সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা

প্রথম দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সিলেট শহরের নইয়ুরপুল এলাকায় আঞ্জুমানে ইসলামিয়া নামে একটি ছোট বেসরকারি মাদ্রাসা ছিল। তৎকালীন আসাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর আব্দুল মজীদ এ মাদ্রাসাটি সম্প্রসারণ ও সরকারিকরণের উদ্যেগ গ্রহণ করেন।[1] ১৯১৩ সালে সরকার কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার অধীনে সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌহাট্টায় একটি সিনিয়র মাদ্রাসা পুনঃস্থাপন করে।[1] ১৯৩৩ সালে এ মাদ্রাসাকে ঢাকা সেকেন্ডারি বোর্ডের অধীনে নিউ স্কিমে হাই মাদ্রাসায় পরিণত করা হয়। পরবর্তীকালে এ মাদ্রাসাটিই সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত পায়। আবু নসর ওহী'দের প্রচেষ্টায় সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা ১৯৩৫ সালে কামিল হাদীস মঞ্জুরি লাভ করে।[1] সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসা ধারার প্রথম কামিল মাদ্রাসা।

বর্তমান মাদ্রাসা ৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনটি ভবন, একটি ছাত্রাবাস এবং একটি ঐতিহাসিক ময়দান রয়েছে। সিলেটের বড় বড় রাজনৈতিক সভাগুলি এ ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসায় রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে প্রায় ১১,০০০ হাজার গ্রন্থ রয়েছে। মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ২৬ জন।[2] এ প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বরাবরই ভাল। এ মাদ্রাসায় দাখিল নবম শ্রেণি হতে ছাত্র ভর্তি করা হয়ে থাকে। দাখিল ও আলিম শ্রেণিতে বিজ্ঞান শাখা রয়েছে। নবম শ্রেণি হতে কামিল পর্যন্ত ছাত্র সংখ্যা ৬৫০। তন্মধ্যে হাদীস বিভাগে ২৭৮।[1]

মাদ্রাসার কৃতি ছাত্রদের অন্যতম হলেন:[1]

• সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী,
• প্রফেসর ড. আবু সাঈদ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ (ঢাবি)
• প্রিন্সিপাল আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি

এবং

• সৈয়দ লোকমান হোসেন (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,ঢাকা)।

• সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট