়া মানুষদের কাজে লাগে।

উদাহরণ

ইতিহাসে

লিভারপুল এডজ হিল সুড়ঙ্গের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ, যেটি হাতে খনন করে অনেক গভীরে নির্মাণ করা হয়েছে। বামের রাস্তাসহ সুড়ঙ্গটি হলো ১৮৪৬সালের দ্বিতীয় ক্রাউন স্ট্রিট সুড়ঙ্গ, যা এখনো সরানোর কাজে ব্যবহৃত হয়; এরপর ডানে জঙ্গলে লুকায়িত সুড়ঙ্গটি হলো ১৮২৯সালের ওয়েপিং সুড়ঙ্গ, এর ডানে আবারও জঙ্গলে লুকায়িত সুড়ঙ্গটি হলো প্রধান ১৮২৯সালের ক্রাউন স্ট্রিট সুড়ঙ্গ।
লিভারপুলে ১৮৯০সালে এডজ হিল পাহাড় থেকে লাইম স্ট্রিট পর্যন্ত সুড়ঙ্গটির একটি ছোট অংশ এখনও বাকি আছে। এটি এবং লাইম স্ট্রিটের কাছে প্রধান সুড়ঙ্গের একটি ছোট অংশ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সুড়ঙ্গ যেগুলো এখনও সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয়।
১৬৫৯ফুট (৫০৬মিটার) ডন্নার পাস টিলার সুড়ঙ্গ যেটি ১৮৬৮ থেকে ১৯৯৩সাল পর্যন্ত কাজে ছিল।
ইংল্যান্ডে অবস্থিত ১৭৯১ ডুডলে খাল সুড়ঙ্গের দক্ষিণের অংশ
লিভারপুল লাইম স্ট্রিটের প্রবেশপথ। গভীর খনন কাজের জন্য প্রধান দুই সড়কের সুড়ঙ্গকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। খননে দেখা যাওয়া রাস্তার সেতুগুলো মূলত শক্ত পাথর এবং যার কারণে সেখানে ছোট সুড়ঙ্গের একটি ধারা রয়েছে।
জার্মেইন সোম্মেইলার আবিষ্কৃত ১৯শতকের একটি গ্যাসীয় পাথর খনন যন্ত্র এবং আলফ এএর ভেতর দিয়ে প্রথম বৃহৎ সুড়ঙ্গ খননে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
ফ্রান্সের ছোট পরীক্ষামূলক ইটের সুড়ঙ্গ
  • ডেবরিশায়ারের চ্যাপেল-এন-লে-ফ্রিথে অবস্থিত ১৭৯৬সালের স্টোড্ডার্ট সুড়ঙ্গকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রেল সুড়ঙ্গ মনে করা হয়। তখন রেলগাড়ির কামরাগুলোকে ঘোড়া টানত।
  • সিলোয়াম সুড়ঙ্গটি ৭০১বিসিই তে শহরের উপর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে বানানো হয়েছিল, যাতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়।
  • ইংল্যান্ডের বক্স সুড়ঙ্গ, যেটি ১৮৪১সালে চালু হয়, নির্মাণের সময় পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে সুড়ঙ্গ ছিল। এটা হাতে খনন করা হয়েছিল এবং এটির দৈর্ঘ্য ছিল ২.৯কি.মি.(১.৮মাইল)।
  • তৃতীয় আলপিন সুড়ঙ্গ, উত্তর ও দক্ষিণ সুইজারল্যান্ডের মাঝের গোটথার্ড রেল সুড়ঙ্গটি ১৮৮২ সালে যাত্রা শুরু করে এবং যা ছিল তখনকার পৃথিবীর দীর্ঘতম রেল সুড়ঙ্গ। এটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৫কি.মি.(৯.৩মাইল)।
  • ১৯২৭সালের হল্ল্যান্ড সুড়ঙ্গ ছিল অটোমোবাইলের জন্য নকশা করা প্রথম ডুবন্ত সুড়ঙ্গ। নির্মাণ কাজে একটি অভিনব বায়ুচলাচল সিস্টেম প্রয়োজন হয়েছিল।

দীর্ঘতম

গটহার্ড বেস সুড়ঙ্গ, সুইজারল্যান্ড
  • থার্লমেয়ার জলনালি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ হিসেবে পরিচিত যেটির দৈর্ঘ্য ১৫৪কি.মি.। এটি যুক্তরাজ্যের উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডে অবস্থিত।
  • চীনের দাহুফাং পানির সুড়ঙ্গ পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ যার দৈর্ঘ্য ৮৫.৩কি.মি.। এটি ২০০৯ সালে চালু হয়।
  • সুইজারল্যান্ডের গোটহার্ড বেস সুড়ঙ্গ পৃথিবীর দীর্ঘতম ও গভীরতম রেলওয়ে সুড়ঙ্গ। এটির দৈর্ঘ্য ৫৭.১কি.মি.। ২০১৬ সালে এটি চালু হয়।
  • ২০১৬ সালের আগে লোটসবার্গ বেস সুড়ঙ্গ ছিল পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে সুড়ঙ্গ। এটির দৈর্ঘ্য ৩৪.৫কি.মি.। এটি ২০০৭ সাল থেকে চালু।
  • পৃথিবীর দীর্ঘতম খাল সুড়ঙ্গ হলো ফ্রান্সের রোভ সুড়ঙ্গ। এটি ৭.১২ কি.মি. দীর্ঘ।

উল্লেখযোগ্য

বোস্টন,যুক্তরাজ্যের "বিগ ডিগ" যান সুড়ঙ্গ
  • একজন ধনী বক্তির দ্বারা ১৮০৪সালে শুরু হওয়া ও ১৮৪০সালে শেষ হওয়া লিভারপুলের উইলিয়ামসনস্ সুড়ঙ্গটিকে মনে করা হয় পৃথিবীর দীর্ঘ ভূগর্বস্থ বোকামির কাজ।এই সুড়ঙ্গটি কোন কাজ করার উদ্দেশ্য ছাড়াই তৈরি করা হয়।
  • মোফাত সুড়ঙ্গ কলোরাডোতে ১৯২৮সালে চালু হয় যা মহাদেশকে ভাগ করেছে।এটি ১০কি.মি.(৬.২মাইল) লম্বা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮১৬ মিটার(৯২৩৯ফুট) উচুঁতে অবস্থিত সুড়ঙ্গটি যুক্তরাষ্ট্রে রেলপথের সবচেয়ে সক্রিয় সুড়ঙ্গ(এর পর সক্রিয় সুড়ঙ্গ হলো টেন্নেসে পাস লাইন,বর্তমানে বন্ধ ও আলপিন সুড়ঙ্গ)।
  • ফ্রেডহলস রোড সুড়ঙ্গটি স্টকহোম,সুইডেনে ১৯৬৬সালে খোলা হয় ও নিউ এলভে রোড সুড়ঙ্গটি হ্যামবার্গ,জার্মানিতে ১৯৭৫সালে খোলা হয়।উভয় সুড়ঙ্গ দুটি প্রতিদিন প্রায় ১৫০০০০ যান পরিচালনা করে থাকে,যার কারণে এদুটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি যানচালিত সুড়ঙ্গ।
  • হনিংসবাগ সুড়ঙ্গটি(৪.৪৪৩কি.মি.(২.৭৬মাইল) লম্বা) নরওয়ের ইউরোপিয়ান রোট ই৬৯ তে ১৯৯৯সালে খোলা হয়,যা পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত রাস্তার সুড়ঙ্গ(খনি ছাড়া,যেটি রয়েছে স্ভালবার্ডে)।
  • ২০০৫সালে সম্পূর্ণ হওয়া কিনঘাই-তিবেত রেলপথের ফেঙ্গুশান সুড়ঙ্গ পৃথিবীর উচ্চতম সুড়ঙ্গ যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪.৯০৫কি.মি.(৩.০৫মাইল) উচুঁতে ও ১৩৩৮মিটার(০.৮৩১মাইল) দীর্ঘ।
  • কলম্বিয়ারর লা লিনেয়া সুড়ঙ্গ দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে দীর্ঘ,৮.৫৮কি.মি.(৫.৩৩মাইল) পাহাড়ি সুড়ঙ্গ।সুড়ঙ্গটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০মিটার(৮২০২.১ফুট) উচুঁতে পাহাড়ের নিচ দিয়ে গিয়েছে যার যানচলাচলের জন্য ৬টি রাস্তা রয়েছে ও একটি জরুরি অবস্থার জন্য সুড়ঙ্গ রয়েছে।
  • শিকাগো গভীর সুড়ঙ্গ প্রকল্পটি ১৭৫ কি.মি. (১০৯মাইল) পানি নিষ্কাশন সুড়ঙ্গ তৈরি করার যাতে শিকাগো এলাকায় বন্যার পরিমাণ কমে যায়।এটি ১৯৭০সালের মাঝামাঝি শুরু হয় ও ২০১৯সালের মাঝে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।
  • নিউ ইয়র্ক শহর পানি সুড়ঙ্গ নাম.৩ শুরু হয় ১৯৭০ সালে,এটি ২০২০সালের মাঝে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ও এর দৈর্ঘ্য হবে ৯০কি.মি. (৬০মাইল) থেকে বেশি।[18]

গোপন সুড়ঙ্গ

ভূগর্ভস্থ রেলপথের একটি ঘরের দরজা যেখানে পলায়নরত ক্রীতদাসরা ঘুমাতো।

গোপন সুড়ঙ্গগুলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।যেমন;চু চি সুড়ঙ্গ ও গাজা স্ট্রিপ সুড়ঙ্গ যেটি মিশরের সাথে যুক্ত হয়েছে।স্নায়ুযুদ্ধেও গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হতো।

পাচারকারীরা অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচার করার জন্য গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করে।মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ১০০০ফুটের একটি সুড়ঙ্গ পাওয়া যায় যেটি মাদক পাচারে ব্যবহার করা হতো।এটি নির্মাণ করতে ৯মাস লাগে ও ১০লক্ষ টাকা খরচ হয়।চোরেরাও ব্যাংক বা বাসায় অনুপ্রবেশের জন্য গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে।সীমান্ত রক্ষীদের দ্বারা এসকল গোপন সুড়ঙ্গ ধরা পড়ে,যেমন:ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ও জাম্মু-কাশ্মীর সীমান্তের গোপন সুড়ঙ্গ।

প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ
  • লাভা টিউবস একটি খালি ভূগর্বস্থ গুহার ন্যায় সুড়ঙ্গ যেটি লাভা জমে সৃষ্টি হয়েছে।
  • প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ স্টেট পার্ক (ভার্জিনিয়া,ইউএস) ২৫৯মিটারের একটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ।১৮৯০সাল থেকে এটি রেলপথ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
  • ভারতের কেরালার পুনরজনী গুহা।হিন্দুদের বিশ্বাস এই গুহা দিয়ে গড়িয়ে চললে তাদের সমস্ত দোষ ও পাপ মোচন হবে।শুধু পুরুষদেরই এ সুড়ঙ্গ দিয়ে চলার অনুমতি দেয়া হয়।
  • টর্ঘাটেন,টুপির আকারের একটি নরওয়েগিয়ান দ্বীপে টুপির মাঝে একটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ রয়েছে যার ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে।বলা হয়ে থাকে,১৬০মিটার(৫২০ফুট) লম্বা,৩৫মিটার(১১৫ফুট) উঁচু ও ২০মিটার(৬৬ফুট) প্রশস্ত সুড়ঙ্গটি একজন রাগী হেস্টমেন্নেন এর তীর দ্বারা তৈরি,আর পাহাড়টি ট্রল রাজা সোমনার টুপি যা সুন্দর লেকামোয়া কে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।সুড়ঙ্গটিকে ধারণা করা হয় এটি বরফের কাজ।বছরে দুই মিনিটের জন্য এই সুঙ্গের ভেতর দিয়ে সূর্যকিরণ দেয়।
  • সুরক্ষার জন্য ও খাবার জোগাড় করার জন্য ইঁদুর ও কাঁঠবিড়ালি ছোট সুড়ঙ্গ তৈরি করে থাকে।

বড় দুর্ঘটনা

  • ক্লেটন সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনা (১৮৬১) – সংকেত সম্পর্কে গোলমাল করে।
  • ওয়েলউইন সুড়ঙ্গ রেল দুর্ঘটনা (১৮৬৬) – ট্রেন সুড়ঙ্গে পতিত হয়।
  • বলভানো ট্রেন দুর্ঘটনা (১৯৪৪) –
  • ক্যালডেকট সুড়ঙ্গে আগুন (১৯৮২) – মটরগাড়ি ধ্বংস হয় ও অগ্নি উৎপাতের শুরু হয়।
  • ১৯৯৬ চ্যানেল সুড়ঙ্গে আগুন (১৯৯৬) –
  • মন্ট ব্ল্যাংক সুড়ঙ্গে আগুন –
  • রাজকুমারী ডাইয়ানার মৃত্যু – গাড়ি দুর্ঘটনা।

তথ্যসূত্র

  1. "Design manual for roads and bridges" (PDF)। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৯
  2. Tunnel Engineering Handbook (2nd সংস্করণ)। CBS publishers।
  3. Construction de-watering and groundwater control(2007)
  4. United States Army Corps of Engineers(1978)
  5. "Capital Projects Funds"
  6. "$100 million for a tunnel!what tunnel?"। The New York Times।
  7. "Encouraging U.S Infrastructure Investment-Council on Foreign Relations"
  8. "Tunnels & Tunnelling International"। Tunnelsonline.info। ২০১২-০৩-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১৯
  9. "Tunnelling"। tunnellersmemorial.com। আগস্ট ২৩, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২০
  10. "Archived copy"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০২
  11. "Archived copy"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০২
  12. The Railway Magazine,August 2015,p12
  13. "Report on redeveloping railway tunnels"। www.tunnel-online.info।
  14. "San Francisco-Oakland Bay Bridge"Bay Area Toll Authority
  15. "Eurasia Tunnel Project(PDF)" (PDF)
  16. "Istanbul's mega project-World's first three-level tunnel to be built under the Bosporus" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Daily Sabah।
  17. "Black & Veatch uses trenchless technology for water main rehabilitation in Hong Kong - WaterWorld"
  18. "City Water Tunnel No.3"
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.